অন্তত শেষটায় মিলবে স্বস্তি?
মাহমুদউল্লাহদের শরীরী ভাষাতে নেই বারুদের ছিটেফোঁটা। বিশ্বকাপ বিপর্যয়ের রেশ থাকতেই পাকিস্তানের কাছে প্রথম দুই ম্যাচ হেরেই সিরিজ খুইয়ে বসা বাংলাদেশ তৃতীয় ম্যাচটায় কোন শক্তি নিয়ে নামবে? এই প্রশ্ন এখন বড়। দলে অদল-বদল এনেও যে কোন কিছুই পক্ষে আসছে না।
সোমবার মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে তৃতীয় ম্যাচটা হয়ে গেলে লম্বা সময় এই সংস্করণের বাইরে থাকবে বাংলাদেশ দল। আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ও ওয়ানডে সুপার লিগের খেলা নিয়ে আগামী এপ্রিল পর্যন্ত ব্যস্ত থাকবে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা।
তার আগে সংক্ষিপ্ততম সংস্করণে না পারায় অস্বস্তি খানিকটা কাটানোর শেষ সুযোগ আজই।
স্কটল্যান্ডের কাছে হার দিয়ে বিশ্বকাপ শুরুর পর ওমান ও পাপুয়া নিউগিনির বিপক্ষে দুই জয়। সুপার টুয়েলভে টানা পাঁচ হার। বিবর্ণ এক দল পাকিস্তানের বিপক্ষে পেরে উঠার অবস্থায় ছিল না। এরমধ্যে দলে এসেছিল ৬ বদল। নতুনদের সুযোগ দিয়েও মেলেনি আশার ছবি।
দুই ম্যাচেই দেখা গেছে চরম ব্যাটিং ব্যর্থতা। প্রথম ম্যাচে অন্তত লড়াই করা গেলেও পরেরটিতে পাত্তাও পায়নি মাহমুদউল্লাহর দল। অধিনায়ক নিজে কতটা খেলায় সম্পৃক্ত সেই প্রশ্ন উঠতে বাধ্য। সিরিজ শুরুর আগের সংবাদ সম্মেলনে বিমর্ষ এক চেহারায় মাহমুদউল্লাহ উত্তর দিয়ে যাচ্ছিলেন বিচ্ছিন্নভাবে। দলের উপর তার নিয়ন্ত্রণ কতটা সেটাও বোঝা যাচ্ছিল না।
এমন একটা বিপর্যস্ত দলের কাছ থেকে দারুণ কিছু আশা করা বাড়াবাড়ি। অনুমিতভাবে নতুন শুরুর বার্তাও দিতে পারেননি তারা।
তবে শেষ ম্যাচটায় একটা জয় আবার বদলে দিতে পারে দৃশ্যপট। ফের আশার পালে হাওয়া লাগিয়ে এই সংস্করণে আপাতত বিরতি নিতে পারবে টিম ম্যানেজমেন্ট। তলিয়ে দেখার সুযোগ পাবে কোনটা করলে ভালো।
শেষ ম্যাচে একাদশে নিশ্চিতভাবেই বদল আসতে যাচ্ছে। তরুণ ওপেনার সাইফ হাসানকে প্রথম দুই ম্যাচে নামিয়ে কোন লাভ হয়নি। দুই ম্যাচ মিলিয়ে তিনি খেলেছেন ৯ বল, রান করেছেন ১। তাকে তাই ছেঁটে ফেলে নেওয়া হয়েছে পারভেজ হোসেন ইমনকে। শেষ ম্যাচে তার অভিষেকের সম্ভাবনা উজ্জ্বল।
দ্বিতীয় ম্যাচে চোট পেয়েছিলেন মোস্তাফিজুর রহমানও। তার জায়গাতেও আসবে বদল। কামরুল ইসলাম রাব্বি বা শহিদুল ইসলামের একজনের অভিষেক হয়ত দেখা যাবে।
অভিষেকের অপেক্ষায় আছে ইয়াসির আলি চৌধুরী রাব্বিও। দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন সংস্করণে দলের সঙ্গে ঘুরতে থাকা ইয়াসির এই সিরিজেও সুযোগ না পেলে তার জন্য নিশ্চিতভাবেই সেটা হতাশার।
ঝুঁকির মধ্যে আছেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহও। বিবর্ণ বিশ্বকাপ শেষে কেবল অধিনায়কত্বের সংকটের কারণেই হয়ত টিকে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তার পারফরম্যান্স এখনো মলিন। প্রথম ম্যাচে ৬ ও পরেরটিতে আউট হন ১২ রান করে। কয়েকমাস পর টি-টোয়েন্টি দল গুছিয়ে নতুনভাবে করার দিকে হাঁটতে পারে বাংলাদেশ। সেই দলে তার ঠাঁই হবে কিনা নির্ধারণ করতে পারে শেষ ম্যাচের পারফরম্যান্স।
সিরিজ জিতে যাওয়ায় একাদশে একাধিক বদল নিয়ে নামতে পারে পাকিস্তান। সন্তানের অসুস্থ হওয়ার খবরে খেলার আগেই দুবাই উড়ে গেছেন শোয়েব মালিক। একটা বদল নিশ্চিতই। এছাড়াও যারা ম্যাচ পাননি তাদের খেলতে দেখার সম্ভাবনা প্রবল।
Comments