রিজওয়ান-ফখরের ব্যাটে এগিয়ে যাচ্ছে পাকিস্তান
ব্যাটারদের ব্যর্থতায় আগের দিনের মতো আজও টাইগারদের মামুলী পুঁজি। তবে তাই নিয়ে এদিনও লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন টাইগার বোলাররা। শুরুতেই পাকিস্তানের সবচেয়ে বিপজ্জনক ব্যাটার অধিনায়ক বাবর আজমকেও ফেরায় দলটি। তবে এরপর ঘুরে দাঁড়িয়ে সফরকারীদের টেনে নিয়ে যাচ্ছেন ফখর জামান ও মোহাম্মদ রিজওয়ান।
মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের দেওয়া ১০৯ রান তাড়া করছে পাকিস্তান। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ১০ ওভারে ১ উইকেটে ৫০ রান করেছে সফরকারীরা। জিততে হলে করতে আরও ৬১ রান। হাতে রয়েছেন আরও ১০ ওভার। উইকেট ৯টি।
ছোট লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই এদিন দারুণ সাবধানী ব্যাটিং করে পাকিস্তান। তা সত্ত্বেও ওপেনিং জুটি টিকেনি বেশিক্ষণ। ইনিংসের তৃতীয় ওভারেই টাইগারদের ব্রেক থ্রু এনে দেন মোস্তাফিজুর রহমান। স্টাম্পের বাইরে বল টেনে এনে বোল্ড হয়ে যান পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর।
অধিনায়কের বিদায়ের পর পাকিস্তানের হাল ফখরকে নিয়ে ধরেন রিজওয়ান। অবিচ্ছিন্ন ৩৮ রানের জুটি গড়ে এগিয়ে যাচ্ছে পাকিস্তান। তবে রানের গতি সে অর্থে সচল রাখতে পারেনি দলটি। লক্ষ্য ছোট না হলে চাপে পড়ে যেতে পারতো তারা। ৩৩ বলে ২৬ রান করে উইকেট আছেন রিজওয়ান। ফখর ব্যাট করছেন ২১ রানে।
এর আগে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে আজও শুরুটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের। দলীয় ৫ রানেই সাজঘরে ফিরে যান দুই ওপেনার সাইফ হাসান ও মোহাম্মদ নাঈম শেখ। শাহিনের বলে এলবিডাব্লিউর ফাঁদে পড়েন সাইফ। যদিও আম্পায়ার শাহিনের আবেদনে অনড় ছিলেন। তবে সফল রিভিউতে সাইফকে ফেরায় পাকিস্তান।
আর নাঈম শেখ আউট হন ঠিক আগের ম্যাচের চিত্র ফিরিয়ে এনে। জায়গায় দাঁড়িয়ে অফস্টাম্পের বাইরে বলে খোঁচা দিয়ে আউট হন তিনি। পার্থক্য কেবল আগের দিন ক্যাচটা ধরেন উইকেটরক্ষক রিজওয়ান। আজ ক্যাচ দিয়েছেন স্লিপে দাঁড়ানো ফখর জামানের হাতে।
তবে তৃতীয় উইকেটে আফিফ হোসেনকে প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেন নাজমুল হোসেন শান্ত। ৪৬ রানের জুটিও গড়েন। কিন্তু হতাশ করেন আফিফ। লেগ স্পিনার শাদাব খানের বলে প্যাডল সুইপ করতে চেয়ে বিপদ ডেকে আনেন তিনি। ব্যাটের কানায় লেগে বল উঠে যায় উপরে। অনায়াসে আফিফের ক্যাচ লুফে নেন উইকেটরক্ষক মোহাম্মদ রিজওয়ান।
অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহও দায়িত্ব নিতে পারেননি। তবে অপর প্রান্তে চেষ্টা চালিয়েছিলেন শান্ত। দারুণ সেট হয়ে হাফসেঞ্চুরির দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলেন। কিন্তু শাদাবের বলে তার হাতে ক্যাচ তুলে ফিরেন যান এ ব্যাটার। এরপর শেষ দিকে আর কোনো ব্যাটার দায়িত্ব নিতে না পারলে সাদামাটা পুঁজিতেই শেষ হয় বাংলাদেশের ইনিংস।
দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪০ রানের ইনিংস শান্ত। ৩৪ বলে ৫টি চারের সাহায্যে এ রান করেন তিনি। ২১ বলে ১টি করে চার ও ছক্কায় ২০ রান করেন আফিফ। পাকিস্তানের পক্ষে ২টি করে উইকেট পেয়েছেন শাহিন শাহ ও শাদাব খান।
Comments