ব্রোঞ্জও পেলেন না জোকোভিচ
একই বছরে চারটি গ্র্যান্ড স্ল্যামের সবকটি ও অলিম্পিকে সোনার পদক জিতে ঐতিহাসিক গোল্ডেন স্ল্যাম অর্জনের লক্ষ্যে টোকিও অলিম্পিকে অংশ নিয়েছিলেন। কিন্তু প্রতিযোগিতার শেষদিকে গিয়ে একেবারেই ছন্দ হারিয়ে ফেললেন। তাই বিশ্বের এক নম্বর টেনিস খেলোয়াড় নোভাক জোকোভিচের গলায় সোনার পদক তো দূরের কথা, উঠল না ব্রোঞ্জও!
এবারের অলিম্পিকে অঘটনের পর অঘটনের শিকার হয়েছেন সার্বিয়ার মহাতারকা জোকোভিচ। শনিবার আরিয়াকে টেনিস পার্কে ছেলেদের এককের জমজমাট ম্যাচে তাকে ২-১ সেটে হারিয়ে ব্রোঞ্জ পেয়েছেন স্পেনের পাবলো ক্যারেনিয়ো বুস্তা। দুই ঘণ্টা ৪৭ মিনিটের নান্দনিক লড়াই শেষে বুস্তা জিতেছেন ৬-৪, ৬-৭ (৬-৮) ও ৬-৩ গেমে।
প্রথম সেটে অনায়াসে জেতেন বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ের ১১তম অবস্থানে থাকা বুস্তা। দ্বিতীয় সেটে পিছিয়ে থাকলেও ঘুরে দাঁড়িয়ে টাইব্রেকারে জিতে সমতায় ফেরেন ৩৪ বছর বয়সী জোকোভিচ। কিন্তু পাঁচের অধিক ম্যাচ পয়েন্ট বাঁচিয়েও শেষরক্ষা হয়নি তার। স্নায়ুচাপ সামলে তৃতীয় সেটেও অসাধারণ পারফরম্যান্স উপহার দেন বুস্তা। ৫-৩ গেমে এগিয়ে থাকা অবস্থায় জোকোভিচের শট নেটে আটকে গেলেই উল্লাসে মাতেন তিনি। স্মরণীয় জয় তুলে নিয়ে অলিম্পিকের মঞ্চে নিজ দেশ স্পেনকেও গর্বিত করেন।
আগের দিন সেমিফাইনালে জার্মানির আলেক্সান্দার জেভরেভের সঙ্গে পেরে ওঠেননি রেকর্ড ২০টি গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয়ী জোকোভিচ। প্রায় দুই ঘন্টার লড়াই শেষে তিনি হার মানেন ১-৬, ৬-৩ ও ৬-১ গেমে। তাতে ধূলিসাৎ হয়ে যায় তার গোল্ডেন স্ল্যাম জয়ের স্বপ্ন। চলতি বছর এখন পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হওয়া তিনটি গ্র্যান্ড স্ল্যামের সবকটি জিতেছেন তিনি। তাই অলিম্পিকে সোনা ও ইউএস ওপেন জেতার লক্ষ্য ছিল জোকোভিচের সামনে। কিন্তু অলিম্পিকে তিনি পারেননি সামর্থ্যের ছাপ রাখতে, পেলেন চতুর্থ স্থান।
ইতিহাসের প্রথম ও একমাত্র নারী টেনিস খেলোয়াড় হিসেবে গোল্ডেন স্ল্যামের রেকর্ড নিজের দখলে রেখেছেন জার্মানির স্টেফি গ্রাফ। কিংবদন্তি এই সাবেক তারকা ১৯৮৮ সালের সউল অলিম্পিকে স্বর্ণ পদক গলায় ঝোলানোর পাশাপাশি ওই বছরের সবকটি গ্র্যান্ড স্ল্যাম জিতেছিলেন। কোনো পুরুষ খেলোয়াড়ের পক্ষে এখনও তার কীর্তি ছোঁয়া সম্ভব হয়নি।
এককে না পারলেও মিশ্রে দ্বৈতে জোকোভিচের সামনে সুযোগ ছিল ব্রোঞ্জ পদক জয়ের। কিন্তু কাঁধের চোটের কারণে নিজেকে অলিম্পিক থেকে সরিয়ে নিয়েছেন তিনি। ফলে জোকোভিচ ও নিনা স্তোয়াইয়ানোভিচের বিপক্ষে ওয়াকওভার পেয়ে ব্রোঞ্জ জিতেছেন অস্ট্রেলিয়ার জন পিয়ার্স ও অ্যাশলি বার্টি জুটি।
Comments