সেই ক্ষতে প্রলেপ দেওয়ার মিশন নিউজিল্যান্ডের

KANE WILLIAMSON
ছবি: রয়টার্স

আইসিসি আসরে দুদলের সর্বশেষ দেখা হওয়ার স্মৃতি সবারই মনে থাকার কথা। রোমাঞ্চে ভরা ২০১৯ বিশ্বকাপের ফাইনালে ইংল্যান্ডের কাছে না হেরেও রানার্সআপ হতে হয়েছিল কিউইদের। এবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠতে সেই ইংল্যান্ড বাধা সামনে পেয়ে দুই বছর আগের ক্ষত নাড়া দিচ্ছে নিউজিল্যান্ডকে।

২০১৯ ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনাল টাই হওয়ার পর সুপার ওভারও টাই হয়। কিন্তু বেশি বাউন্ডারি মারার নিয়মে চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করা হয় স্বাগতিক ইংল্যান্ডকে।

ম্যাচ না হেরেও শিরোপা জিততে না পারার ঘটনা নিউজিল্যান্ডের পাশাপাশি নাড়া দিয়েছিল গোটা বিশ্ব ক্রিকেটকেও। যার জেরে সুপার ওভার টাই হলেও আরেকটি সুপার ওভারের নিয়ম নিয়ে এসেছে আইসিসি।

স্বাভাবিকভাবেই আইসিসি আসরে আরেকবার ইংল্যান্ড-নিউজিল্যান্ড ম্যাচের আগে উঠে এসেছে সেই প্রসঙ্গ। কিউই অধিনায়ক কেইন উইলিয়ামসনের চরিত্রের ধরনের সঙ্গে অবশ্য ঝাঁজালো ব্যাপার নেই। এই প্রসঙ্গে নিজের হাহাকার তাই গোপন করে প্রতিপক্ষের প্রতি শ্রদ্ধা, বিনয়, নিজেদের খেলার প্রতিই আস্থা ঝরল তার কণ্ঠে,  'দল হিসেবে আমরা প্রতিনিয়ত উন্নতির ধারায় আছি। গত বিশ্বকাপ থেকে দেখবেন অনেক কিছুর অগ্রগতি হয়েছে।'

ওয়ানডে বিশ্বকাপ একদম কাছে গিয়ে জিততে না পারলেও চলতি বছর আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের  শিরোপা জিতেছে কিউইরা। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতলে তিন সংস্করণেই নিজেদের শ্রেষ্ঠত্বের একটা বার্তা দেওয়া হবে বিশ্বকে। উইলিয়ামস জানালেন সেই ছবিই ভাসছে তাদের মানস পটে,  'আমাদের ভাবনার জগত, দলের পরিবেশ খুব গুরুত্বপূর্ণ। এটা খুব দারুণ ব্যাপার যে সাম্প্রতিক সময়ে আমরা বেশ কিছু স্মরণীয় ম্যাচের অভিজ্ঞতা পেয়েছি। কিন্তু এখন মূল ফোকাস হচ্ছে ছোটখাটো কিছু বিষয় মানিয়ে নিয়ে বড় ছবির ক্ষেত্র তৈরি করা।'

বুধবার  রাত ৮টায় আবুধাবি শেখ জায়েদ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম মুখোমুখি হবে ইংল্যান্ড-নিউজিল্যান্ড। পারফরম্যান্স বিচারে এবার বিশ্বকাপে দুই দলই আছে সমান পাল্লায়। উইলিয়ামসন আশায় আছেন শেষ পর্যন্ত তাদের পাল্লাটাই হবে ভারি,   'দুই দলের ম্যাচ জেতানো খেলোয়াড়রা আছে, কাজেই যেকোনো কিছু হতে পারে। কিন্তু আমাদের দলের সবাই রোমাঞ্চিত, তাকিয়ে আছে বড় কিছুর দিকে। আশা করছি এই আসরে আমরা এরপর আরেকটা ম্যাচ পাব।'

Comments

The Daily Star  | English

US retailers lean on suppliers to absorb tariffs

Rather than absorbing the cost or immediately passing it on to consumers, many US apparel retailers and brands have turned to their suppliers in Bangladesh, demanding they share the pain

7h ago