জাতীয় দলের সেটআপে আসার ৯৫৫ দিন পর ইয়াসিরের অভিষেক
২০১৯ সালের এপ্রিল মাসে প্রথমবার জাতীয় দলের সেটআপে এসেছিলেন ইয়াসির আলি চৌধুরী রাব্বি। সেবার আয়ারল্যান্ডে ত্রিদেশীয় ওয়ানডে সিরিজে ডাকা হয়েছিল তাকে। এরপর টেস্ট, ওয়ানডে, টি-টোয়েন্টি তিন সংস্করণেই বিভিন্ন সময় স্কোয়াডে ছিলেন তিনি। কিন্তু অভিষেক আর হচ্ছিল না। অবশেষে জাতীয় দলের সেটআপে আসার ৯৫৫ দিন পর নিজ শহর চট্টগ্রামে অভিষেক হলো তার।
দলের সঙ্গে বিভিন্ন সিরিজে ঘুরে ঘুরে অভিষেক না হওয়ার অলিখিত একটা রেকর্ডই করে ফেলেছিলেন ইয়াসির। আয়ারল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজে তিনি প্রথম ডাক পান জাতীয় দলের স্কোয়াডে। তার পরে দলে এসে টেস্ট অভিষেক হয়েছে তিনজনের, ওয়ানডে অভিষেক হয়েছে ছয়জনের। টি-টোয়েন্টি অভিষেক হয়েছে দশজনের। কিন্তু এতদিন ধরে এতগুলো ম্যাচের একটিতেও সুযোগ মেলেনি ইয়াসিরের।
শুক্রবার নিজ শহরে এসে দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান হলো ডানহাতি এই ব্যাটসম্যানের। টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের ৯৮তম ক্রিকেটার ইয়াসির। পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ শুরুর আগে তার হাতে ক্যাপ তুলে দেন অধিনায়ক মুমিনুল হক। তার অভিষেকের উপলক্ষ অবশ্য তৈরি হয়ে যায় সাকিব আল হাসান ছিটকে যাওয়ার পরেই।
ছয় নম্বরে সাকিবের জায়গায় একজন বাড়তি ব্যাটসম্যান নাকি বাড়তি বোলার এই নিয়ে ছিল দোলাচল। কিন্তু দলের অবস্থা ও কৌশল বিচার করে ব্যাটসম্যানের দিকেই গিয়েছে বাংলাদেশ। বাড়তি ব্যাটসম্যান হিসেবে তাই অভিষেক ক্যাপ পেলেন ইয়াসির।
প্রথম টেস্টে নামার আগে প্রথম শ্রেণিতে উজ্জ্বল রেকর্ড সঙ্গী ইয়াসিরের। এখন পর্যন্ত ৫৭ ম্যাচ খেলে ৫০.৩৭ গড়ে ৩৯৮০ রান করেছেন ইয়াসির। আছে ২৪ ফিফটি আর ৯ সেঞ্চুরি।
পাকিস্তানের বিপক্ষে চট্টগ্রামে প্রথম টেস্টে ইয়াসিরকে নিয়ে সাত ব্যাটসম্যান খেলাচ্ছে বাংলাদেশ। একাদশে বোলার আছেন চারজন।
বাংলাদেশ একাদশ: সাদমান ইসলাম, সাইফ হাসান, নাজমুল হোসেন শান্ত, মুমিনুল হক, মুশফিকুর রহিম, লিটন দাস, ইয়াসির আলি চৌধুরী রাব্বি, মেহেদী হাসান মিরাজ, তাইজুল ইসলাম, আবু জায়েদ রাহি, ইবাদত হোসেন।
Comments