ছয় বছরের অপেক্ষা ফুরিয়ে টেস্টে লিটনের প্রথম সেঞ্চুরি
আগের ২৫ টেস্টের ৪২ ইনিংসে নয়বার ছুঁয়েছিলেন ফিফটি। দুবার পৌঁছেছিলেন নব্বইয়ের ঘরে। কিন্তু সেঞ্চুরি অধরাই রয়ে গিয়েছিল লিটন দাসের। অবশেষে ২৬তম ম্যাচে এসে অপেক্ষা ফুরোল তার। বিপর্যয়ের মাঝে দাঁড়িয়ে দায়িত্বশীল ব্যাটিং উপহার দিলেন তিনি। ছয় বছরের টেস্ট ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরির অনির্বচনীয় স্বাদ নিলেন বাংলাদেশের এই ডানহাতি উইকেটরক্ষক-ব্যাটার।
শুক্রবার পাকিস্তানের বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম দিনের তৃতীয় সেশনে তিন অঙ্কের ম্যাজিক্যাল ফিগার স্পর্শ করেন লিটন। সেঞ্চুরির জন্য তাকে খেলতে হয়েছে ১৯৯ বল। তার দর্শনীয় ইনিংসে দশ চারের পাশাপাশি রয়েছে একটি ছয়। তিনি ফিফটি পেয়েছিলেন ৯৫ বলে।
বাংলাদেশের ইনিংসের ৭৮তম ওভারে নুমান আলির বল মিড অফে ঠেলে দিয়ে সিঙ্গেল নিয়ে মাইলফলকে পৌঁছান লিটন। বিপদ অবশ্য ঘটতে পারত। যদিও ডাইভ দিয়ে ক্রিজে ঢুকে পড়েন, তবুও হতে পারতেন রানআউট। পাকিস্তানের ফিল্ডারের থ্রো স্টাম্পে না লাগায় মেলে রক্ষা।
চলতি বছর টেস্টে রানের মধ্যেই আছেন লিটন। তবে টি-টোয়েন্টিতে সুবিধা করতে পারছেন না। বিশ্বকাপে ব্যর্থতার কারণে পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের দল থেকে বাদ পড়েন তিনি। তাই দুঃসময় কাটানোর দায় ছিল লিটনের। টেস্ট খেলতে নেমেই রানের দেখা পেলেন তিনি। ফেরাকে রাঙালেন সেঞ্চুরিতে।
২০২১ সালে সাদা পোশাকের ক্রিকেটে উইকেটরক্ষকদের মধ্যে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক লিটন। এই বছর আগের পাঁচ টেস্টে তার ইনিংসগুলো হলো যথাক্রমে ৩৮, ৬৯, ৭১, ২২, ৫০, ৮, ১৭ ও ৯৫।
গত জুলাইতে জিম্বাবুয়ে সফরে বাংলাদেশের সবশেষ টেস্টে হারারেতে ৯৫ রান করেছিলেন লিটন। সেটা ছিল এই সংস্করণের ক্রিকেটে তার আগের সর্বোচ্চ ইনিংস। সেবার ছক্কা মারার চেষ্টায় উইকেট খুইয়েছিলেন। এর আগে ২০১৮ সালেও চট্টগ্রামে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৯৪ রানে একই কায়দায় আউট হয়েছিলেন তিনি।
এদিন অবশ্য নব্বইয়ের ঘরে ঢুকে রয়েসয়ে খেলেন লিটন। বাড়তি ঝুঁকি নেননি। তবে ব্যক্তিগত ৬৭ রানে একবার জীবন পান তিনি। শর্ট মিডউইকেটে শাহিন শাহ আফ্রিদির বলে তার সহজ ক্যাচ ফেলে দেন সাজিদ খান।
২০১৫ সালের জুনে টেস্ট অভিষেক হয়েছিল ২৭ বছর বয়সী লিটনের। ফতুল্লায় ঘরের মাঠে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ ছিল ভারত।
Comments