সেই শাহীন আফ্রিদিকেই যেভাবে তিন ছক্কায় উড়ান ওয়েড

Matthew Wade
শাহীন আফ্রিদিকে ছক্কায় উড়ান ম্যাথু ওয়েড। ছবি: সংগ্রহ

মনে করা হয় তার দুর্দান্ত এক স্পেলেই বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে গেছে ভারত। বাঁহাতি পেসার শাহীন শাহ আফ্রিদি এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ছিলেন পাকিস্তানের তুরুপের তাস। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষেও সেমিফাইনালেও প্রথম ওভারে তার বলে ছিলো বারুদ। অথচ তাকেই টানা তিন ছক্কায় উড়িয়ে ম্যাচ শেষ করে দেন ম্যাথু ওয়েড।

ম্যাচ জিততে শেষ ১২ বলে অস্ট্রেলিয়ার দরকার ছিল ২২ রান। অমন অবস্থায় দলের সেরা অস্ত্র শাহীনের হাতে বল তুলে দেন পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজম।

১৯তম ওভারের প্রথম বল থেকে কোন রান আসেনি। দ্বিতীয় বল থেকে লেগবাইতে আসে এক রান। পরের বল হয় ওয়াইড। এরপরের বলেই ক্যাচ উঠিয়েছিলেন ওয়েড। ডিপ মিডউইকেটে সে ক্যাচ রাখতে পারেননি হাসান আলি। আসে ২ রান। পরের বল ইয়র্কার করতে গিয়েছিলেন শাহীন। একটু সরে স্কুপ করে পেছন দিয়ে ছক্কায় পাঠান ওয়েড, পরেরটি মিড উইকেট দিয়ে উড়ান অস্ট্রেলিয়ার কিপার-ব্যাটসম্যান। ম্যাচ চলে আসে অজিদের মুঠোয়, ৭ বলে নেমে আসে ৬ রানের প্রয়োজন। ওই বলে আরেকটি স্কুপে খেলা শেষ করে দেন এই বাঁহাতি। ৩-০-১৪-১ থেকে শাহীনের ফিগার দাঁড়ায় ৪-০-৩৫-১!

পাকিস্তানের ১৭৬ রান তাড়া করে অস্ট্রেলিয়া জিতে যায় ৫ উইকেটে। ওয়েড মাত্র ১৭ বলে অপরাজিত থাকেন ৪১ করে। ৩১ বলে ৪০ করেন স্টয়নিস।

ম্যাচ শেষে ওয়েড জানিয়েছেন ক্রিজে যাওয়ার সময়ও জেতার ব্যাপারে সংশয় কাজ করছিল তার মনে, তবে শাহীনকে মারতে পারলে কাজ হবে এই বিশ্বাসও ছিল,  'ব্যাট করতে নামার পর নিশ্চিত ছিলাম না দলকে জেতাব। অন্য প্রান্তে মার্কাস স্টয়নিস খুব ভাল খেলছিল। আমার সমস্যা হলেও সে বড় শটে চাপ কমিয়ে ফেলে। আমি যতখানি ভেবেছিলাম তারচেয়েও জোরে বল করছিল শাহীন। আমি জানতাম দুটো মারতে পারলেই খেলা ঘুরে যাবে। সেটাই করতে গিয়েছি, এবং পেরেছি।'

শাহীনের প্রথম ৩ ওভার থেকে মাত্র ১৪ রান নিতে পেরেছিল অস্ট্রেলিয়া। ইনিংসের একদম প্রথম ওভারে অ্যারন ফিঞ্চকে ভেতরে ঢোকা দারুণ এল বলে এলবিডব্লিউ করে দেন তিনি। অজিদের ভিত কাঁপিয়ে দেওয়া এক স্পেল করে পাকিস্তানকে রেখেছিলেন টপে।

কিন্তু শুরুর ধাক্কা সামলে ডেভিড ওয়ার্নার-মিচেল মার্শ মিলে পালটা আক্রমণ করে অজিদের খেলায় ফেরান। মাঝে ওয়ার্নারের ভুল সময়ে ভুল আউটে বিদায় হলেও ওয়েড-স্টয়নিস দেখান ঝলক।

১৪ নভেম্বর ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার প্রতিপক্ষ তাদের প্রতিবেশি নিউজিল্যান্ড।

Comments

The Daily Star  | English

Confronting Dhaka’s battery-run rickshaw dilemma

One of the more recent manifestations of informal urban expansion is the proliferation of battery-run rickshaws.

6h ago