বাংলাদেশের সাবেক কোচের পরামর্শে প্রস্তুত হচ্ছেন প্যাটেল

 Ajaz Patel

মূলত নিউজিল্যান্ডের টেস্ট সেটআপের খেলোয়াড় অ্যাজাজ প্যাটেল। মূল স্কোয়াডের ক্রিকেটাররা না আসায় বাংলাদেশে এসেছেন টি-টোয়েন্টি খেলতে। ক্রিকেটের ছোট সংস্করণে খুব একটা অভিজ্ঞতা না থাকলেও উপমহাদেশের কন্ডিশন বলেই এই বাঁহাতি স্পিনার মুখিয়ে আছেন দারুণ কিছু করতে। বাংলাদেশের কন্ডিশনে ভালো কিছু করতে পরামর্শক হিসেবে তার হাতের কাছেই বাংলাদেশের একজন সাবেক কোচ।

২০১৮ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পা রাখার পর মাত্র দুটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন প্যাটেল। এই সময়ে টেস্ট খেলেছেন ৯টি। অভিষেক হয়নি ওয়ানডেতে। বোঝাই যাচ্ছে সাদা বলের ক্রিকেটের বিবেচনায় তিনি খুব একটা আসেন না।

তবে বাংলাদেশে আসা নিউজিল্যান্ড স্কোয়াডের স্পিনারদের মধ্যে তিনিই তূলনামূলকভাবে অভিজ্ঞতম।  স্কোয়াডে থাকা অফ স্পিনার কোল ম্যাকনচি আর স্পিনিং অলরাউন্ডার রাচীন রবীন্দ্রের যে এখনো আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেকই হয়নি।

শনিবার মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুশীলন সেরে এই বাঁহাতি স্পিনার জানালেন, এখানে কেমন কৌশল নিতে হবে তা জানছেন থিলান সামারাবিয়ার কাছে। এক সময় বাংলাদেশের ব্যাটিং কোচ হিসেবে করা শ্রীলঙ্কান সাবেক ক্রিকেটার সামারাবিরা প্যাটেলদের কাছে তুলে ধরছেন বাংলাদেশে ভালো করার উপায়, 'আমরা স্পিন বোলাররা কথা বলেছি। কি প্রত্যাশা করতে পারি, কীভাবে বল করতে পারি এসব আলাপ হয়েছে। থিলানের (থিলান সামারাবিরা) সঙ্গে কথা হয়েছে। উপমহাদেশের অনেক অভিজ্ঞতা উনার। ব্যাটসম্যানরা এখানে কেমন অ্যাপ্রোচ নেবে এসব জেনেছি।'

নিউজিল্যান্ডের কন্ডিশনে খুব বেশি স্পিন সহায়ক উইকেট পাওয়া যায় না। সেদিক থেকেও বাংলাদেশে সহায়ক কন্ডিশন পাওয়ায় রোমাঞ্চিত ভারতের মুম্বাইয়ে জন্ম নেওয়া এই স্পিনার,  'অবশ্যই (রোমাঞ্চিত)। স্পিনারদের জন্য এই ধরণের অণুকুল কন্ডিশন পেলে রোমাঞ্চ তো হবেই। তবে এটাও আমাদের বুঝতে হবে ওরা (বাংলাদেশ) স্পিন বলটা খুব ভাল খেলে। কারণ আমরা তাদের নিজেদের ঘরের মাঠে খেলতে এসেছি। কাজেই হালকাভাবে কিছুই নেওয়ার সুযোগ নেই। সব সময় খেলার মোমেন্টামের মধ্যে থাকতে হবে।' 

বাংলাদেশে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের পর পাকিস্তানে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি খেলতে যাবেন প্যাটেল। লাল বল স্পেশালিষ্টের তকমা ছাপিয়ে এই ম্যাচগুলোতে ভাল করতে মুখিয়ে ৩২ পেরুনো প্যাটেল,  'এটা আমার জন্য রোমাঞ্চের বিষয় যে অনেকগুলো সাদা বলের ম্যাচ পাব। এই ম্যাচগুলোতে ফোকাস করছি। নিজের উপর আলাদা কোন চাপ নিচ্ছি না।' 

Comments

The Daily Star  | English
remittance earning of Bangladesh

Remittance rises 30% in July

Migrants sent home $2.47 billion in the first month of the current fiscal year

5h ago