থামল আফিফের লড়াইও
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে টপ অর্ডার থেকে ভালো শুরু পাচ্ছিল না বাংলাদেশ। বিশ্বকাপ বিপর্যয়ের পর দলে অনেক বদল বদল আনলেও সেই অবস্থার পরিবর্তন হলো না। পাওয়ার প্লেতেই পড়ল ৩ উইকেট। সেই বিপর্যয় থেকে পরের ১০ ওভারেও বের হতে পারল না মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দল।
টস জিতে আগে ব্যাটিং বেছে প্রথম ১০ ওভারে টাইগাররা করতে পেরেছে কেবল ৪০ রান, হারিয়ে ফেলে ৪ উইকেট। পাকিস্তানকে জুতসই পুঁজি দেওয়া এখন অনেকটাই দুরূহ। ভরসা হয়ে রান বাড়াচ্ছিলেন আফিফ হোসেন। দুই ছক্কায় তার ৩৬ রানের ইনিংস থামে ১৩তম ওভারে। ১৩ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ৫ উইকেটে ৬১।
প্রথম ওভার কাটিয়ে দেয়ার পর দ্বিতীয় ওভারেই বিপদে পড়ে বাংলাদেশ। হাসান আলির অনেক বাইরের বল তাড়া উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন নাঈম শেখ।
৩ বলে ১ রান করে ফেরেন তিনি। অভিষিক্ত সাইফ হাসান ছিলেন সতর্ক। কিন্তু টেকনিকের গোলমালে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। মোহাম্মদ ওয়াসিমের মাঝারি পেসেই কাবু হয়ে স্লিপে উঠান সহজ ক্যাচ।
দলের বিপদে শান্তের অ্যাপ্রোচ ছিল ইতিবাচক। তেড়েফুঁড়ে রান বাড়ানোর চেষ্টা করলেও টাইমিং হচ্ছিল না। পঞ্চম ওভারে তারও ইতি ওয়াসিমের বলে।
ডানহাতি এই পেসারের বলে অনেকটা সরে এসে উড়াতে গিয়ে ক্যাচ উঠিয়ে বিদায় নেন তিনি। ১৪ বল খেলে ৭ রান করেন শান্ত।
পাঁচ ওভারে ১৫ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলে বাংলাদেশ। প্রথম ৫ ওভারে আসেনি একটিও বাউন্ডারি।
চারে নামা আফিফ হোসেনের ব্যাটে ৬ষ্ঠ ওভারে আসে প্রথম চার। হারিস রউফে লেগ স্টাম্পের বাইরের বলে ফাইন দিয়ে পাঠান সীমানার বাইরে।
পাওয়ার প্লেতে বাংলাদেশ আনে কেবল ২৫ রান, উইকেট হারায় তিনটি। আফিফের সঙ্গে জুটি বেঁধে প্রতিরোধে নেমেছিলেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ। তার চেষ্টাও বেশি দূর এগোয়নি। ১১ বলে ৬ রান করে তিনি বোল্ড হন মোহাম্মদ নাওয়াজের বলে। নবম ওভারে ৪০ রানে ৪ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। শাদাব খানের পরের ওভারে ফিরতে পারতেন আফিফও। আম্পায়ার এলবিডব্লিউ দিলেও রিভিউ নিয়ে বাঁচেন তিনি।
এরপরই মোহাম্মদ নাওয়াজকে দুই ছক্কা মারেন আফিফ। আশা বাঁড়ানো এই বাঁহাতি শাদাবের গুগলি বুঝতে না পেরেই স্টাম্পিং হয়ে ফিরে যান। ৩৪ বলে ২ চার, ২ ছক্কায় করেন ৩৬ রান।
Comments