দেশ ও বন্ধুর বিপক্ষে লড়াইয়ে হেইডেনের ‘অদ্ভুত অনুভূতি’

ক্রিকেট মাঠে অস্ট্রেলিয়ার অনেক সাফল্যের নায়ক ম্যাথু হেইডেন। বাইশ গজে জাস্টিন ল্যাঙ্গারের সঙ্গে উদ্বোধনী জুটিতেও রাঙিয়েছেন কত কত ম্যাচ। বন্ধু ল্যাঙ্গার আর নিজ দেশ অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষেই এবার রণকৌশল সাজাতে হচ্ছে তাকে। এমন সময়ে হেইডেনের মনে খেলা করছে অন্যরকম এক অনুভূতি।
এমনিতে পেশাদার জগতে কোচদের নিজ দেশকে প্রতিপক্ষ হিসেবে পাওয়া হরহামেশা ঘটনাই। হেইডেনের বর্ণাঢ্য ক্রিকেটিং ক্যারিয়ারের কারণে বিষয়টা চোখে লাগছে বেশি।
তার দীর্ঘ দিনের ওপেনিং সঙ্গী এখন অস্ট্রেলিয়ার প্রধান কোচ, তিনি পাকিস্তানের ব্যাটিং কোচ। বৃহস্পতিবার বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে মুখোমুখি হচ্ছে তাদের দুই দল অস্ট্রেলিয়া ও পাকিস্তান। একজন তাই আরেকজনকে হারাতে চাইবেন এবার।
হেইডেনকে বন্ধুর বিপক্ষে জেতার পাশাপাশি দেশের বিপক্ষে জিতরে হবে। এই ম্যাচের আগে আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে বুধবার হেইডেন জানান তার ভেতর খেলা করছে অন্যরকম এক অনুভূতি, 'এটা একটা অদ্ভুত অনুভূতি। সবাই জানেন দুই দশক ধরে আমি অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটের সৈনিক ছিলাম। অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটের সংস্কৃতি, খেলোয়াড়দের মনোজগৎ আমার জানা।'
'কোচ, মেন্টর হিসেবে বিশ্বব্যাপী ভূমিকা রাখা একটা গুরুত্বপূর্ণ জায়গা। যেখান থেকে বিভিন্ন দেশ উপকৃত হয়।'
৫০ বছর বয়েসী সাবেক এই বাঁহাতি আগ্রাসী ওপেনার পুরো ম্যাচটায় আবেগের স্রোতে ভাসার এক আভাসও দিয়েছেন, 'আমার কাছে চ্যালেঞ্জটা আমার হৃদয়ের সঙ্গে। পরের ২৪ ঘণ্টায় যা ঘটবে ত আমার হৃদয়ের সঙ্গে লড়াই। একই সঙ্গে বলতে চাই পাকিস্তান ক্রিকেটের অংশ হতে পেরে আমি গর্বিত। আমরা দুর্দান্ত কিছু তরুণ খেলোয়াড় পেয়েছি। কিছু অভিজ্ঞদের মিশেলও আছে। দল হিসেবে তারা পারফর্ম করছে।'
এর আগে হেইডেনের বিষয়ে প্রশ্ন গিয়েছিল অজি অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চের কাছেও। পেশাদারিত্বের মোড়কে হেইডেনের দায়িত্বের জন্য একজন অস্ট্রেলিয়ান হিসেবেই গর্বের কথা ঝরে ফিঞ্চের কণ্ঠে, 'আমরা তাকে কাল দেখেছি। আমার মনে হয় অস্ট্রেলিয়া সীমানা ছাড়িয়ে অন্যদেশের জন্য কোন অজিকে সাহায্য করতে দেখা দারুণ ব্যাপার। আমার মনে হয় আমাদের সমৃদ্ধ ইতিহাস আছে, দুর্দান্ত খেলোয়াড় আছে তারা অন্য দেশের ক্রিকেটে সহয়তা করতে পারে। এটা অসাধারণ ব্যাপার।'
আজ ফাইনালে উঠার লড়াইয়ে জয় হবে কার? সেটাই এখন কৌতুহলের।
Comments