টেনিস থেকে অবসর নিতে যাচ্ছেন সানিয়া মির্জা
চলতি মৌসুম শেষে টেনিস থেকে বিদায় নেওয়ার কথা জানিয়েছেন সানিয়া মির্জা। এই সিদ্ধান্তের পেছনে বেশ কিছু কারণ উল্লেখ করেছেন ভারতের অন্যতম জনপ্রিয় ও সবচেয়ে সফল এই নারী টেনিস তারকা।
বুধবার ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি তাদের এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের নারী দ্বৈতের প্রথম রাউন্ডে হারের পর অবসরের কথা বলেছেন সানিয়া। তার ও ইউক্রেনের নাদিয়া কিচেনকের জুটি পেরে ওঠেনি স্লোভেনিয়ার কাইয়া ইউভান ও তামারা জিদানেস্কের সঙ্গে। সরাসরি সেটে তারা হেরেছেন ৪-৬, ৬-৭ গেমে।
হারের পর গণমাধ্যমের কাছে সানিয়া বলেছেন, 'আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে এটাই হবে আমার শেষ মৌসুম। আমি সপ্তাহ ধরে ধরে এগোচ্ছি। আমি নিশ্চিত নই যে মৌসুমটি শেষ করতে পারব কিনা। তবে আমি (মৌসুমটি শেষ করতে) চাই।'
পাকিস্তানের তারকা ক্রিকেটার শোয়েব মালিকের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ সানিয়া যোগ করেছেন, 'এর পেছনে কিছু কারণ রয়েছে। এটা "ঠিক আছে, আমি আর খেলছি না" বলার মতো সহজ নয়। আমি অনুভব করি যে আমার সেরে উঠতে বেশি সময় লাগছে। আমি আমার তিন বছর বয়সী ছেলেকে নিয়ে এত ভ্রমণ করে তাকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলছি, যা আমাকে বিবেচনায় নিতে হবে। আমার মনে হয়, আমার শরীর ভেঙে পড়ছে। আমার হাঁটু আজ সত্যিই ব্যথা করছিল। আমি বলছি না যে এই কারণে আমরা হেরেছি। কিন্তু আমি মনে করি, আমার বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আমার সুস্থ হতে বাড়তি সময় লাগছে।'
৩৫ বছর বয়সী সানিয়া ২০০৫ সালে তারকাখ্যাতির চূড়ায় পৌঁছান। ওই বছর ভারতের প্রথম নারী টেনিস খেলোয়াড় হিসেবে ডব্লিউটিএ টুর্নামেন্টে একক ইভেন্টে শিরোপা জেতেন তিনি। কিন্তু চোটের কারণে দ্বৈত ইভেন্টের দিকে মনোযোগ সরিয়ে নিতে হয় তাকে।
সুইজারল্যান্ডের মার্টিনা হিঙ্গিসের সঙ্গে জুটি বেঁধে ২০১৫ সালে উইম্বলডনের নারী দ্বৈতে চ্যাম্পিয়ন হন সানিয়া। এরপর তারা জেতেন ইউএস ওপেন ও অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের শিরোপা। নারী দ্বৈতে তিনটি গ্র্যান্ডস্ল্যামের পাশাপাশি মিশ্র দ্বৈতেও তিনটি গ্র্যান্ডস্ল্যাম জিতেছেন সানিয়া। ২০০৯ সালে উইম্বলডন ও ২০১২ সালে ফরাসি ওপেনে তার সঙ্গী ছিলেন ভারতের মহেশ ভূপতি এবং ২০১৪ সালে ইউএস ওপেনে ব্রাজিলের ব্রুনো সোয়ারেস।
২০১৬ সালে রিও অলিম্পিকে মিশ্র দ্বৈতে সোনার পদক জেতার খুব কাছে পৌঁছে গিয়েছিলেন সানিয়া। নিজ দেশের রোহান বোপান্নার সঙ্গে তিনি উঠেছিলেন সেমিফাইনালে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের ভেনাস উইলিয়ামস ও রাজিভ রামের জুটির কাছে পরাস্ত হয়েছিলেন তারা।
Comments