'শুধু বিতর্কিত পেনাল্টিই নয়, বিতর্কিত লাল কার্ডও ছিল টার্নিং পয়েন্ট'

আরও একটি হতাশার গল্প লিখে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ থেকে বিদায় নিয়েছে বাংলাদেশ। অথচ ১৬ বছর পর ফাইনাল খেলার খুব কাছাকাছি ছিল দলটি। ৮৮ মিনিট পর্যন্ত এগিয়ে থেকেও লিড ধরে রাখতে পারেনি দলটি। বিতর্কিত এক পেনাল্টি গোলে পয়েন্ট খোয়াতে হয় তাদের। তবে শুধু বিতর্কিত পেনাল্টিই নয়, বিতর্কিত লাল কার্ডও বাংলাদেশকে আসর থেকে ছিটকে দেওয়ার অন্যতম কারণ বলে মনে করেন দলের প্রধান কোচ অস্কার ব্রুজন।

বুধবার মালেতে নেপালের সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করে বাংলাদেশ। ম্যাচের নবম মিনিটে সুমন রেজার গোলে এগিয়ে গিয়েছিল লাল সবুজ জার্সিধারীরা। সে লিড দলটি ধরে রেখেছিল ৮৮ মিনিট পর্যন্ত। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। অঞ্জন বিস্তার সফল স্পটকিক ভেঙে দেয় বাংলাদেশের ফাইনালে ওঠার আশা।

তবে ম্যাচে হারতেই পারতো বাংলাদেশ। বেশ কিছু দারুণ সুযোগ তৈরি করেছিল নেপাল। কিন্তু তাদের একের পর এক আক্রমণে নস্যাৎ করে দেওয়ার মূল কারিগরই ছিলেন গোলরক্ষক আনিসুল রহমান জিকো। সেই জিকোই ম্যাচের ৭৯তম মিনিটে দেখলেন লাল কার্ড। তাতেই ম্যাচের চিত্র বদলে যায় বলে মনে করেন বাংলাদেশ কোচ, 'আপনারা শুধু বিতর্কিত পেনাল্টির ব্যাপারে কথা বলছেন। কিন্তু আমি মনে করি শুধু পেনাল্টিই টার্নিং পয়েন্ট ছিল না, জিকোকে লাল কার্ড দেখানোও অন্যতম টার্নিং পয়েন্ট ছিল।'

প্রতিপক্ষে অর্ধ থেকে রাকিব হোসেনের ব্যাকপাসটা প্রায় ধরে ফেলার পথে ছিলেন নেপালের নবদুগ শ্রেষ্ঠা। এগিয়ে এসে তা ঠেকাতে গেলে এক পর্যায়ে হাতে লাগে জিকোর। ইচ্ছাকৃত তিনি বল হাতে লাগাননি বলেই দাবি করেন অস্কার, 'জিকো বলটি ইচ্ছাকৃত আটকায়নি। বল প্রথমে তার পায়ে লেগেছে, এরপর তা হাতে লেগেছে। আমার মনে হয় এটাই প্রথম বিতর্কিত সিদ্ধান্ত। এবং ম্যাচের শেষ দিকে রেফারি নেপালকে একটি কুৎসিত ও বিতর্কিত পেনাল্টি দিল।'

বাংলাদেশকে ফাইনালে উঠতে না দেওয়ার জন্য কিছু শক্তি ষড়যন্ত্র করেছে বলেই মনে করেন এ স্প্যানিশ কোচ, 'বাংলাদেশ সেরা দল নয় তবে এ টুর্নামেন্টে অন্যতম সেরা দল। ফাইনালে যাওয়া আমাদের প্রাপ্য ছিল। ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ খেলার পর (বাংলাদেশের বিপক্ষে) থেকে কালো হাত কাজ করছে। আমরা (বসুন্ধরা কিংস) এএফসি কাপের এগিয়ে যেতে পারিনি এবং আজও একই ঘটনা ঘটল।'

প্রায় ৩০ গজ দূর থেকে রেফারির নেওয়া এমন সিদ্ধান্তে সন্দেহ প্রকাশ করেন এ কোচ, 'আমার দিক থেকে, পেশাদারভাবে এটা হয়তো ঠিক আছে কিন্তু আজ যা মাঠে হয়েছে এটা ঠিক ছিল না। ড্রেসিংরুম সম্পূর্ণ বিশৃঙ্খলার মধ্যে রয়েছে এবং আমরা বুঝতে পারছি কেন। এটা অত্যন্ত সমালোচনামূলক পদক্ষেপ ছিল যেখানে রেফারি (বক্স থেকে) ৩০ মিটার দূরে ছিলেন কিন্তু তিনি কিক (পেনাল্টি) দিলেন। কিন্তু এটা নেপালি খেলোয়াড়ের একটি প্রতারণামূলক পদক্ষেপ ছিল, ওই জায়গায় একটি ভুয়া ডাইভ দেন এবং অবশ্যই রেফারির কোনো সন্দেহ ছিল না কারণ তারা চায় না যে বাংলাদেশ ফাইনালে উঠুক।'

নেপালের কোচ আলমুতাইরি আবদুল্লাহও মনে করেন জিকোর লাল কার্ডই ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেয়। অবশ্য পেনাল্টির সিদ্ধান্তের বিষয়ে অবস্থান স্পষ্ট করেননি তিনি, 'যদি আমি হ্যাঁ বা না বলি, তাহলে আমি মিথ্যাবাদী হব। আমি মনে করি এটি একটি পেনাল্টি ছিল কিন্তু আমি নিশ্চিত নই।'

Comments

The Daily Star  | English

Not for kidney patient, they tried to rob bank for iPhones

Police say three robbers fabricated a story claiming that the robbery was to save a kidney patient

35m ago