ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ে নাঈমের প্রত্যাবর্তন
গত বছরের শুরুতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজে ব্যর্থতার পর দলে জায়গা হারিয়েছিলেন নাঈম হাসান। এরপর কোনভাবেই সুযোগ মিলছিল না। এবার মেহেদী হাসান মিরাজের চোটে সুযোগ পেয়ে নিজের সামর্থ্যের প্রমাণ দিলেন অফ স্পিনার নাঈম হাসান। বিরুদ্ধ পরিস্থিতিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে নিলেন ৬ উইকেট।
দ্বিতীয় দিনের শেষ সেশনে গিয়ে আসিতা ফার্নেন্দোকে বোল্ড করে পঞ্চম উইকেট পান তিনি। ১৯৯ রানে থাকা অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউসকে ৬ষ্ঠ শিকার ধরে লঙ্কান ইনিংসও পরে মুড়ে দেন এই তরুণ। টেস্টে নাঈমের এটি তৃতীয় ৫ উইকেট। যার দুটিই এলো তার হোম গ্রাউন্ড চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে।
১০৬ রানে ৬ উইকেটই টেস্টে তার ক্যারিয়ার সেরা। এর আগে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৬১ রানে ৫ উইকেট ছিল তার সেরা বোলিং ফিগার।
আগের দিন প্রথম সেশনেই ২ উইকেট তুলেছিলেন নাঈম। ফ্লাট উইকেটের মতিগতি পড়ে ঝুলিয়ে বল করেছেন বেশিরভাগ সময়। দিমুথ করুনারত্নেকে কাবু করেন এলবিডব্লিউতে। ওসাদা ফার্নান্দোকে ক্যাচ বানান উইকেটের পেছনে।
প্রথম দিনের শেষ দুই সেশনে অবশ্য ছিলেন নিষ্প্রভ, ঝুলিয়ে বল দিলেও নিয়ন্ত্রণ করতে না পারায় বেশ কিছু রান বেরিয়ে যায় তার বল থেকে। দ্বিতীয় দিনেও উইকেট নেওয়ার আক্রমণাত্মক প্রক্রিয়া থেকে সরেননি তিনি।
দ্বিতীয় দিনের সকালের সেশনে নেমেও আর দুই উইকেট। এই সেশনে দীনেশ চান্দিমালকে নিয়ে যখন বড় জুটিতে বাংলাদেশের হতাশা বাড়াচ্ছিলেন ম্যাথিউস। তখনই লাঞ্চের ঠিক আগে প্রতিপক্ষে জোড়া আঘাত হেনে দলকে খেলায় আনেন তিনি।
নাঈমের বলে ৬৬ রানে থিতু থাকা চান্দিমাল সুইচ হিট করতে গিয়ে গড়বড় করে এলবিব্লিউ হন। ওই ওভারেই ভেতরে ঢোকা বলে নাঈম বোল্ড করে দেন নিরোশান ডিকভেলাকে।
শেষ সেশনে আসিতাকে বোল্ড করার পর পান ইনিংসের সবচেয়ে মূল্যবান উইকেট। তার বলে ১৯৯ রানে থাকা ম্যাথিউস উড়িয়ে মারার চেষ্টায় ধরা দেন স্কয়ার লেগে সাকিব আল হাসানের হাতে।
নাঈমের উল্লাসের মাঝে দুর্ভাগা এক রেকর্ডে নাম উঠে লঙ্কান অভিজ্ঞ ব্যাটারের। বাংলাদেশের মাটিতে টেস্টে এর আগে কেউ ১৯৯ রানে আউট হননি। ১৯৯ রানে ফেরা টেস্টের মাত্র দ্বাদশ ব্যক্তি তিনি। বাংলাদেশের বিপক্ষে এমন ঘটনা দ্বিতীয়বার।
ম্যাথিউসের আক্ষেপের মুহূর্তের জন্য আড়ালে পড়ে গেলেও ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ে প্রতিপক্ষের রাশ টেনে ধরার কাজটা করায় বাহবা পেতে পারেন নাঈম।
Comments