'তিনজনকে আউট করব, আবার ব্যাটিংয়ে পাঠাব, অলআউট করব'

ছবি: ফিরোজ আহমেদ

পাকিস্তান যখন প্রথম ইনিংসে ব্যাটিং থামাল, তখন চতুর্থ দিনের দেড় সেশনের বেশি শেষ। ম্যাচের আর তখন বাকি চার সেশনের কিছু বেশি। তাদের পুঁজিটাও আহামরি বড় নয়। ৩০০ রানেই ইনিংস ঘোষণা। এমন অবস্থায় প্রতিপক্ষকে দুবার অলআউট করা তো দূরের কথা, দ্বিতীয়বার ব্যাটিংয়ে নামানোই অনেকটা অলীক স্বপ্নের মতো ছিল। কিন্তু বাংলাদেশের বিপক্ষে তেমন কিছু করে দেখানোর মঞ্চই তৈরি করে ফেলেছে বাবর আজমের দল।

মঙ্গলবার মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে যেন উইকেট বিলিয়ে দেওয়ার প্রতিযোগিতায় নামেন বাংলাদেশের ব্যাটাররা। কে কার আগে সাজঘরে ফিরবেন তা নিয়ে যেন ছিল বড্ড তাড়া। যে যার মনমতো শট খেলেছেন, আউট হয়েছেন। ফলে বৃষ্টিতে লম্বা সময় ভেসে যাওয়ার পরও পাকিস্তানের ম্যাচ জেতা নিয়ে আশাবাদী হওয়া খুব একটা অবাস্তব চিন্তাও নয়।

চতুর্থ দিন শেষে ফলোঅনের বড় শঙ্কায় রয়েছে বাংলাদেশ। ৭৬ রান তুলতেই নেই প্রথম সারির ৭ উইকেট। লেজ বেরিয়ে এসেছে। অথচ ফলোঅন এড়াতে এখনও প্রয়োজন আরও ২৫ রান। যে ধারায় ব্যাটিং চলছে, তাতে পাকিস্তানকে ফের ব্যাটিংয়ে নামানো কঠিনই।

দিনশেষে সংবাদ সম্মেলনে তাই বেশ আত্মবিশ্বাসী শোনায় সাজিদ খানের কণ্ঠ। এদিন বাংলাদেশের ৬ ব্যাটারকে সাজঘরের রাস্তা একাই দেখান তিনি। শেষ দিনেও একই ধারা বজায় রাখার প্রত্যয় জানান তিনি, 'কাল (বুধবার) এই (শেষ) তিন জনকে আউট করব। তারপর তাদের আবার ব্যাটিংয়ে পাঠাব এবং আবার অলআউট করব। আমরা জেতার জন্যই নামব।'

মিরপুরের উইকেটও স্পিনারদের জন্য হয়ে উঠেছে সহায়ক। ঠিক জায়গায় বল করতে পারলে জয় পেয়ে যাবেন বলে আশা করছেন এ অফ স্পিনার, 'উইকেট যেমন আছে, আর যেভাবে টার্ন পাচ্ছি নতুন বল থেকে, আগামীকাল চেষ্টা থাকবে এভাবে বল করার। সাকলাইন (মুশতাক, কোচ) ভাইও বলেছেন জায়গা না ছাড়তে। এমনকি ফিল্ডিং দিয়ে আউট করতে। টার্ন না মিললেও ফিল্ডিং দিয়ে আউট করা যাবে।'

বাংলাদেশকে ফলোঅন করাতে না পারলেও উইকেটের সাহায্য নিয়ে ৩০০ রানের লক্ষ্য দাঁড় করিয়ে জয় তুলে নেওয়ার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী সাজিদ, 'আমরা চট্টগ্রামে যখন খেলেছি, বোলিংয়ে তেমন সুবিধা পাইনি। এখানে সুবিধা পাচ্ছি। এখানে টার্নও হচ্ছিল এবং সময় পাচ্ছিলাম। ওখানে আমি ৪টা (উইকেট) নিয়েছি প্রথম ইনিংসে, এরপর দ্বিতীয় ইনিংসে ৩টা। আমরা এই টেস্টে ওদের ৩০০ রানের লক্ষ্য দিতে চাই এবং জয় নিয়ে বাড়ি ফিরতে চাই।'

Comments

The Daily Star  | English

US tariff at 20% 'satisfactory', says Khosru

Will comment after knowing full details of the deal

57m ago