মোসাদ্দেককে নিয়ে নিজেদের প্রত্যাশার মিল পাননি ডমিঙ্গো
বিশেষজ্ঞ অফ স্পিনার হিসেবে ঢাকা টেস্টে খেলানো হয়েছিল মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতকে। কিন্তু প্রথম ইনিংসে ১৬৫ ওভারের মধ্যে তাকে দিয়ে ১২ ওভারের বেশি বল করাতে পারেনি বাংলাদেশ দল। মেহেদী হাসান মিরাজ কিংবা নাঈম হাসানের বিকল্প হওয়া দূরে থাক, প্রত্যাশার ধারেকাছেও ছিলেন না তিনি। প্রধান কোচ রাসেল ডমিঙ্গো অনুধাবন করছেন নিজেদের ভুল হিশাব নিকাশ।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের আগেই চোটে ছিটকে যান মিরাজ। তার বদলে চট্টগ্রাম টেস্টে ফিরে ৬ উইকেট নিয়েছিলেন নাঈম হাসান। সেই টেস্টে চোটে ছিটকে যান তিনিও।
এরপর স্কোয়াডে নেওয়ার মতো আরেকজন অফ স্পিনার খুঁজে পায়নি বাংলাদেশ। শুভাগত হোমকে নিয়ে আলোচনা হলেও তাকে উপেক্ষা করা হয়। মোসাদ্দেকের উপরই রাখা হয় ভরসা।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টে তাইজুল ইসলাম ও সাকিব আল হাসানের উপর পড়েছে প্রবল চাপ। টানা বল করতে হয়েছে তাদের। পেসার ইবাদত হোসেনও বল করেছেন ৩৮ ওভার। একজন অফ স্পিনার থাকলে যে কাজ করা যেত সেটা হয়নি।
১০ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারের পর সংবাদ সম্মেলনে এসে মোসাদ্দেককে নিয়ে নিজেদের ভুল চিন্তা আড়াল করেননি প্রধান কোচ, 'মোসাদ্দেককে খেলানো হয়েছে পঞ্চম বোলার হিসেবে। আমরা ভেবেছিলাম সে দিনে ১৫ ওভার বল করতে পারবে। আমি সব সময়ই চার বোলার নিয়ে খেলতে অনিচ্ছুক। কিন্তু এটাতে বাধা পড়ল যখন দেখলাম মোসাদ্দেক সেরকম বল করতে পারেনি যা আমরা প্রত্যাশা করেছিলাম। আমরা ভেবেছিলাম সে বোলিংয়ে মিরাজের কাজটা করে দেবে। মিরাজের না থাকা বড় ক্ষতি। সে অনেক ওভার বল করে, সে উইকেট নেয় আবার ব্যাটও করে।'
মিরাজ-নাঈম না থাকায় বিকল্প খুব বেশি ছিল না বাংলাদেশের। এইচপিতে নেই কোন অফ স্পিনার। ঘরোয়া ক্রিকেটে বেশিরভাগ অফ স্পিনারই সাদা বলের বিশেষজ্ঞ। যিনি হতে পারতেন কাছাকাছি সমাধান সেই শুভাগতকে আর ডাকেননি নির্বাচকরা।
ডমিঙ্গো মনে করেন বাংলাদেশে মিরাজ-নাঈমের বাইরে নেই প্রথাগত কোন অফ স্পিনার, যারা কিনা টেস্ট খেলতে পারেন, 'আমাদের অনেকগুলো ওয়ানডে স্পিনার আছে। আমরা টি২০ স্পিনার মাহাদিকে (শেখ মেহেদী) নিয়ে কথা বলছিলাম। এদের বেশিরভাগ হচ্ছে ব্যাটসম্যান যে কিনা অনিয়মিত বল করতে পারে। নাঈম ও মিরাজের বাইরে তেমন ভালো কোন অফ স্পিনার নেই।'
বোলিংয়ের মতো ব্যাট হাতেও নিষ্প্রভ ছিলেন মোসাদ্দেক। প্রথম ইনিংসে আউট হন শূন্য রানে। দ্বিতীয় ইনিংসে ফেরেন ৯ রানে।
Comments