মার খেলে উপভোগটা থাকে না: শেখ মেহেদী

Sheikh Mahedi Hasan

টি-টোয়েন্টিতে প্রায়ই নতুন বলে বল করতে দেখা যায় অফ স্পিনার শেখ মেহেদী হাসানকে। সহায়ক কন্ডিশন থাকায় নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষেও একই ভূমিকায় দেখা যেতে পারে তাকে। তার মতে নতুন বল হাতে নেওয়ার উপভোগের সঙ্গে আছে রান আটকানোর চাপ, দ্রুত চিন্তা করে সিদ্ধান্ত নেওয়ার চ্যালেঞ্জ। এই চ্যালেঞ্জটা আরও কঠিন হয়ে উইকেট ব্যাটিং সহায়ক হলে। ব্যাটিং বান্ধব উইকেটেও তাই নিজের বোলিংয়ের উন্নতির খুঁজে তিনি। 

এখন পর্যন্ত ১৪ টি-টোয়েন্টি খেলে ১০ উইকেট নিয়েছেন শেখ মেহেদী। অনেক ম্যাচেই নতুন বল হাতে নিয়ে অল্প-মধুর অভিজ্ঞতা পাওয়া এই স্পিনার ওভারপ্রতি রান দিয়েছেন ৮.১১ করে। এই পরিসংখ্যানের আরেকটা ছবি পাওয়া যায় দেশ-বিদেশ ভাগ করে নিলে।  দেশের মাঠে খেলা ৮ ম্যাচে ওভারপ্রতি দিয়েছেন ৬.৪৬ কিন্তু বিদেশের মাঠে ওভারপ্রতি খরচ হয়েছে ১০.৮১ রান করে। অর্থাৎ উইকেটে সহায়তা না থাকলেও কাজটা বেশ কঠিন হয়ে উঠে মেহেদীর। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও অপেক্ষা করছে কঠিন চ্যালেঞ্জ। 

রোববার দলের অনুশীলন সেরে গণমাধ্যমে পাঠানো ভিডিওতে জানালেন  চেষ্টায় আছেন ভালো উইকেটেও নিজেকে মেলে ধরার, 'ভালো উইকেটে কিভাবে নিজেকে পরিপূর্ণভাবে ওভারকাম করা যায় এবং ওখানটায় উন্নতি করা যায়, সেই চেষ্টাই করছি। এমনকি দেশের মাটিতেও অনেক উন্নতির জায়গা আছে, যেখানে আরও ভালো করতে পারি। আমার ইচ্ছা, দিন দিন আমি আরও উন্নতি করতে চাই।' 

অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সহায়ক উইকেট থাকায় পাওয়ার প্লেতে বল করতে এসেও সফল হয়েছিলেন তিনি। রান আটকানোর পাশাপাশি মিলেছিল উইকেটও। মন্থর ও টার্নিং ঘরানার একই কন্ডিশনে ভিন্ন প্রতিপক্ষের বিপক্ষে পাওয়ার প্লেতে তাকেই বল করতে দেখার সম্ভাবনা প্রবল। তবে যেকোনো উইকেটেই পাওয়ার প্লেতে বল করা সহজ কোন কাজ নয়। উপভোগের পাশাপাশি তাই দ্রুত চিন্তা করে বল করার চ্যালেঞ্জ দেখেন তিনি,  'নতুন বলে বল করলে উপভোগ তো করতেই হয়। তবে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট, মাঝেমধ্যে মার খেলে তো উপভোগটা থাকে না। যেহেতু টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট, অনেক চিন্তা ভাবনা করে বল করতে হয়। কম সময়ের খেলা। তাৎক্ষনিক অনেক কিছু করতে হয়। সেক্ষেত্রে নতুন বলের ভূমিকাটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ।'

'যদি আমি সফল হতে পারি, তবে দলের জন্য ভালো। পাওয়ারপ্লে ভালোভাবে পার করে দেওয়া যায়। দেখা গেলে আপনি একটা ওভার ভালো করতে পারলে অন্য প্রান্ত থেকে বেশি রান হতে পারে। কাজেই কম্বিনেশনটা ধরে রেখে বল করতে হয়। দলের মূল অফ স্পিনার হিসেবে দায়িত্ব তো থাকেই। এছাড়াও আমাদের দলে আরও অলরাউন্ডার আছেন, যারা অফ স্পিন করে থাকেন, রিয়াদ ভাই, মোসাদ্দেক, আফিফ। মূল অফ স্পিনার হিসেবে আমার তো একটু দায়িত্ব থাকেই।'

 

Comments

The Daily Star  | English
remittance earning of Bangladesh

Remittance rises 30% in July

Migrants sent home $2.47 billion in the first month of the current fiscal year

5h ago