পাকিস্তানকে ফেভারিট মেনে নিউজিল্যান্ডের হাতে বিশ্বকাপ দেখছেন দু প্লেসি

সুপার টুয়েলভের পাঁচ ম্যাচের পাঁচটিতেই জয়। তাও অপরিবর্তিত একাদশ নিয়ে। রীতিমতো যেন উড়ছে পাকিস্তান। স্বাভাবিকভাবেই দলটিকে ফেভারিট তালিকায় রেখেছেন দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক অধিনায়ক ফাফ দু প্লেসি। তবে সাম্প্রতিক সময়ের ধারাবাহিক পারফরম্যান্সে নিউজিল্যান্ডকে সম্ভাব্য বিজয়ী দল হিসেবেই মনে করেন সাবেক এ প্রোটিয়া ক্রিকেটার।

অবশ্য আইসিসির ইভেন্টে বেশির ভাগ আসরেই সেমি-ফাইনালে সীমাবদ্ধ থাকতো নিউজিল্যান্ডের দৌড়। সাম্প্রতিক সময়ে বদলেছে অনেক কিছুই। ২০১৯ বিশ্বকাপের ফাইনালে নিতান্ত ভাগ্যের কাছে হেরে যায় তারা। তবে এ বছর আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ঠিকই জিতে নিয়েছে দলটি। সে ধারায় এবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপটাও তাদের হাতেই দেখছেন দু প্লেসি।

স্থানীয় এক টিভি চ্যানেলে দেওয়া সাক্ষাৎকারে দু প্লেসি বলেছেন, 'পাকিস্তান এটা (বিশ্বকাপ) জয়ের ফেভারিট দল কিন্তু আমি আশা করি নিউজিল্যান্ড এ পথ পারি দিতে পারবে। সাম্প্রতিক বছরগুলিতে তারা (নিউজিল্যান্ড) আইসিসি ট্রফি জেতার এত কাছাকাছি এসেছে তাই আমি আশা করছি তারা এটা জিততে পারবে।'

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এবার পাকিস্তানের পর নজরকারা পারফরম্যান্স করেছে নিউজিল্যান্ডই। তবে পুরো আসর জুড়ে তাদের বোলিং বিভাগ ছিল দারুণ প্রশংসার যোগ্য। তাদের বিপক্ষে চড়াও হতে পারেননি কোনো ব্যাটাররাই। পাঁচ ম্যাচে কেবল স্কটিশরাই কিছুটা ভালো সংগ্রহ করতে পেরেছিল।

এবারের আসরে একমাত্র পাকিস্তানের বিপক্ষে হেরেছে নিউজিল্যান্ড। সে ম্যাচে মূলত ব্যাটাররা জ্বলে উঠতে পারেননি। মাত্র ১৩৪ রান সংগ্রহ করে তারা। সে লক্ষ্য পারি দিতে পাকিস্তানকে খেলতে হয়েছে প্রায় ১৯ ওভার। এছাড়া তাদের বিপক্ষে আফগানিস্তান ৮ উইকেটে ১২৪, নামিবিয়া ৭ উইকেটে ১১১, স্কটল্যান্ড ৫ উইকেটে ১৫৬ ও ভারত ৭ উইকেটে ১১০ রান তুলতে পারে।

কিউই বোলারদের উচ্ছ্বসিত প্রশংসাই করেন দু প্লেসি, 'পাঁচ ম্যাচের মধ্যে চারটিতে জয় অবশ্যই বড় একটি প্রাপ্তি। তাদের দলের এ প্রচেষ্টার জন্য গর্বিত বোধ করা উচিত। বোলিং ইউনিটটি ছিল ব্যতিক্রমী এবং এটা বললে ভুল হবে না যে এটি টুর্নামেন্টের অন্যতম সেরা আক্রমণভাগ ছিল।'

আসর শুরুর আগে অবশ্য বিশ্বকাপ জয়ের মূল ফেভারিট তালিকায় ভারতকে এগিয়ে রেখেছিলেন দু প্লেসি। এখনও মনে করছেন শুরুর দিকের বাজে পারফরম্যান্স না হলে ভারতই চ্যাম্পিয়ন হতে পারতো। পাকিস্তানের বিপক্ষে হারের ধাক্কাই সামলে উঠতে পারেনি বলে মনে করেন তিনি।

Comments

The Daily Star  | English

7 colleges to continue operating under UGC until new university formed

Prof AKM Elias, principal of Dhaka College, to be appointed as the administrator

6h ago