টেস্ট দলের অনুশীলনে নাঈমের নড়বড়ে প্রথম দিন
এক সপ্তাহ আগে হয়ত নাঈম শেখ নিজেও ভাবেননি টেস্ট দলে তার ডাক পড়তে পারে। কিন্তু বাংলাদেশের ক্রিকেটের বিচিত্র পথধরে সেটাই এখন বাস্তব। তবে লাল বলের ক্রিকেটে একেবারে আনকোরা এই ওপেনারের টেস্ট দলের সঙ্গে প্রথম অনুশীলনটা একদম ভালো হলো না।
পাকিস্তানের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টের জন্য হুট করেই স্কোয়াডে ডাকা হয় দীর্ঘ পরিসরের ক্রিকেটে অনভিজ্ঞ নাঈমকে। কোভিড-১৯ পরীক্ষা দিয়ে বৃহস্পতিবার তিনি যোগ দেন দলের অনুশীলনে।
নেটে পেসার সৈয়দ খালেদ আহমেদ, রেজাউর রহমান রাজাদের মোকাবেলা করেছেন তিনি। তবে লাল বলে পেসারদের বিপক্ষে তিনি ছিলেন বেশ নড়বড়ে। তার নড়বড়ে অবস্থা দেখে এক পর্যায়ে তাকে পেসারদের নেট থেকে সরিয়ে নেন কোচ অ্যাশওয়েল প্রিন্স ও রাসেল ডমিঙ্গো।
খালেদ ও রাজার অনেকগুলো বলে পরাস্ত হতে দেখা যায় তাকে। পেসার রাজার বলে একবার আপার কাট করতে গিয়ে ব্যাটে নিতে পারেননি। এ সময় হতাশায় মাথা নাড়তে দেখা যায় প্রিন্সকে। একে তো এই শটটি টেস্ট ক্রিকেটের সঙ্গে মাননসই নয়, তার উপর শটটিও ঠিক মতো খেলতে পারেননি তিনি। বাউন্সারগুলোতে বলের উপর চোখ রাখতে পারছিলে না।
নাঈমকে সরিয়ে নিলেও আরেক নেটে একই সময়ে অনুশীলন শুরু করা মাহমুদুল হাসান জয়কে আরও বেশ কিছুটা সময় ব্যাট করতে দেখা যায়।
টাইফয়েডে আক্রান্ত হয়ে সাইফ হাসান ছিটকে যাওয়ার পর দ্বিতীয় টেস্টের দলে বিশেষজ্ঞ ওপেনার হিসেবে আছেন সাদমান ইসলাম ও নাঈম। তবে আগের টেস্টেই অধিনায়ক মুমিনুল হক জানিয়েছিলেন ওপেনিংয়ে ব্যাকআপ হিসেবে নেওয়া হয়েছে জয়কে। তবে সাদমানের সঙ্গী হিসেবে নাঈম, জয়ের দুজনের কেউই নাও থাকতে পারেন। এমনিতে তিনে খেলা নাজমুল হোসেন শান্তকে ঢাকা টেস্টে দেখা যেতে পারে ওপেনিংয়ে।
চট্টগ্রামে প্রথম টেস্টের দুই ইনিংসেই বাংলাদেশের টপ অর্ডার ছিল ব্যর্থ। বিশেষ করে দুই ওপেনার একদম দাঁড়াতেই পারেননি। ওপেনিং নিয়ে চিন্তা তাই ছিল। তবে এই সমাধানের জন্য নাঈমকে টেস্ট ডাকা রীতিমতো বিস্ময়ের। গত কয়েকমাস ধরে জাতীয় দলের হয়ে টি-টোয়েন্টি খেললেও কোন পর্যায়েই দীর্ঘ পরিসরের ক্রিকেট খেলছিলেন না নাঈম।
প্রথম শ্রেনীতে সর্বশেষ তিনি খেলেছিলেন ১৮ মাস আগে। বিসিএলের সেই ম্যাচে দুই ইনিংসেই আউট হন শূন্য রানে। বাঁহাতি এই তরুণ প্রথম শ্রেণীর ম্যাচ খেলেছেন মাত্র ৬টি। তাতে তার গড় কেবল ১৬.৬৩।
টেস্ট স্কোয়াডে এসে অনুশীলনের প্রথম দিন আশার কোন ছবি দেখাতে পারেননি তিনি।
Comments