প্রচণ্ড গরমে দর্শকদের তৃষ্ণা মেটালেন বাংলাদেশের খেলোয়াড়রা
গ্রীষ্মের প্রচণ্ড খরতাপে রোববার চট্টগ্রামে আবহাওয়া ছিল চরম অস্বস্তির। এমন পরিস্থিতি সারাদিন খেলা সহজ নয়। দিনভর রোদে পুড়ে গ্যালারিতে বসে টেস্ট ম্যাচ উপভোগ করাও ছিল শক্ত। গরমে পুড়ে তৃষ্ণায় কাতর এমন কয়েকজন দর্শককে সহায়তায় এগিয়ে গেলেন শহিদুল ইসলাম, নুরুল হাসান সোহান, রেজাউর রহমান রাজারা।
রোববার চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস জিতে ৯০ ওভার ব্যাট করে ৪ উইকেটে ২৫৮ রান করে শ্রীলঙ্কা। সেঞ্চুরি তুলেন অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস।
লাঞ্চ বিরতির পর যখন কুশল মেন্ডিসকে নিয়ে জুটি বাড়াচ্ছিলেন ম্যাথিউস। উত্তর পাশের সাধারণ গ্যালারিতে দর্শকদের পানির বোতল ছুঁড়ে সহায়তা করেন সোহান, শহিদুলরা।
লঙ অফে বাউন্ডারি লাইনে ছিলেন তামিম ইকবাল। বাউন্ডারির কাছাকাছি ফিল্ডারদের পানি দিতে চক্রাকারে পুরো মাঠই ঘুরে থাকেন রিজার্ভ বেঞ্চের খেলোয়াড়রা। শহিদুল ও সোহান কয়েক বোতল পানি নিয়ে সেদিকে এগোলে গ্যালারি থেকে পানি চেয়ে আবদার করছিলেন দর্শকরা। তাদের নিরাশ করেননি বাংলাদেশের এই খেলোয়াড়রা।
গরমের তীব্রতা বোঝা গেছে মাঠের খেলাতেও। তাপমাত্রার কারণে পুরো ৯০ ওভার নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শেষ করতে পারেননি বাংলাদেশের বোলাররা। সেজন্য আলো থাকায় দিন লম্বা হয়েছে ২৫ মিনিট।
পেসারদের ওভারগুলো স্বাভাবিকের চেয়ে একটু বেশি সময় ধরে হয়েছে। ব্যাটসম্যানরাও ক্রাম্প থেকে বাঁচতে অনির্ধারিত পানি পানের বিরতি নিয়েছেন একাধিকবার।
রোববার চট্টগ্রামের তাপমাত্রা ছিল ৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে আর্দ্রতা অনেক বেশি থাকায় গরম অনুভূত হয়েছে ৩৭ ডিগ্রির মতো। শরীর থেকে ঝরেছে প্রচুর ঘাম। চট্টগ্রামে এমন আবহাওয়া থাকতে পারে পুরো টেস্ট ম্যাচ জুড়েই। সোমবার দ্বিতীয় দিনে হালকা বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আছে। তবে সেই বৃষ্টি হবে না দীর্ঘস্থায়ী। গত তিন দিনে চট্টগ্রামে দেখা গেছে ৫-১০ মিনিটের বৃষ্টির পর তাপমাত্রা আরও বেড়ে যেতে।
নিশ্চিতভাবেই তাই চট্টগ্রাম টেস্ট কঠিন পরীক্ষা নিতে যাচ্ছে ক্রিকেটারদের। মাঠে খেলা দেখতে আসা অল্প সংখ্যক দর্শকদের জন্যও সময়টা খুব বেশি স্বস্তির হওয়ার কথা নয়। তবে বাংলাদেশ ভালো খেললে শারীরিক কষ্ট ভুলে আনন্দে ভাসতে পারেন তারা।
Comments