লিটন-সাকিবের আগ্রাসী জুটিতে বাড়ছে ম্যাচ বাঁচানোর আশা
আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে এসে সাকিব আল হাসান জানিয়েছিলেন, প্রথম সেশনে এক উইকেট হারালেও কাজটা হয়ে যাবে কঠিন। প্রথম ঘন্টাও পার হয়নি, বিদায় নেন মুশফিকুর রহিম। তবে এরপর ছন্দে থাকা লিটন দাসের সঙ্গে দারুণ এক জুটিতে ম্যাচ বাঁচানোর আশা বাড়াচ্ছেন সাকিব।
শুক্রবার ঢাকা টেস্টের পঞ্চম দিনে লাঞ্চ বিরতি পর্যন্ত ১ উইকেট হারিয়ে ৩৩ ওভারে ১১৫ রান যোগ করেছে বাংলাদেশ। শ্রীলঙ্কা থেকে এগিয়ে গেছে ৮ রানে । ৫ উইকেটে ১৪৯ রান নিয়ে লাঞ্চ বিরতিতে যাওয়া বাংলাদেশের ম্যাচ বাঁচানোর আশা এখন বেশ উজ্জ্বল।
৬ষ্ঠ উইকেট জুটিতে ২৫.৩ ওভারে ওয়ানডে আগ্রাসী মেজাজে ৯৬ রান যোগ করে নিয়েছেন লিটন-সাকিব। ৬১ বলে ৫২ রানে অপরাজিত আছেন সাকিব। ১২৭ বলে ৪৮ রানে ক্রিজে লিটন।
আগের দিনের ৫ উইকেটে ৩৪ রান নিয়ে নেমে সতর্ক শুরু করেন লিটন-মুশফিক। লঙ্কান দুই পেসার কাসুন রাজিতা আর আসিতা ফার্নান্দোর স্পেল সামাল দেওয়ার পথে ছিলেন তারা। রাজিতার স্পেলের একদম শেষ দিকে গিয়ে হয় বিপদ।
চরম বিপদে আগের ইনিংসে দলের কাণ্ডারি হয়েছিলেন মুশফিক। এবারও লিটনকে নিয়ে তার কাছ থেকে আরেকটি প্রতিরোধের প্রত্যাশায় ছিল দল। কিন্তু মুশফিক এবার আর পারেননি। রাজিতার ভেতরে ঢোকে হালকা নিচু হওয়া বল লাইন মিস করে বোল্ড হয়ে যান বাংলাদেশের সবচেয়ে অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান। ৩৯ বলে ২৩ রানে থামেন মুশফিক।
এরপর সাকিব নেমেই শুরু করেন মেরে খেলা। একের পর এক বাউন্ডারিতে দ্রুত রান আনতে থাকেন তিনি। এই সময় লঙ্কান স্পিনারদের বোলিংও ছিল বেশ আলগা। শুরুর জড়তা কাটিয়ে লিটনও মেলে ধরেন ডানা। বাংলাদেশের রানের চাকা তখন বেশ সচল।
প্রথম ইনিংসের সেঞ্চুরিয়ান লিটন ৮ম বাংলাদেশি ব্যাটসম্যান হিসেবে টেস্টে স্পর্শ করেন দুই হাজার রান। ৩৩ টেস্টে ৫৬ ইনিংসে এই মাইলফলকে পৌঁছালেন তিনি।
সাকিব শুরুটা করেছিলেন টি-টোয়েন্টি গতিতে। পরে রানের গতি কিছুটা কমিয়ে আনলেও সেশনের একদম শেষ বলে ফিফটি স্পর্শ করেন ৬১ বলে।
Comments