ছেলেদের টেনিসে সোনার পদক জেভরেভের
ক্যারিয়ারে এখনও কোনো গ্র্যান্ড স্ল্যাম জেতা হয়নি তার। তবে টোকিও অলিম্পিকের ফাইনালে তিনি খেলতে নেমেছিলেন ফেভারিট হিসেবেই। যুক্তিসঙ্গত কারণও আছে। সেমিফাইনালে হট ফেভারিট ও বিশ্বের এক নম্বর তারকা নোভাক জোকোভিচকে হারিয়েছিলেন তিনি। সেই জয় থেকে পাওয়া আত্মবিশ্বাস আরও অদম্য করে তুলল আলেক্সান্ডার জেভেরেভকে। দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে সরাসরি সেটে জিতে তিনি পেলেন সোনার পদকের স্বাদ।
রবিবার আরিয়াকে টেনিস পার্কে ছেলেদের এককের ফাইনাল ম্যাচটি হয়েছে একপেশে। মাত্র ৭৯ মিনিটের লড়াইয়ে আরওসির ক্যারেন খাচানোভ পাত্তাই পাননি জার্মানির ২৪ বছর বয়সী জেভেরেভের কাছে। র্যাঙ্কিংয়ে পাঁচ নম্বরে থাকা এই তারকা জিতেছেন ৬-৩ ও ৬-১ গেমে।
নয় বছর পর অলিম্পিকে ছেলেদের টেনিসে নতুন চ্যাম্পিয়নের দেখা মিলেছে। গত দুই আসরে (২০১২ লন্ডন ও ২০১৬ রিও) সোনার পদক জিতেছিলেন গ্রেট ব্রিটেনের অ্যান্ডি মারে। কিন্তু চোটের কারণে টোকিওতে প্রথম রাউন্ডের আগেই সরে দাঁড়ান তিনি।
২০০০ সালের পর এবারই প্রথম ছেলেদের টেনিসে কোনো পদক পেল জার্মানি। সেবার সিডনি অলিম্পিকে রুপা জিতেছিলেন টমি হাস। আর স্টেফি গ্রাফের পর এই প্রথম কোনো জার্মান তারকা টেনিসে সোনা জিতলেন। ১৯৮৮ সালের সউল অলিম্পিকে মেয়েদের এককে সেরা হয়েছিলেন তিনি।
ফাইনালের পর জেভেরেভ বলেছেন, ব্যক্তিগত অর্জনে নয়, তার মনোযোগ ছিল দেশকে গর্বিত করার দিকে, 'জীবনে প্রথমবার কোনো সাক্ষাৎকারে আমি বাকরুদ্ধ হয়ে গেছি। আমি কোনোকিছুই অনুভব করতে পারছিলাম না। আমি নিজের জন্য খেলিনি। আমি আমার দেশের জন্য খেলেছি।'
জেভেরেভের শ্রেষ্ঠত্ব নিয়ে কোনো সংশয় নেই রুপা জেতা খাচানোভের। তবে এবার ব্যর্থ হলেও পরের আসরে স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্য শোনা গেছে তার কণ্ঠে, 'সে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত অবিশ্বাস্য একটি ম্যাচ খেলেছে। আমার দৃষ্টিকোণ থেকে আমিও অসাধারণ একটি ম্যাচ খেলেছি। কিন্তু সে আজ দারুণ ছিল। তাকে কৃতিত্ব দিতেই হবে। আমিও সোনা জেতার স্বপ্ন দেখেছিলাম। আগামী অলিম্পিকে আবার চেষ্টা করব।'
উল্লেখ্য, গত বছর ইউএস ওপেনের ফাইনালে উঠেছিলেন জেভেরেভ। অস্ট্রিয়ার ডমিনিক থিমের কাছে অবশ্য হার মানেন। অস্ট্রেলিয়ান ও ফরাসি ওপেনে তার সেরা সাফল্য সেমিফাইনালে ওঠা। তবে উইম্বলডনে এখনও চতুর্থ রাউন্ডের বাধা অতিক্রম করতে পারেননি তিনি।
Comments