লিটনের পর মুশফিকের ফিফটি, জুটিতে শতরান
প্রথম সেশনে ৪৯ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ধুঁকছিল বাংলাদেশ। এরপর দলের হাল ধরেন মুশফিকুর রহিম ও লিটন দাস। মধ্যাহ্ন বিরতির পর আস্থার সঙ্গে ব্যাট করছেন তারা। সেই সঙ্গে পাকিস্তানের বোলারদের পাল্টা জবাব দিয়ে রানের চাকা রাখছেন সচল। তাদের পঞ্চম উইকেট জুটি পেরিয়েছে শতরান। হাফসেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন মুশফিক ও লিটন দুজনই।
শুক্রবার চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে সিরিজের প্রথম টেস্টে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমেছে বাংলাদেশ। শুরুর বিপর্যয় সামলে অভিজ্ঞ মুশফিক ও উইকেটরক্ষক-ব্যাটার লিটনের ব্যাটে ঘুরে দাঁড়িয়েছে তারা। দ্বিতীয় সেশনে এখনও পড়েনি কোনো উইকেট।
এই প্রতিবেদন লেখার সময়, ব্যাটিংয়ের জন্য ভালো উইকেটে ৫৪ ওভার শেষে স্বাগতিকদের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ১৬৬ রান। মুশফিক ১১১ বলে ৫২ ও লিটন ১১৭ বলে ৬০ রানে উইকেটে আছেন। তাদের অবিচ্ছিন্ন জুটির রান ১১৭।
প্রথম সেশনের শেষ ১১ ওভারে কোনো বিপদ ঘটতে দেননি মুশফিক ও লিটন। মধ্যাহ্ন বিরতির পরও তাদের ব্যাটে মিলছে নির্ভরতার ছবি। তাতে ক্রমেই হালকা হয়ে যাচ্ছে পাকিস্তানের বোলারদের চাপ।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপসহ সাম্প্রতিক বাজে পারফরম্যান্সের কারণে দুজনই আছেন সমালোচকদের লক্ষ্যবস্তু হিসেবে। পাকিস্তানের বিপক্ষে সবশেষ টি-টোয়েন্টি সিরিজে বাদ পড়েছিলেন লিটন, বাধ্যতামূলক বিশ্রাম দেওয়া হয়েছিল মুশফিককে। তাই রানে ফেরার দায় ছিল তাদের। সেই চেষ্টা ভালোভাবে করছেন তারা।
লিটন শুরু থেকেই খেলছেন দারুণ। বিশেষ করে, স্পিনারদের বিপরীতে তার পায়ের কাজ কাড়ছে নজর। চলতি বছর সাদা পোশাকের ক্রিকেটে ছন্দে থাকা এই ডানহাতি ব্যাটার ফিফটি তুলে নেন মুখোমুখি হওয়া ৯৫তম বলে। বাঁহাতি স্পিনার নুমান আলিকে কাট করে চার মেরে মাইলফলক স্পর্শ করেন তিনি।
কিছুক্ষণ পরই জুটির রান ছোঁয় একশ, ২০৭ বলে। এরপর পেসার হাসান আলিকে টানা ২ চার মেরে মুশফিকও পৌঁছে যান ফিফটিতে। তার লাগে ১০৮ বল। তিনি অবশ্য জীবন পান ব্যক্তিগত ৩৯ রানে। অফ স্পিনার সাজিদ খানের বলে তার ক্যাচ শর্ট লেগে থাকা ফিল্ডারের হাতের ফাঁক গলে বেরিয়ে যায়।
মুশফিক শুরুতে নিজেকে গুটিয়ে রেখেছিলেন। প্রথম ৫১ বলে তার রান ছিল কেবল ৬। অনেকটা সময় নিয়ে থিতু হওয়ার পর হাসছে তার ব্যাটও। পাকিস্তানের অধিনায়ক বাবর আজম ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে বোলারদের আক্রমণে আনলেও তারা ঘাবড়ে দিতে পারছেন না স্বাগতিক ব্যাটারদের।
Comments