‘কিছু একটা’ বদলের চিন্তা করছেন ডমিঙ্গো

Russell Domingo
ছবি: ফিরোজ আহমেদ

একবার, দুইবার না। ব্যাপারটা ঘটছে অহরহ। প্রায়ই ব্যাটিং ধসে ডুবছে বাংলাদেশ দল। ভালো খেলতে খেলতে আচমকা খেই হারিয়ে মুমিনুল হকরা হয়ে যাচ্ছেন দিশেহারা। প্রধান কোচ রাসেল ডমিঙ্গো এই ধসের কারণ খুঁজে পাচ্ছেন না। তার মনে হচ্ছে কিছু পরিবর্তন দরকার, সেটা হতে পারে ব্যাটিং অর্ডারে।

ঢাকায় শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টে প্রথম ইনিংসে ২৪ রানে পড়েছিল ৫ উইকেট। সেখান থেকে মুশফিকুর রহিম-লিটন দাসের রেকর্ড জুটিতে ৩৬৫ পর্যন্ত করতে পেরেছিল। লঙ্কানদের ৫০৬ রানের পর দ্বিতীয় ইনিংসে নেমেও সেই ধস। ২৩ রানে ৪ উইকেট পড়ার পর এবার আর বেশি দূর না, ১৬৯ রানেই গুটিয়ে ম্যাচ হেরেছে বড় ব্যবধানে।

এমন ধস দেখা গেছে দক্ষিণ আফ্রিকায় সর্বশেষ সিরিজে। তার আগে এই চিত্র দেখা মিলেছে ঘরের মাঠে পাকিস্তানের বিপক্ষে।

শুক্রবার দলের হারের পর সংবাদ সম্মেলনে এসে এই অবস্থার কারণ খুঁজেছেন কোচ নিজেও, 'যদি উত্তরটা জানা থাকত (ধসের কারণ) তাহলে তো এরকম হতো না। ভিন্ন কিছু করতে হবে আমাদের। হতে পারে সেটা ব্যাটিং অর্ডার বদলানো। কিছু ব্যাপার ভেবে দেখতে হবে। ২৪ রানে ৫ উইকেট, ২৩ রানে ৪ উইকেট এসব পরিস্থিতি থেকে টেস্ট জেতা যায় না।'

'গত ৬ থেকে ৮ মাসে এটা (ধস) অনেক বেশিই হয়েছে। আমাদের তাই ভাবতে হবে, কিছু একটা বদল করা লাগবে।'

দুই ওপেনারের পর বাংলাদেশ দলের তিন নম্বরে নামেন নাজমুল হোসেন শান্ত। চারে অধিনায়ক মুমিনুল। পাঁচে মুশফিক ও ছয়ে লিটন। সাকিব আল হাসান সাত কিংবা ছয়েও মাঝেমাঝে নামেন।

টপ অর্ডারে তিন ও চার নম্বর জায়গায় রয়ে যাচ্ছে ঘাটতি। শান্ত একদমই ধারাবাহিক না, মুমিনুলের ব্যাটে চরম রান খরা। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে আগামী সিরিজেই হয়ত এসব জায়গায় দেখা যেতে পারে ভিন্নতা।

ডমিঙ্গো জানান, একাধিক টেস্টে ভালো অবস্থানে থেকেও হুট করে ম্যাচের লাগাম হাতছাড়া হয়েছে তাদের। বিষয়টি নিয়ে সবার মধ্যেই কাজ করছে হতাশা। তবে তিনি নিজে ক্রিকেটারদের যোগাতে চান বিশ্বাস,  'আমরা ভাল অবস্থানে থেকে আবার হুট করেই বাজে জায়গায় চলে যাচ্ছে। চারদিন ভাল খেলতে একটা সেশনে এমন বাজে খেলছি যে আর ফেরার জায়গা থাকছে না। আমি নিশ্চিত ক্রিকেটারদের জন্যও বিষয়টি হতাশার।'

'হতাশ তো লাগে। তবে জানি ছেলেরা চেষ্টার ত্রুটি করছে না। দু'একটি ব্যাপার পক্ষে আসেনি। আমরা একটা রিভিউ নিতে পারেনি, দু'একটা সিদ্ধান্ত বিপক্ষে গেছে। এখন গিয়ে যদি সবার সঙ্গে চিৎকার-চেঁচামেচি করি তাহলে, যদি বলে ওরা বাজে তাহলে তো লাভ হবে না। আমার কাজ হলো আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে আনা। যাতে ওয়েস্ট ইন্ডিজে জিততে পারি।'

Comments

The Daily Star  | English
Bangladesh-India relations

The Indian media and Bangladesh-India relations

The bilateral relationship must be based on a "win-win" policy, rooted in mutual respect, non-hegemony, and the pursuit of shared prosperity and deeper understanding.

17h ago