নিজেই সিদ্ধান্ত নেবেন সাকিব
করোনামুক্ত হয়ে যাওয়ায় ঢাকা থেকে সন্ধ্যায় তার চট্টগ্রামে আসার খবর পাওয়া গিয়েছিল শুক্রবার সকালেই। দিনের কাজ সেরে সন্ধ্যার পর থেকে টিম হোটেলের সামনে তাই ছিল গণমাধ্যমের ভিড়। সাকিব সেই জটলা ফাঁকি দিয়েছেন নিজের সহজাত ধরণে।
চট্টগ্রাম টেস্টের আগের দিন শনিবার পুরো স্পটলাইটও সাকিবের দিকে। তার খেলা- না খেলা নির্ভর করছে একমাত্র অনুশীলন সেশনে। করোনামুক্ত হওয়ার পর বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসান জানিয়েছিলেন, 'সাকিব খেলতে চাইলে অবশ্যই তিনি খেলবেন, তাকে না বলার সুযোগ নেই।'
তবে আগে-পিছে আরও কিছু কথা এই বাক্যেরও বিপরীতে যাচ্ছে। যেহেতু এটা টেস্ট, খেলতে হবে টানা পাঁচদিন। মাঠে প্রতিদিন সময় পার করতে হবে ৬ ঘণ্টা করে। ফিটনেস সেখানে বড় ইস্যু। সাকিব সেই ছাড়পত্র পেলেই পারবেন নামতে।
প্রধান কোচ রাসেল ডমিঙ্গো আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে সাকিবের না খেলার আভাসই দিয়েছেন বেশি। তার মতে কোভিড থেকে সেরে হুট করেই টেস্ট খেলা কঠিন। ৫০-৬০ শতাংশ ফিট হলেই কাউকে টেস্ট খেলানো যায় না।
কিন্তু টেস্ট খেলার সম্ভাবনা না থাকলেও সাকিবকে কেউ চট্টগ্রাম আনতে পারত না। তার যে চারিত্রিক ধরণ, তাতে করে না খেলে বসে থাকার জন্য উড়ে আসাটা অস্বাভাবিক।
প্রথম টেস্ট খেলার কোন সম্ভাবনা না থাকলে ঢাকাতেই দ্বিতীয় টেস্টের জন্য প্রস্তুত হতে পারতেন সাকিব। সিদ্ধান্ত এখন অনেকটা সাকিবের উপর। অনুশীলন করে তিনি যদি অনুভব করেন, খেলতে পারবেন তাহলে ফিটনেস পরীক্ষার মার্কসের উপর বোধহয় কিছু নির্ভর করবে না।
গত ১০ মে সাকিবের স্কোয়াড থেকে আনুষ্ঠানিক ছিটকে যাওয়ার খবর দিয়েছিল বিসিবি। তিনি দলে যুক্ত হলেও তাকে আবার স্কোয়াডে নেওয়া হয়েছে কিনা তা কিন্তু আর জানানো হয়নি। শনিবার দুপুরের আগে সেই আনুষ্ঠানিকতাও সেরে নেওয়া হয় কিনা দেখার বিষয়।
Comments