অপেক্ষায় দিবালা, অপেক্ষায় নাপোলি-রোমা-ইন্টারও
ছুটি কাটিয়ে ফিরেছেন তুরিনে। বাড়িতেই অনুশীলন করছেন একা একা। অপেক্ষায় একটি নতুন চুক্তির।
না, তুরিনের কোনো ক্লাবের সঙ্গে নতুন কোনো চুক্তি হয়নি পাওলো দিবালার। নতুন কোনো ক্লাবের সঙ্গে এখন চুক্তি করতে না পারায় বর্তমানে তুরিনের বাড়িতেই আছেন এ আর্জেন্টাইন। নিজের ভাগ্য নির্ধারণ হলেই পারি দিবেন নতুন কোনো শহরে।
তবে পরিস্থিতি কিছুটা হলেও পাল্টেছে। তাকে দলে নিতে আগ্রহ দেখাচ্ছে বেশ কিছু ক্লাবই। এমনকি বেশ কিছু ক্লাব ম্যানেজাররাও কথা বলেছেন তার সঙ্গে।
স্কাই স্পোর্টস ইতালিয়ার সংবাদ অনুযায়ী, এ আর্জেন্টাইন তারকার সঙ্গে সরাসরি কথা বলেছেন নাপোলি বস লুসিয়ানো স্পালেত্তি। দিবালাকে নাপোলিতে আনতে চান তিনি।
এদিকে আশাবাদী এএস রোমা কোচ জোসে মরিনহোও। কারণ অবশ্য একটাই। নিজের বেতন-ভাতা কিছুটা কমাতে রাজী হয়েছেন দিবালা। আর বেতন কমানোয় ফের আলোচনা চালানর চেষ্টায় ইন্টার মিলানও।
অথচ এই দিবালাই দুই মৌসুম আগে নির্বাচিত হয়েছিলেন সিরিআর বর্ষসেরা খেলোয়াড়। এখন তিনি ফ্রি এজেন্ট। চাইলেই মুফতে পাওয়া যাবে তাকে। কিন্তু তার ইনজুরি প্রবণতার কারণেই তাকে দলে টানা নিয়ে নানা দ্বিধা কাজ করছে ক্লাবগুলোর। গত দুই মৌসুমে খুব কম সময়ই মাঠে ছিলেন তিনি।
জুভেন্টাস থাকাকালীন সময়ে চুক্তি নবায়নের খুব কাছেই ছিলেন দিবালা। মৌখিক চুক্তিটা এক রকম হয়েই ছিল। কিন্তু আনুষ্ঠানিক চুক্তির আগে বেঁকে বসে ক্লাবটি। একই অবস্থা ইন্টার মিলানের সঙ্গেও। আলোচনা চূড়ান্ত করে দলে নেওয়ার আগে নানা বাহানা।
কোনো দলই দিবালার জন্য বড় অঙ্ক খরচ করতে অনিচ্ছুক। অথচ জুভেন্টাসে বার্ষিক ৮ মিলিয়ন ইউরো বেতন দাবি ছিল তার। তা মেনেও নিয়েছিল ক্লাবটি। কিন্তু ফিওরেন্তিনা থেকে সার্বিয়ান স্ট্রাইকার দুসান ভ্লাহোভিচকে মোটা অঙ্কের পারিশ্রমিক দিয়ে দলে টানার পর বেঁকে বসে তারা। দিবালাকে বেতন আরও কম দিতে চায় ক্লাবটি। কিন্তু দিবালা মানেননি।
পরে বার্ষিক ৭ মিলিয়নে এ আর্জেন্টাইনকে নিতে রাজী হয় ইন্টার। কিন্তু চেলসি থেকে রোমেলু লুকাকুকে ফের দলে টানতে পারায় জুভেন্টাসের মতোই প্রস্তাব দেয় তারা। সাত মিলিয়ন থেকে কমিয়ে ছয় মিলিয়ন ইউরো দিতে চায় তারা। তাও আবার শর্তসাপেক্ষে। প্রথমে পাঁচ মিলিয়ন, বাকি এক মিলিয়ন কেবল মাত্র নির্দিষ্ট পরিমাণ ম্যাচ খেলতে পারলেই। তাতেও রাজী হননি।
Comments