অথচ বিশ্বকাপের আগে কখনই ওপেন করেননি মিচেল

টি-টোয়েন্টিতে তার ভূমিকা পাঁচ-ছয়ে নেমে ঝড় তোলা সঙ্গে মিডিয়াম পেস বোলিং। বিশ্বকাপের আগে ১১৬টি স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে কখনই ওপেন করতে নামেননি ড্যারেল মিচেল। অথচ এবার বিশ্বকাপে সেই কাজটা করে বনে গেছেন নায়ক। নিউজিল্যান্ডকে ফাইনালে তোলায় উঠে এসেছে তার আচমকা ওপেনার বনে যাওয়ার গল্প।
বুধবার রাতে আবুধাবিতে মিচেলের ঝলকে রোমাঞ্চে ভরা সেমিফাইনালে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে ফাইনালে পা রাখে নিউজিল্যান্ড। ওপেন করতে নেমে ৪৭ বলে ৪টি করে চার-ছক্কায় ৭২ করে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি। এবার বিশ্বকাপে ৬ ম্যাচের সবগুলোতে ওপেন করে ৩৯.৪ গড় আর ১৪৯.৩৮ স্ট্রাইকরেটে তার রান ১৯৭। অথচ ওপেন করার কোন ভাবনাতেই ছিলেন না তিনি!
তাকে ওপেনিংয়ে বিবেচনা করার পেছনে আছে একটি গল্প। বিশ্বকাপের আগে আইপিএল থেকে নিউজিল্যান্ড স্কোয়াডে যোগ দিতে নিয়মিত ওপেনার টিম সেইফার্ট দেরি করায় অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচে ওপেন করতে পাঠানো হয় তাকে। সেই ম্যাচে ২২ বলে ৩৩ করে কোচ গ্যারি স্টেড আর অধিনায়ক কেইন উইলিয়ামসনের নজর কাড়েন। দলে ফেরা সেইফার্ট চোটে পড়লে তার মধ্যেই কিউই টিম ম্যানেজমেন্ট বের করে নেয় সমাধান।
বাকিটা সবারই জানা। প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে করেছিলেন ২০ বলে ২৭ রান, ভারতের বিপক্ষে ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ পরের ম্যাচে ৩৫ বলে করেন ৪৯। এই দুই ম্যাচই তার জায়গা থিতু করে দেয়।
বুধবার রাতে তার ইনিংসও এগিয়েছে দুইভাবে। প্রথম ৩০ বলে করেছিলেন ৩৩ রান, পরের ১৪ বলেই করে ফেলেন আরও ৩৪। ডানহাতি এই ব্যাটারের মতে এই উইকেটে নতুন বল খেলা ছিল বেশ কঠিন। কিছুটা সিম মুভমেন্ট থাকায় রান বের করতে ভুগতে হচ্ছিল। তিনি তাই হাল না ছেড়ে ক্রিজে থেকে খেলায় থাকতে চেয়েছিলেন। শেষে গিয়ে তাই ঠিকই সব পুষিয়ে বনেছেন নায়ক।
ম্যাচ জিততে শেষ ৪ ওভারে নিউজিল্যান্ডের দরকার ছিল ৫৭ রান। এক ওভার আগেই ওই রান তুলে ফেলে তারা। প্রথমবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে যাওয়ার রোমাঞ্চে ভাসার কথা কিউইদের। তবে মিচেল জানালেন উত্তেজনা নিয়ন্ত্রণে রেখে ফাইনালের দিকে তাকাতে চান তারা, 'আমাদের দেশে ৫০ লাখের মতো মানুষ, আমরা কিউই, দেশকে প্রতিনিধিত্ব করা গর্বের। আজ আমরা উদযাপন কর, কিন্তু সামনেও তাকাবো।'
'সবাই জানি রোববার ফাইনাল আছে। সেখানে সবটুকু উজাড় করে দিতে চাই। তারপর হবে আসল উদযাপন। দেখা যাক কী হয়।'
Comments