তামিমের আগে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে নতুন চূড়ায় মুশফিক
লড়াই চলছিল দুজনের মধ্যে। তামিম ইকবাল নাকি মুশফিকুর রহিম? কে আগে দেশের হয়ে টেস্টে পাঁচ হাজার রানের মাইলফলকে পৌঁছুবেন তা নিয়ে ছিল কৌতূহল। শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে টেস্টে মুশফিকই আগে স্পর্শ করলেন পাঁচ হাজার।
চট্টগ্রাম টেস্টের তৃতীয় দিন শেষে পাঁচ হাজারে যেতে ১৫ রান দূরে ছিলেন মুশফিক, তামিম দূরে ছিলেন ১৯ রানে। দুজনই অপরাজিত থাকলেও পেশির টানে আগের দিন বেরিয়ে যাওয়ায় ক্রিজে ছিলেন না তামিম।
মুশফিকের সুযোগ তাই ছিল বেশি। বাংলাদেশের মিডল অর্ডার ব্যাটার সেই সুযোগটা কাজে লাগান সহজে। বুধবার চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ৫৩ রান নিয়ে খেলতে নামেন তিনি। বৃষ্টিতে ভেজা মাঠে খেলা শুরু হতে হয় দেরি।
আগের দিনের ছন্দ রেখে এদিনও খেলতে থাকেন সাবলীলভাবে। কোন রকম তাড়াহুড়ো না করে এগোন ধীরলয়ে। প্রথম আধঘণ্টা নিয়েছিলেন স্রেফ ৫ রান। পরে লাসিথ এম্বুলদেনিয়াকে সুইপ করে মারেন বাউন্ডারি।
এদিন ১৫তম রান নেন ৪৮ বলে। আসিতা ফার্নান্দোর লেগ স্টাম্পের বাইরের শরীর তাক করা বল ছেড়ে দিতে চেয়েছিলেন মুশফিকক। কিন্তু বল তার গ্লাভস ছুঁয়ে যায় পেছন দিকে। দুই রান নিয়ে হালকা ব্যাট উঁচিয়ে ধরেন মুশফিক।
২০০৫ সালে ১৭ বছর বয়েসে টেস্ট ক্রিকেটে পা পড়ে মুশফিকের। অভিষেকের পর ৮১তম টেস্টে ১৪৯ ইনিংস ব্যাট করে পাঁচ হাজার রান করলেন তিনি। মাইলফলকে পৌঁছা পর্যন্ত তার ছিল ২৬ ফিফটি আর ৭ সেঞ্চুরি। ৭ সেঞ্চুরির তিনটাকেই ডাবল সেঞ্চুরি পর্যন্ত নিতে পেরেছেন মুশফিক। মুশফিকের চেয়ে ১৫ টেস্ট কম খেলেই ৫ হাজারের কিনারে আছেন তামিম। ৫ হাজারে যেতে ১০ হাজার ৬১৪ বল খেলতে হয়েছে মুশফিককে। তার চেয়ে প্রায় দুই হাজার বল কম খেলেছেন তামিম। মুশফিক-তামিমের পেছনে থাকা সাকিব আল হাসানের রান এই টেস্টে নামার আগ পর্যন্ত ৪ হাজার ২৯।
বাংলাদেশের হয়ে সবার আগে এক হাজার, দুই হাজার ও তিন হাজার রান করেন হাবিবুল বাশার সুমন। চার হাজার রানে প্রথম ছিলেন তামিম ইকবাল। পাঁচ হাজারে মুশফিক হলেন প্রথম। মুশফিকের আগে টেস্টে পাঁচ হাজার রান করেছেন বিশ্বের আরও ৯৮ জন ব্যাটসম্যান।
এই টেস্ট শুরুর আগে পাঁচ হাজারে যেতে ৬৮ রান দূরে ছিলেন মুশফিক। তামিম দূরে ছিলেন ১৫২ রানে। কিন্তু দারুণ এক সেঞ্চুরিতে ওপেন করতে নেমে তামিমই পাঁচ হাজার রানের কাছে চলে গিয়েছিলেন আগে। তবে ১৩৩ রান করার পর পেশির টানে তৃতীয় দিনের চা-বিরতির পর আর ফেরেননি।
এদিকে লিটন দাসকে নিয়ে জুটি বেধে দলকে টেনে নেওয়ার সঙ্গে মাইলফলকেও গেলেন তিনি। দুজনের জুটিতে এসে গেছে ১৪০ রান। শ্রীলঙ্কার ৩৯৭ রানের জবাবে ৩ উইকেটে ৩৬০ রান তুলে ফেলেছে বাংলাদেশ।
Comments