বিসিবির কে যোগাযোগ করেছিল, প্রশ্ন গিবসনের

ottis gibson
ওটিস গিবসন। ফাইল ছবি: ফিরোজ আহমেদ

তার সময়ে পেস বোলারদের চোখে পড়ার উন্নতি। মাত্রই নিউজিল্যান্ড সফরে পেসারদের হাত ধরে এসেছে সেরা এক সাফল্য। এমন একটা সময়ে ওটিস গিবসনের সঙ্গে বিসিবির সম্পর্কের সমাপ্তি হতে চলেছে। ক্যারিবিয়ান এই কোচ আর চুক্তি নবায়ন করছেন না। কিন্তু পেসারদের উন্নতিতে ভূমিকা রাখা এই কোচকে ধরে রাখতে কি চেষ্টা চালিয়েছিল বিসিবি? ক্রিকেট অপারেশন্স চেয়ারম্যান জালাল ইউনূস তেমন চেষ্টার কথা বললেও গিবসনের কাছ থেকে পাওয়া গেল ভিন্ন সুর।

গিবসনের বাংলাদেশ ছাড়ার আভাস মিলে বুধবার রাতে। পাকিস্তান সুপার লিগ (পিএসএল) এর দল মুলতান সুলতান এক টুইটে জানায়, আসন্ন মৌসুমে তাদের সহকারী ও পেস বোলিং কোচ হিসেবে যোগ দেবেন তিনি। বৃহস্পতিবার সকালে দ্য ডেইলি স্টারকে এই খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেন গিবসন নিজে। পরে ক্রিকেট অপারেশন্স চেয়ারম্যানও গণমাধ্যমে জানান গিবসনের না থাকার কথা।

দ্য ডেইলি স্টারকে দেওয়া এক ক্ষুদে বার্তায় গিবসন জানান, 'বিসিবি কি আমার সঙ্গে নতুন চুক্তিতে যেতে চেয়েছিল কিংবা কবে যেতে চেয়েছিল', এই প্রশ্নের উত্তর যেন গণমাধ্যম খুঁজে বের করে।

গিবসনের চুক্তির নবায়নে বিসিবির উদ্যোগ নিয়ে জালাল ইউনূসের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, তারা চেষ্টা চালিয়েছিলেন,  'নিউজিল্যান্ড সফর চলাকালীন আমরা ওর সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলাম। ওকে ফোন করা হয়েছিল। জিজ্ঞেস করেছিলাম, চুক্তি নবায়ন করতে চায় কিনা, নতুন চুক্তির কাগজ পাঠাব কিনা। কিন্তু সে তখন বলেছে, তার অন্য একটা অফার আছে, সে আর চালিয়ে নিতে চায় না। আমরা কিন্তু ওর জন্য বাংলাদেশের ফেরার রিটার্ন টিকেটও কেটে রেখেছিলাম।' 

যদিও গিবসন বলছেন ভিন্ন কথা। তার কথায় স্পষ্ট বিসিবির কাছ থেকে তিনি পাননি চুক্তি নবায়নের আনুষ্ঠানিক কোন প্রস্তাব। তার বরং প্রশ্ন, 'কখন কবে, কোন সময়টায় এবং বিসিবির কে আমাকে কল করেছিল?'

রাতে ফোনে এই কোচ ডেইলি স্টারকে জানান, তাকে বিসিবির কেউই কোন ফোন করেননি, 'বিসিবি থেকে কেউ আমার সঙ্গে চুক্তি নিয়ে কোন যোগাযোগই করেনি, কেউ ফোন করেনি। তাদের কাছ থেকে আমি কোন রেসপন্স পাইনি। আমি গত ২৯ ডিসেম্বর সিইও নিজামউদ্দিনের কাছে একটি ই-মেইল করেছিলাম, তিনি সেটিরও রেসপন্স করেননি। খালেদ মাহমুদ সুজন এখানে ছিলেন, উনার সঙ্গে এমনিতে কথা হয়েছে। কিন্তু আমার ছেড়ে দেওয়া নিয়ে তিনি কোন মতামত দেননি।' 

২০২০ সালে ২১ জানুয়ারি বাংলাদেশের পেস বোলিং কোচ হিসেবে দুই বছরের চুক্তিতে যোগ দেন গিবসন। এই দুই বছরে দেশের পেস বোলিং সংস্কৃতি বদলাতে ভূমিকা রেখেছেন তিনি। তার সময়ে ঘরে ও ঘরের বাইরে টেস্টে নিয়মিত খেলতে দেখা গেছে পেসারদের। ডানহাতি ব্যাটসম্যানদের বেলায় মোস্তাফিজুর রহমানের বল ভেতরে আনা, তাসকিন আহমেদের রিভার্স স্যুইংসহ সামগ্রিক উন্নতি। ইবাদত হোসেনের বোলিং অ্যাকশনে বদল এনে তাকে আরও ক্ষিপ্র করে তুলতে ভূমিকা রেখেছেন গিবসন। পেস বোলাররাও এই কোচের কাজের প্রশংসা করে আসছেন। 

 

Comments

The Daily Star  | English
Anti-Discrimination Students Movement

Students to launch political party by next February

Anti-Discrimination Student Movement and Jatiya Nagorik Committee will jointly lead the process

10h ago