গত ১০ বছরে দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে তাসকিনই 'প্রথম'
প্রায় আট বছরের ব্যবধানে ওয়ানডে ক্যারিয়ারে দ্বিতীয়বারের মতো ৫ উইকেট শিকারের স্বাদ নিলেন তাসকিন আহমেদ। বল হাতে তোপ দেগে বাংলাদেশের এই ডানহাতি গতি তারকা অচেনা হয়ে ওঠা এক ঘটনা মনে করিয়ে দিলেন। সময়ের হিসেবে গত দশ বছরে ওয়ানডেতে দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে তাদের বিপক্ষে ৫ উইকেট নেওয়া প্রথম পেসার তিনি।
বুধবার সেঞ্চুরিয়ানে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে ৯ ওভারে ৩৫ রানে ৫ উইকেট নেন তাসকিন। তার আগুন ঝরানো বোলিংয়ের কোনো জবাব জানা ছিল না দক্ষিণ আফ্রিকার। সুপারস্পোর্ট পার্কে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ৩৭ ওভারে তারা অলআউট হয় মাত্র ১৫৪ রানে। তাতে বাংলাদেশ পাচ্ছে দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে প্রথমবারের মতো কোনো সিরিজ জয়ের সুবাস।
তাসকিনের আগে ওয়ানডেতে দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে স্বাগতিকদের বিপক্ষে শেষবার ফাইফার নেওয়া পেসার ছিলেন লাসিথ মালিঙ্গা। ২০১২ সালের ১১ জানুয়ারি শ্রীলঙ্কার সাবেক এই তারকা ১০ ওভারে ৫ উইকেট শিকার করতে খরচ করেছিলেন ৫৪ রান। এরপর পেরিয়ে গেছে এক দশকেরও বেশি সময়। কিন্তু কেউই পাচ্ছিলেন না ৫ উইকেটের দেখা। অবশেষে তাসকিনের হাত ধরে অবসান হলো দীর্ঘ অপেক্ষার।
এদিন ১৩তম ওভারে কাইল ভেরেইনাকে বোল্ড করে নিজের উইকেট উৎসবের শুরু করেন তাসকিন। এরপর ধারাবাহিকতা বজায় রেখে একে একে তুলে নেন আরও ৪ উইকেট। ১৫তম ওভারে তার বলে কুপোকাত হন ইয়ানেমান মালান। পরের স্পেলে যেন আরও বিধ্বংসী হয়ে ওঠেন তিনি! ২৫তম ওভারে ডোয়াইন প্রিটোরিয়াসকে সাজঘরে ফেরানোর পর ২৯তম ওভারে ধরেন জোড়া শিকার।
ওই ওভারের তৃতীয় ডেলিভারিতে দক্ষিণ আফ্রিকার আশার আলো হয়ে জ্বলতে থাকা ডেভিড মিলারকে নিভিয়ে দেন তাসকিন। এরপর ওভারের শেষ বলে কাগিসো রাবাদা হন তার পঞ্চম শিকার। তার পরের উইকেটগুলোর প্রতিটিতেই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন মুশফিকুর রহিম। দারুণ চারটি ক্যাচ লুফে নেন এই উইকেটরক্ষক-ব্যাটার।
Comments