উইকেট ধরে রাখলেও রানের চাকায় গতি নেই
আগের ম্যাচে তিনে নেমে বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪০ রানের ইনিংস খেলেছিলেন নাজমুল হাসান শান্ত। একাদশে বদল আসায় তিন উঠে এলেন ওপেনিংয়ে। কিন্তু পারলেন না সুবিধা করতে। তার দ্রুত বিদায়ের পর দলকে এগিয়ে নিতে থাকলেন নাঈম শেখ ও একাদশে ফেরা শামীম পাটোয়ারী। তবে রানের চাকা হলো না সচল। শামীমের বিদায়ের পর উইকেটে নাঈমকে সঙ্গ দিচ্ছেন আফিফ হোসেন।
সোমবার মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ ও পাকিস্তান। এই প্রতিবেদন লেখার সময়, টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামা স্বাগতিকদের সংগ্রহ ১০ ওভারে ২ উইকেটে ৫২ রান। কিছু বাউন্ডারি পেলেও প্রচুর ডট বল খেলছে তারা। নাঈম ২৫ বলে ২০ ও আফিফ ৭ বলে ৩ রানে খেলছেন।
সাইফ হাসান বাদ পড়ায় বাংলাদেশ পায় নতুন উদ্বোধনী জুটি। ব্যাটিং অর্ডারের উপরে উঠে নাঈমের সঙ্গী হন শান্ত। তবে ইনিংসের শুরুতে চলা ব্যর্থতার বৃত্ত ভাঙা পড়েনি। পাকিস্তানের অভিষিক্ত পেসার শাহনেওয়াজ দাহানি বোল্ড করে দেন শান্তকে। অনেকটা ইয়র্কার লেংথের ডেলিভারি ফ্লিক করতে চেয়েছিলেন বাঁহাতি ব্যাটার। ব্যাটে-বলে সংযোগ একদমই হয়নি। তিনি লাইন মিস করায় উপড়ে যায় স্ট্যাম্প। ৫ বলে ১ বাউন্ডারিতে শান্তর রান ৫।
দ্বিতীয় ওভারে দলীয় ৭ রানে প্রথম উইকেটের পতনের পর জুটি বাঁধেন নাঈম ও শামীম। দ্বিতীয় উইকেটে তারা গড়েন ৩৫ বলে ৩০ রানের জুটি। অষ্টম ওভারে আক্রমণে এসেই তাদেরকে বিচ্ছিন্ন করেন লেগ স্পিনার উসমান কাদির। ডট বলের চাপ সরাতে ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে এসে বড় শট খেলতে চেয়েছিলেন বাঁহাতি শামীম। কিন্তু মিডউইকেটে সীমানার কাছে তিনি ধরা পড়েন ইফতিখার আহমেদের হাতে। বাউন্ডারি দিয়ে ইনিংস শুরু করা শামীমের সংগ্রহ ২২ রান। ২৩ বলের ইনিংসে ৪টি চার মারেন তিনি।
এই ম্যাচে পাওয়ার প্লেতে মাত্র ১ উইকেট হারালেও বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি ঢঙে রান তুলতে পারেনি। সেসময় আসে ৩৩ রান। পরের ৪ ওভারে আরও ১ উইকেট হারিয়ে তারা তুলেছে ১৯ রান। ওপেনার নাঈম শুরু থেকে ক্রিজে থাকলেও স্বাচ্ছন্দ্যে খেলতে পারছেন না। অন্যদিকে, হাসান আলী-শাহিন শাহ আফ্রিদি-শাদাব খানদের ছাড়াই পাকিস্তানের বোলিং আক্রমণ ভোগাচ্ছে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দলকে।
বাংলাদেশ একাদশ:
নাঈম শেখ, নাজমুল হোসেন শান্ত, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, আফিফ হোসেন, নুরুল হাসান সোহান, শেখ মেহেদী হাসান, শামীম পাটোয়ারী, তাসকিন আহমেদ, আমিনুল ইসলাম বিপ্লব, নাসুম আহমেদ ও শহিদুল ইসলাম।
পাকিস্তান একাদশ:
বাবর আজম, মোহাম্মদ রিজওয়ান, সরফরাজ আহমেদ, হায়দার আলি, খুশদিল শাহ, ইফতিখার আহমেদ, মোহাম্মদ নওয়াজ, শাহনেওয়াজ দাহানি, উসমান কাদির, হারিস রউফ, মোহাম্মদ ওয়াসিম জুনিয়র।
Comments