‘মুশফিকই ভালো জানে ব্যাখ্যাটা কি’

দিনের শেষে বিশাল হারের সামনে দাঁড়িয়ে মুশফিকের সেই শটের ব্যাখ্যা খুঁজতে গিয়ে চরম হতাশা জানালেন খালেদ মাহমুদ সুজন।
ফাইল ছবি: ফিরোজ আহমেদ

দলের বিপদে প্রতিরোধ গড়ে দিনের শুরুটা দারুণ করেছিলেন ইয়াসির আলি ও মুশফিকুর রহিম। ইয়াসির ফিরে যাওয়ার পর মুশফিকই ছিলেন ভরসা। কিন্তু ফিফটি করার পর লাঞ্চের ঠিক আগে অবিশ্বাস্য এক শটে আত্মাহুতি দেন তিনি। বাংলাদেশও হুড়মুড়িয়ে ধসে যায়। তৃতীয় দিনের শেষে বিশাল হারের সামনে দাঁড়িয়ে মুশফিকের সেই শটের ব্যাখ্যা খুঁজতে গিয়ে চরম হতাশা জানালেন খালেদ মাহমুদ সুজন।

লাঞ্চের ঠিক এক ওভার আগের ঘটনা। অফ স্পিনার সাইমন হার্মারকে ৪৭ থেকে ৫১ রানে পৌঁছান মুশফিক। টেস্টে ২৫তম ফিফটি পাওয়ার পরই যেন নিজের  কাজ শেষ মনে করলেন তিনি। তখনো ফলোঅন এড়াতে দরকার ৪৪ রান। ওই চারের পর আম্পায়ার আউট না দেওয়ায় এবং প্রোটিয়াদের রিভিউ না থাকায় এলবিডব্লিউ থেকে রক্ষা পান। এরপরই বিস্ময়করভাবে  ফুললেন্থের বল আচমকা রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে বোল্ড হয়ে যান তিনি।

চমকে উঠে প্রতিপক্ষ, চমকে উঠেন ধারাভাষ্যকাররাও।  ৪১৩ রান তাড়ায় দ্বিতীয় ইনিংস শুরু হয়েও ২৭ রানে ৩ উইকেট পড়ে গেছে। তবে দিনের খেলা শেষে সংবাদ সম্মেলনে ফিরে এলো প্রথম ইনিংসের প্রসঙ্গ। সেটা যে এই দিনেরই ঘটনা। টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ জানলেন কতটা প্রত্যাশার বাইরে ছিল তার এই শট, যার ব্যাখ্যাও খুঁজে পাচ্ছেন না তারা,  'মুশফিকের আউট অবশ্যই প্রত্যাশিত না। লাঞ্চের কয়েক মিনিট বাকি ছিল। এমন অবস্থায় এই শট আমরা চাই না, আর ৪৩ টা রান বাকি ছিল ফলোঅন এড়ানোর। যদিও ওরা আমাদের ফলোঅন করায়নি।  কিন্তু মান সম্মানের তো একটা ব্যাপার। তাদের একটা সিদ্ধান্তের ব্যাপার ছিল। সেও জানত যে সে আমাদের শেষ স্বীকৃত ব্যাটসম্যান ছিল ওই সময়টায়।'

সেই ২০০৫ সালে টেস্ট আঙিয়ান পা রাখা মুশফিক পোর্ট এলিজাবেথে নেমেছিলেন নিজের ৮০তম টেস্টে। টিম ডিরেক্টর এত অভিজ্ঞতায় ঋদ্ধ একজনের কাছ থেকে এমন শটের কোন ব্যাখ্যাই খুঁজে পাচ্ছেন না,  'খুবই অপ্রত্যাশিত যে ওই সময় ওরকম একটা শট খেলবে কেউ। ওর মতো এত অভিজ্ঞ খেলোয়াড়, ওর কাছ থেকে তো অবশ্যই আমরা আশা করব না। ব্যাখ্যাটা কি আমি আসলে বলতে পারব না। সে ভালো জানে। সত্যি কথা বলতে দুর্ভাগ্যজনক।' 

'ওয়ানডে, টি-টোয়েন্টিতে আমরা জানি রান করতে হয়। সেখানে ঠিকাছে (রিভার্স সুইপ)। টেস্টে যখন পরিস্থিতি দাবি করে টিকে থাকার সেখানে এরকম শট… উত্তরটাই সেই দিতে পারবে কেন এরকম শট। তবে আমরা এটা আশা করিনি।'

মিরাকল না ঘটলে চতুর্থ দিনেই হয়ে যাবে পোর্ট এলিজাবেথ টেস্টের ফায়সালা। ম্যাচ জিততে স্বাগতিকদের দরকার ৭ উইকেট, বাংলাদেশের চাই আরও ৩৮৬ রান। প্রথম ইনিংসে প্রোটিয়ারা ৪৫৩ রান করার পর ২১৭ রানে গুটিয়ে ফলোঅনে পড়েন মুমিনুলরা। ডিন এলগার বাংলাদেশকে ফলোঅন না করিয়ে তার বোলারদের বিশ্রাম দেন। ৬ উইকেটে ১৭৬ রান যোগ করে ইনিংস ঘোষণা দিয়ে শেষ বিকেলে কেশব মহারাজ-সাইমন হার্মার মিলে ত্রাস ছড়ান বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ে।

মাহমুদের মতে ব্যাটিং-বোলিং সব মিলিয়েই প্রতিপক্ষের কাছে কোণঠাসা হয়েছেন তারা, 'গত ৩ দিন ধরেই সাউথ আফ্রিকা আমাদের একদম আউটপ্লেইড করে দিয়েছে। আমার মনে হয় না যে আমরা খুব একটা ভাল বলও করেছি।'

Comments

The Daily Star  | English

How could ex-IGP Benazir flee country? asks Fakhrul

The BNP leader terms AL's said tough stance on graft 'an eyewash

1h ago