সুযোগ না পাওয়াটাই কিউই এই ক্রিকেটারদের বড় প্রেরণা
দলের অধিনায়ক হিসেবে বাংলাদেশে আসা টম ল্যাথাম আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি খেলেছেন মাত্র ১৩ ম্যাচ। সর্বশেষ খেলেছেন সেই ২০১৭ সালে। স্কোয়াডে থাকা বেশিরভাগেরই টি-টোয়েন্টি অভিজ্ঞতা খুব সীমিত, কয়েকজন আছেন অভিষেকের অপেক্ষায়। মূল স্কোয়াডের বাইরের খেলোয়াড় হওয়ায় বিশ্বকাপেরও বাইরে তারা। এই অবস্থায় খেলতে নামার প্রেরণা কি?
বাংলাদেশে আসা নিউজিল্যান্ড দলের সবচেয়ে অভিজ্ঞ ক্রিকেটার কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম। এই অলরাউন্ডারের ঝুলিতে আছে ৩৬ টি-টোয়েন্টি। বাকি কেউই তার ধারে কাছে নেই।
অভিজ্ঞতার ঘাটতি থাকলেও বাংলাদেশের বিরূপ কন্ডিশনে নামার আগে প্রস্তুতির কোন কমতি রাখেনি কিউইরা। বাংলাদেশে আসার আগে নিজ দেশে স্পিন সারফেস বানিয়ে প্রস্তুতি সারার পর এখানে এসে সবগুলো সেশন নিবিড়ভাবে কাজ করেছে তারা। উইকেটের ধরনের কথা আঁচ করে চালাচ্ছে প্রস্তুতি।
মঙ্গলবার ম্যাচের আগের দিন ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এসে অধিনায়ক ল্যাথাম জানালেন, চাপমুক্ত থাকায় দলের মধ্যে বইছে দারুণ এক আবহ, 'এই পর্যায়ে বেশিরভাগরই কিছু অভিজ্ঞতা আছে, কয়েকজন আছে স্কোয়াডে আগে ছিল না। সবার জন্য এটা রোমাঞ্চকর ব্যাপার। সবাই মিলে যত বেশি সম্ভব দল হিসেবে থাকতে হবে, নির্ভার থাকতে হবে। গত পাঁচ দিনে আমরা খুব ভালো অনুশীলন সেশন করেছি। আজ চূড়ান্ত অনুশীলন করব। দলের মধ্যে একটা ভালো আবহ বিরাজ করছে। ছেলেরা ক্রিকেটে প্রবেশ করতে মুখিয়ে। কালকের জন্য সবাই রোমাঞ্চিত।'
বিশ্বকাপ স্কোয়াডে না থাকায় এই দলের ক্রিকেটারদের সামনে আপাতত কোন লক্ষ্য নেই। এসব পরিস্থিতিতে নিজেদের অনুপ্রাণিত করা কঠিন হলেও ল্যাথাম মনে করেন দায়িত্বই এনে দেবে প্রেরণা, 'দেশের জন্য খেলতে নামলে নিজেকে অনুপ্রাণিত করা সহজ। আমি ব্যক্তিগতভাবে টি-টোয়েন্টিতে খুব বেশি সুযোগ পাইনি। এমনকি বাকিরাও। বেশিরভাগই নিউজিল্যান্ডের হয়ে টি-২০ খেলেছে কিন্তু সংখ্যায় সেটা খুব কম। আমাদের উপভোগ করতে হবে। যে ধরনের ক্রিকেট খেলে এই কন্ডিশনে সাফল্য পেতে পারি সেই ধরণের ক্রিকেট খেলার উপর আস্থা রাখতে হবে। আমাদের লক্ষ্য সিরিজ জেতা।'
Comments