সেঞ্চুরি পেলেন না মুশফিক, দ্রুত ৩ উইকেট হারালো বাংলাদেশ
আগের দিন অপরাজিত ছিলেন ৮২ রানে। সেঞ্চুরি ছিল একদম নাগালে। প্রতিপক্ষকে কোন সুযোগ না দেওয়া ইনিংসটা তিন অঙ্কে নিতে মনে হচ্ছিল তেমন কোন সংকট নেই সামনে। তবে একদম কাছে গিয়ে পারলেন না মুশফিকুর রহিম। সকালের প্রথম ঘণ্টাতেই তিন ব্যাটসম্যান হারিয়ে এলোমেলো দলের চেহারাও।
মুশফিক দাঁড়িয়ে ছিলেন ৮তম সেঞ্চুরির দ্বারে। এদিন আর ১০ রান যোগ করলে তামিম ইকবালকে ছাড়িয়ে টেস্টে দেশের হয়ে সর্বোচ্চ রানের মাইলফলকও স্পর্শ করা হতো তার। হলো না দুটোর কোনটিই। শনিবার চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে প্রথম ঘণ্টায় বাংলাদেশ যোগ করে ২৪ রান, হারায় ৩ উইকেট। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ১০৩ ওভারে বাংলাদেশের স্কোর ৭ উইকেটে ২৯৩।
আগের দিনের ৮২ রানের সঙ্গে ১৪ ওভার ক্রিজে থেকে মুশফিক যোগ করতে পারলেন ৯ রান। হাসান আলি সকালে দারুণ এক স্পেলে লিটন দাস ও ইয়াসির আলি চৌধুরী রাব্বিকে ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। হাসান, শাহীনদের তোপ দেখে নিজেকে গুটিয়ে রাখেন মুশফিক।
দিনের দ্বিতীয় ওভারেই উইকেট পায় পাকিস্তান। আগের দিনের সঙ্গে আর ১ রান যোগ করে বিদায় নেন লিটন। হাসানের ভেতরে ঢোকা দারুণ এক বলে পায়ে লাগে লিটনের। রিভিউ নিয়ে এলবিডাব্লিউ আউটে তাকে ফেরায় পাকিস্তান।
অভিষিক্ত ইয়াসির আলি এসে দেখিয়েছিলেন নিবেদন। ভাল বলগুলো সামলাচ্ছিলেন দৃঢ়তার সঙ্গে। কিন্তু হাসানের ভেতরে ঢোকা বল আলসে ভঙ্গিতে ড্রাইভ করতে গিয়ে পারেননি। ব্যাট-প্যাডের ফাঁক দিয়ে বল ভেঙ্গে দেয় তার স্টাম্প। ১৯ বলে ৪ রানে থামে তার প্রথম টেস্ট ইনিংস।
পুরো ইনিংসে নিবেদনের সর্বোচ্চ দেখিয়েছেন যে ব্যাটসম্যান। সেঞ্চুরি পাওয়া ছিল অনুমিত ব্যাপার। সেই মুশফিক হাসান, শাহীনকে সামলালেও আউট হলেন ফাহিম আশরাফের মিডিয়াম পেসে। অফ স্টাম্পের বাইরের বল ডিফেন্সের চেষ্টায় ছিলেন। বল ব্যাটে ছোবল দিয়ে জমা পড়ে কিপারের গ্লাভসে। আম্পায়ার আউট দিলেও ব্যাট-প্যাডের স্পর্শে আওয়াজ হলো কিনা এই সন্দেহ মেটাতে রিভিউ নিয়ে সফল হননি মুশফিক। ২২৫ বলে ১১ চারে ৯১ রানে থামে মুশফিকের ইনিংস।
Comments