অবসরের ঘোষণা তাড়াতাড়ি দেওয়া নিয়ে সানিয়ার আক্ষেপ

ছবি: টুইটার

অবসরের ঘোষণা দেওয়ার পর থেকে বিপাকে আছেন সানিয়া মির্জা। যেখানে যাচ্ছেন, সেখানেই এই সিদ্ধান্ত নিয়ে নানা রকমের প্রশ্নের উত্তর দিতে হচ্ছে তাকে। তাই ভারতের ইতিহাসের সফলতম এই নারী টেনিস তারকার আক্ষেপ হচ্ছে। এত তাড়াতাড়ি হয়তো ঘোষণাটা না দিলেও পারতেন তিনি।

গত ১৯ জানুয়ারি চলতি মৌসুম অর্থাৎ ২০২২ সাল শেষে টেনিস থেকে বিদায় নেওয়ার সিদ্ধান্ত জানান সানিয়া। এর পেছনে বেশ কিছু কারণ উল্লেখ করেন তিনি। সেগুলোর মধ্যে রয়েছে চোট, ফিটনেস ঘাটতি ও করোনাকালে নিজের তিন বছর বয়সী সন্তানকে নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করার ঝুঁকি।

মঙ্গলবার অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের মিশ্র দ্বৈতে হারের পর গণমাধ্যমের কাছে সানিয়া জানান, 'সত্যি বলতে, প্রতি ম্যাচেই আমি অবসর নিয়ে ভাবছি, বিষয়টা এমন না। আমার মনে হচ্ছে, আমি খুব তাড়াতাড়ি ঘোষণাটা দিয়ে ফেলেছি। আমার এখন কিছুটা আক্ষেপই হচ্ছে কারণ এখন আমাকে কেবল অবসর নিয়েই প্রশ্ন করা হচ্ছে।'

মিশ্র দ্বৈতের কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে ছিটকে গেছেন ভারতের সানিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের রাজিব রাম। তারা ৪-৬ ও ৬-৭ (৫-৭) ব্যবধানে পরাস্ত হয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার জেসন কুবলার এবং জেমি ফার্লিসের কাছে। এর আগে অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের নারী দ্বৈতের প্রথম রাউন্ডেও হার মানেন সানিয়া। তিনি ও ইউক্রেনের নাদিয়া কিচেনক পেরে ওঠেননি স্লোভেনিয়ার কাইয়া ইউভান ও তামারা জিদানেস্কের সঙ্গে। সেদিনই অবসরের ঘোষণা দেন ৩৫ বছর বয়সী সানিয়া।

নারী ও মিশ্র দ্বৈত মিলিয়ে ছয়টি গ্র্যান্ডস্ল্যামের মালিক সানিয়া যোগ করেন, 'ম্যাচ জিততেই আমি টেনিস খেলছি। যত দিন খেলব, তত দিন চেষ্টা করে যাব প্রতিটি ম্যাচ জেতার। তাই বিষয়টা এমন নয় যে আমি অবসরের কথা মাথায় নিয়ে খেলছি। আমি টেনিস খেলতে উপভোগ করি, সব সময়ই উপভোগ করেছি।'

উল্লেখ্য, অবসর ঘোষণায় সানিয়া বলেছিলেন, 'আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে এটাই হবে আমার শেষ মৌসুম। আমি সপ্তাহ ধরে ধরে এগোচ্ছি। আমি নিশ্চিত নই যে মৌসুমটি শেষ করতে পারব কিনা। তবে আমি (মৌসুমটি শেষ করতে) চাই।'

Comments

The Daily Star  | English

How a 'Dervish Baba' conjured crores from a retired nurse

Want to earn easy money? Just find someone who thinks their partner is cheating on them, then claim to be a “Genie King” or “Dervish Baba,” and offer solutions to “relationship problems” for a fee

2h ago