নাঈমের ঝলকের সেশনে দুই রিভিউ হারানোর আক্ষেপ
উইকেট রানেভরা, টস জিতে ব্যাট করতে মুখিয়ে ছিল দুই দলই। শ্রীলঙ্কা সে সুবিধাটা পেয়ে যাওয়ায় অস্বস্তির এক দিনের শঙ্কা ছিল। তবে প্রথম ঘন্টায় দারুণ বল করে লঙ্কানদের লাগাম টেনে রাখলেন অফ স্পিনার নাঈম হাসান। দুই ওপেনারকেই ফিরিয়ে বাংলাদেশকে সামনে রেখেছেন তিনি। তবে এক সেশনে দুটি রিভিউ হারানোর আক্ষেপেও পুড়তে হচ্ছে মুমিনুল হকের দলকে।
চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম সেশনে ২ উইকেট হারিয়ে ৭৩ রান করেছে শ্রীলঙ্কা। দুটি উইকেটই নিয়েছেন নাঈম। করোনাভাইরাস থেকে সেরে উঠে এই টেস্টে নামা সাকিব আল হাসান সেশনের পুরোটা সময় ফিল্ডিংয়ে মাঠে থাকলেও এখন বল করতে দেখা যায়নি তাকে।
টস হেরে বল হাতে নিয়ে প্রথম সাত ওভারে দুই পেসার তেমন কিছুই করতে পারছিলেন না। এরমধ্যে অহেতুক একটি রিভিউ হারায় বাংলাদেশ। ওসাদা ফার্নান্দোকে এলবিডব্লিউ করতে রিভিউ নিয়েছিলেন শরিফুল ইসলাম। পিচড আউট সাইড লেগ হওয়ায় নষ্ট হয় রিভিউ।
৮ম ওভারে বল হাতে নিয়েই সাফল্য আনেন নাঈম হাসান। অ্যারাউন্ড দ্য উইকেটে ভেতরে ঢোকানো বলে কাবু করেন দিমুথ করুনারত্নেকে। নাঈমের বলে কাট করতে গিয়েছিলেন লঙ্কান কাপ্তান। বল তার ব্যাটে লাগার আগে স্পর্শ করে যায় প্যাড।
আম্পায়ার আউটের সিদ্ধান্ত দিলে হাঁটা ধরেও কি বুঝে রিভিউ নেন তিনি। তাতে আম্পায়ার্স কলে সিদ্ধান্ত থাকে বহাল। উইকেট পাওয়ার পরের ওভারেই নাঈমকে আক্রমণ থেকে সরিয়ে তাইজুল ইসলামকে আনেন মুমিনুল। ক্রিজে দুই ডানহাতি দেখে তার হয়ত বাঁহাতি স্পিনার এফেক্টিভ মনে হয়ে থাকতে পারে। প্রথম ঘন্টায় বাংলাদেশের অর্জন ওই এক উইকেট। ১১ ওভারে আসে ৩৩ রান।
দ্বিতীয় ঘন্টার শুরুতেই বল পান নাঈম। টানা চাপ তৈরি করে গেছেন তিনি। গত বছর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজে ভাল না করার পর দল থেকে ছিটকে গিয়েছিলেন। এবার মেহেদী হাসান মিরাজের চোটে সুযোগ পান এই অফ স্পিনার। নিজের প্রত্যাবর্তনটা এখনো পর্যন্ত বেশ নজরকাড়া। ওপেনার ওসাদা টানছিলেন সফকারীদের, দারুণ এক বলে নাঈম থাকে ক্যাচ বানান উইকেটের পেছনে। ৩৬ করে থামেন লঙ্কান ওপেনার। আউট থেকে বাঁচতে রিভিউ নিয়েও টিকতে পারেননি, বল ব্যাটে লাগায় রিভিউ নষ্ট হয় তাদের।
সেশনের শেষ দিকে উইকেট নিতে মরিয়া শরিফুলের বলে নষ্ট হয় আরেকটি রিভিউ। ক্রিজে আসা অভিজ্ঞ অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউসকে ভেতরে ঢুকিয়ে এলবিডব্লিউ করতে চেয়েছিলেন। ম্যাথিউস পরাস্ত হলেও আম্পায়ার এলবিডব্লিউর সিদ্ধান্ত নাকচ করে দেন। দ্রুতই রিভিউ নেয় বাংলাদেশ। কিন্তু রিপ্লেতে দেখা যায় ইম্পেক্ট ছিল অফ স্টাম্পের বেশ বাইরে। দুটি রিভিউ হারিয়ে ফেলে স্বাগতিকরা। হাতে বাকি আছে আর এক রিভিউ।
নাঈমের চাপে লঙ্কানদের ইনিংস টেনে নেওয়ার ভার পড়েছে কুশল মেন্ডিস ও ম্যাথিউসের উপর। ২৭ করে অপরাজিত আছেন কুশল, কোন রান না করে ক্রিজে তার সঙ্গী ম্যাথিউস।
Comments