অলিম্পিক ফুটবল: ৭ গোলের রোমাঞ্চে দ. আফ্রিকাকে হারাল ফ্রান্স
টোকিও অলিম্পিকে নিজের শুরুটা ছিল বিবর্ণ। মেক্সিকোর কাছে রীতিমতো উড়ে দিয়েছিল তারা। তবে দ্বিতীয় ম্যাচে এসে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে প্রত্যাশিত জয় পেয়েছে দলটি। যদিও জয় পেতে বেশ ঘাম ঝরাতে হয়েছে তাদের। ম্যাচের ৮৬ মিনিট পর্যন্ত পিছিয়ে ছিল তারা। শেষ দিকে দুটি গোল করে রোমাঞ্চকর জয় পায় অলিম্পিকের প্রথম আসরের ফাইনালিস্টরা।
জাপানের সাইতামা স্টেডিয়ামে রোববার দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৪-৩ গোলে হারিয়েছে ফ্রান্স। দলের হয়ে হ্যাটট্রিক করেছেন আন্ড্রে পিয়েরে গিগনাক। অপর গোলটি আসে তাজি সাভানিয়েরের কাছ থেকে। আফ্রিকার পক্ষে গোল তিনটি করেন কোবামেলো কোডিসাং, এভিডেন্স ম্যাকগোপা ও টেবোহো মোকোয়েনা।
এদিন ম্যাচে তিন তিনবার এগিয়ে গিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। কিন্তু শেষ দিকে স্নায়ু চাপ সামলে না রাখতে পারায় হার মানতে হয় দলটিকে। ম্যাচের সবগুলো গোলই হয় দ্বিতীয়ার্ধে। প্রথমার্ধে অবশ্য সমান তালেই লড়াই করে দুই দল।
ম্যাচের ৫৩তম মিনিটে আফ্রিকাকে এগিয়ে দেন কোডিসাং। তবে সমতায় ফিরতে চার মিনিট সময় নেয় ফ্রান্স। রেন্ডাল কোলো মুয়ানির পাস থেকে লক্ষ্যভেদ করেন গিগনাক। ৭৩তম মিনিটে ফের এগিয়ে যায় আফ্রিকা। কোডিসাংয়ের ক্রস থেকে বল জালে জড়ান ম্যাকগোপা।
এবার সমতায় ফিরতে পাঁচ মিনিট সময় নেয় ফরাসিরা। ক্লেমো মিচেলিনের ক্রস থেকে দারুণ এক হেডে লক্ষ্যভেদ করেন গিগনাক। তবে এর চার মিনিট যেতেই আবারও এগিয়ে যায় আফ্রিকা। লুথার সিংয়ে হেড থেকে বল পেয়ে ডান পায়ের শটে বল জালে পাঠান মোকোয়েনা।
কিন্তু এর চার মিনিট পর ছয় মিনিটের ব্যবধানে জোড়া গোল করে জয় তুলে নেয় ফ্রান্সই। ৮৬তম মিনিটে স্পটকিক থেকে দলকে সমতায় ফেরান গিগনাক। ডি-বক্সে আর্নাউড নর্ডিনকে ফাউল করেছিলেন রনওয়েন উইলিয়ামস। ফলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি।
ম্যাচের যোগ করা সময়ের দ্বিতীয় মিনিটে জয়সূচক গোলটি আসে সাভানিয়েরের পা থেকে। এ গোলটিও তৈরি করে দেন গিগনাক। ফলে কাঙ্ক্ষিত জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে ফরাসিরা।
আসরের গ্রুপ পর্বে নিজেদের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে আগামী বুধবার স্বাগতিক জাপানের মুখোমুখি হবে ফ্রান্স। একই দিনে মেক্সিকোর সঙ্গে লড়বে দক্ষিণ আফ্রিকা।
Comments