মুশফিকের সেই শট নিয়ে মুমিনুলের সাফাই
ঘটনা আগের দিনের। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৮০ রানে গুটিয়ে ৩৩২ রানে বিধ্বস্ত হওয়ার পর সেটা ফিরে এলো আবার। টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন মুশফিকুর রহিমের ব্যাখ্যাতীত আত্মঘাতি রিভার্স সুইপ নিয়ে আগের দিন হতাশা জানালেও অধিনায়ক মুমিনুল হক গাইলেন সাফাই। এমনকি এই শট নিয়ে মুশফিকের সমালোচনাকে তিনি দেশের জন্য, দলের জন্যই খারাপ মনে করছেন।
তৃতীয় দিনে ফলোঅন এড়াতে লড়ছিল বাংলাদেশ। ফিফটি করা মুশফিক ছিলেন দলের শেষ ভরসা। লাঞ্চ বিরতির খানিক আগে অফ স্পিনার সাইমন হার্মারকে রিভার্স সুইপ মারতে গিয়ে হন বোল্ড। এরপর দিকভ্রান্ত দল গুটিয়ে যায় দ্রুতই।
এর আগেও ম্যাচের পরিস্থিতির দাবির বাইরে মুশফিককে এই শট খেলে আত্মাহুতি দিতে দেখা গেছে। বারবার এমনটা ঘটায় উঠেছে সমালোচনার ঝড়। প্রোটিয়াদের বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশড হয়ে আসার পর সংবাদ সম্মেলনে মুশফিকের ওই শটের পক্ষে যুক্তি তুলে ধরলেন মুমিনুল, 'মুশফিক ভাইয়ের আউটটা নিয়ে…আসলে দেখেন আমার কাছে মনে হয় উনার ওয়ানডে, টেস্ট (এই শট খেলেন)। আপনারা হয়ত খুব বেশি এটা নিয়ে কথা বলেন, বলতেই পারেন। রিভার্স সুইপ ক্রিকেটেরই একটা শট, তাই না? এটা তো ক্রিকেটের বাইরে কোন শট না। এই শট তো খেলতেই পারে। উনার গেম প্লানে যদি থাকে তাহলে খেলবেই। এমন না যে এটা খেলে রান করেনি বা অসফল। আমার মনে হয় উনাকে সমর্থন করা (উচিত)...আমি উনাকে সমর্থন করি।'
মুমিনুল সফলতার কথা বললেও পরিসংখ্যান দিচ্ছে ভিন্ন ছবি। ২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে সব সংস্করণ মিলিয়ে এই নিয়ে চারবার রিভার্স সুইপ খেলতে গিয়ে আউট হয়েছেন মুশফিক। গত বছর তিনি বলেছিলেন এটা তার প্রিয় শট, কিন্তু এই শট খেলে খুব বেশি বাউন্ডারি মারতে পারেননি তিনি। এই সময়ে ১৮ বারের চেষ্টায় রিভার্স সুইপে কেবল দুই বাউন্ডারি এসেছে মুশফিকের ব্যাটে।
৮০তম টেস্ট খেলা মুশফিক দলের সবচেয়ে অভিজ্ঞ। এত অভিজ্ঞতা নিয়ে পরিস্থিতি পড়তে না পারা হতাশারই। তবে এই বিষয়ক আলোচনাকে বড় করে দেখা উল্টো পছন্দ হচ্ছে না মুমিনুলের, তার কাছে মনে হচ্ছে এতে দেশ ও দলের খারাপ হবে, 'এটা কিন্তু ইয়া না…আমি আগেও বলেছি এই শট খেলে সফলতা কিন্তু আপনিও দেখেছেন, আমিও দেখেছি। আপনাদের আমি অনুরোধ করব, মানতেও পারেন, নাও পারেন। আপনারা যদি জিনিসটা নিয়ে অনেক বেশি বড় করেন, জিনিসটা বলতে থাকেন উনার নিজের জন্য খারাপ, বাংলাদেশ দলের জন্য খারাপ, দেশের জন্য খারাপ।'
পোর্ট এলিজাবেথে প্রথম ইনিংসে দক্ষিণ আফ্রিকার ৪৫৩ রানের জবাবে ২১৭ রানে গুটিয়ে ফলোঅনে পড়েছিল বাংলাদেশ। ফলোঅন না করিয়ে নিজেরাই আবার ব্যাট করতে নামে স্বাগতিকরা। ৬ উইকেটে ১৭৬ রান করে ইনিংস ছেড়ে দিয়ে চেপে ধরে মুমিনুলদের। ৪১৩ রানের লক্ষ্য পেয়ে তৃতীয় দিনেই ২৭ রানে পড়েছিল ৩ উইকেট। চতুর্থ দিনে বাকি ৭ উইকেট পড়ে যায় এক ঘণ্টার মধ্যে।
Comments