সালতামামী ২০২১

ক্রিকেটে ফাঁপা সাফল্যের ভ্রান্তিতে ঘোর অমানিশার বছর

ছবি: ফিরোজ আহমেদ

শুধু পরিসংখ্যান দেখলে তৈরি হতে পারে বিভ্রান্তি। তবে বছর জুড়ে মাঠে ও মাঠের বাইরে বাংলাদেশের ক্রিকেটকে যারা নিবিড়ভাবে অনুসরণ করেছেন, তাদের বিষয়টি অনুধাবন করার কথা। কিছু চটকদার খবর তৈরির সাফল্য ছাড়া ২০২১ সালে বাংলাদেশের ক্রিকেট আসলে দেখিয়েছে কঙ্কালসার জীর্ণতা। খেলার মাঠে ক্রিকেটারদের বিবর্ণ পারফরম্যন্সের সঙ্গে সংগঠকদের অদক্ষতা, অদূরদর্শিতা শঙ্কা জাগিয়েছে আগামী দিন নিয়েও।

৭ টেস্ট খেলে ১ জয়, ৫ হার, ১ ড্র। ১২ ওয়ানডে খেলে ৮টিতেই জয়, ২৭ টি-টোয়েন্টি খেলে ১১ জয়, ১৬ হার। তিন সংস্করণ মিলিয়ে এই বছর ২০টি ম্যাচ জিতেছে বাংলাদেশ। এক পঞ্জিকা বর্ষে এরচেয়ে বেশি জয় আছে আর মাত্র একবার। কিন্তু ঝলমলে এই পরিসংখ্যানের ভেতরেই লুকিয়ে আছে অন্ধকার।

করোনা বিরতির পর বছরের শুরুতেই বাংলাদেশে খেলতে আসে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ওয়ানডে সংস্করণে খেলতে আসে আনকোরা ক্রিকেটারে ভর্তি দ্বিতীয় সারির দল। এদের বিপক্ষে ঘরের মাঠে ৩-০ ব্যবধানে জিততে না পারা হতো বিশাল আশ্চর্যের ব্যাপার। প্রত্যাশিত ফলই আসে। কিন্তু টেস্টে নেমে পুড়তে হয় চরম হতাশায়।

ক্যারিবিয়ানদের টেস্টের স্কোয়াডটি কিছুটা শক্তিশালী ছিল। কিন্তু তাও তাদের মূল কয়েকজন ক্রিকেটার খেলতে আসেননি বাংলাদেশে। দুই টেস্টেই চরম বিব্রতকরভাবে হারে মুমিনুল হকের দল। চট্টগ্রামে প্রথম টেস্টে ৩৯৫ রানের লক্ষ্য দিয়েও পারা যায়নি। অভিষিক্ত কাইল মেয়ার্স ইতিহাস গড়া ডাবল সেঞ্চুরিতে ম্যাচ জিতিয়ে দেন ক্যারিবিয়ানদের। ঢাকায় পরের টেস্টে নিজেদের তৈরি করা স্পিন ফাঁদে নিজেরাই কাবু। জোমেল ওয়ারিকন আর একেবারেই অনিয়মিত বোলার ক্রেইগ ব্র্যাথয়েটের স্পিনে হেরে হোয়াইটওয়াশড হতে হয়।

এরপর ওয়ানডে সুপার লিগের সিরিজ খেলতে বাংলাদেশে আসে শ্রীলঙ্কা। তারাও নিয়ে আসেনি সেরা দল। বেশ কয়েকজন অভিজ্ঞ ও নিয়মিত তারকাদের বাদ দিয়ে নতুন আদলের দল নিয়ে বাংলাদেশে খেলতে আসে লঙ্কানরা। বাংলাদেশ সেই সিরিজটি জিতেছে ২-১ ব্যবধানে। একটু এদিক-সেদিক হলে সিরিজটি হারতেও পারত। ওয়ানডেতে প্রত্যাশিতভাবে সিরিজ জয় এসেছে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেও, তবে নিউজিল্যান্ডে গিয়ে ওয়ানডেতে বরাবরের মতই হারই ছিল নিয়তি। বছরে ৮টি ওয়ানডে জিতে ৮০ পয়েন্ট ওয়ানডে সুপার লিগের দুইয়ে বাংলাদেশ। তবে এই বছর কোন দলই খেলেনি খুব বেশি ওয়ানডে। বাংলাদেশের সিরিজ জয়গুলোও ছিল তুলনামূলক দুর্বল প্রতিপক্ষের বিপক্ষে। কাজেই ওয়ানডের সাফল্যও উল্লাস করার পরিস্থিতি দেয়নি সেভাবে।  

এই বছর সবচেয়ে বেশি ২৭টি টি-টোয়েন্টি খেলেছে বাংলাদেশে। প্রথমবার সিরিজ হারানো গেছে অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ডকে। কিন্তু সেই জয়গুলো নানা কারণেই দিবে না বাস্তবতার ছবি। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে গিয়েই যেটা বেরিয়ে এসেছে বাজেভাবে।

ভুল আত্মবিশ্বাস আর ভুল চিন্তায় ডুব, আলোর নিচে অন্ধকার

টি-টোয়েন্টিতে ২৭ ম্যাচ খেলে ১৬ জয়। বছরে ৫০ শতাংশের বেশি সাফল্যের হার। কিন্তু এর প্রায় পুরোটাই ফাঁকিবাজিতে ভরা। যার ফল মিলেছে বিশ্বকাপে গিয়ে। মার্চ মাসে নিউজিল্যান্ড সফরে তিন টি-টোয়েন্টি হার দিয়ে শুরু। এরপর জিম্বাবুয়েতে গিয়ে এক ম্যাচ হারলেও দুটিতে জিতে সিরিজ জয় এসেছে। তখন পর্যন্ত প্রক্রিয়া ঠিকঠাকই ছিল।

গোলমাল লাগে এরপর। অগাস্ট ও সেপ্টেম্বরে ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষের পর পর দুই সিরিজ খেলে বাংলাদেশ। পাঁচ ম্যাচের দুই সিরিজেই জিতে মাহমুদউল্লাহর দল। অস্ট্রেলিয়াকে ৪-১, নিউজিল্যান্ডকে ৩-২। কিন্তু এই জয়গুলোই পরে হয়েছে কাল। করোনার কারণে বাংলাদেশে দ্বিতীয় সারির দল পাঠায় অস্ট্রেলিয়া। অজিদের হারাতে বিশ্বকাপ প্রস্তুতির কথা না ভেবেই চরম মন্থর এক উইকেটে খেলা দেয় বিসিবি। অনুমিতভাবেই আসে জয়। ওই সিরিজ দেখে  নিউজিল্যান্ড তাদের বিশ্বকাপ স্কোয়াডের একজন সদস্যকেও  বাংলাদেশে পাঠায়নি। নিউজিল্যান্ডের আগাগোড়া দ্বিতীয় সারির দল সিরিজ হারলেও দুই ম্যাচ জিতে দেখিয়ে বাংলাদেশকে বুঝিয়ে দেয় বাস্তবতা।

কোন প্রক্রিয়ায়, কোন মানের দলকে হারিয়েছে সেটা আড়াল করে অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডকে হারানোর খবরকেই করা হয় বড়। বিশ্বকাপে কোন ধরনের উইকেটে খেলা হবে সেসব আলাপও পড়ে যায় চাপা। সবচেয়ে ক্ষতি হয় ব্যাটসম্যানদের। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের  আগে যেখানে সবাই শটের রেঞ্জ বাড়ানোর কাজ করেছে, বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা ব্যস্ত ছিল ক্রিজ আঁকড়ে পড়ে থাকায়।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে গিয়ে প্রথম ম্যাচেই সহযোগি সদস্য দেশ স্কটল্যান্ড বাংলাদেশকে হারিয়ে বুঝিয়ে দেয় বাস্তবতা, নাড়িয়ে দেয় ভিত। ওই হারের পর ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিসিবি সভাপতি, হস্তক্ষেপও করেন দলে।

পরে  ওমানকে কোনমতে হারানো আর পাপুয়া নিউগিনির মতো প্রথম বিশ্বকাপ খেলতে আসা দলের বিপক্ষে জিতে ক্রিকেটাররা নামেন কথার লড়াইয়ে। সাকিব, মাহমুদউল্লাহ, মুশফিক একে একে সংবাদ সম্মেলনে এসে নিজেদের ঢোল পিটিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যে আসর গরম করে দেন। প্রথম রাউন্ডের ওই ছোট দুই জয়ই হয় বাংলাদেশের একমাত্র অর্জন। তাদের মুখের কথা হয়ে যায় বুমেরাং, দল ডুবে হতাশায়।

পারফরম্যান্স বিচারে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সুপার টুয়েলভে উঠা সবচেয়ে বাজে দল ছিল বাংলাদেশ। জেতা তো দূরে থাক, মাহমুদউল্লাহদের অ্যাপ্রোচও ছিল টি-টোয়েন্টির একদম বিপরীত। ক্রিজ আঁকড়ে পড়ে থাকাকেই লক্ষ্য করে এগিয়ে ডুবেন তারা। যে অস্ট্রেলিয়াকে ঘরের মাঠে হারানো গিয়েছিল তারা বিশ্বকাপে বাংলাদেশকে পেয়ে স্রেফ ছেলেখেলায় মেতেছিল। পরে চ্যাম্পিয়নও হয় তারা।

বিশ্বকাপের পর অনেক বদল এনেও বিবর্ণ দশা থেকে বেরুতে পারেনি বাংলাদেশ। খালেদ মাহমুদ সুজনকে বানানো হয় টিম ডিরেক্টর। পাকিস্তান সিরিজে দায়িত্ব নিয়ে  অনেক পরীক্ষা নিরীক্ষা চালান তিনি। কিন্তু কোন কিছুর মধ্যে ছিল না চিন্তার ছাপ। দীর্ঘ পরিসরের ক্রিকেটার সাইফ হাসানকে ধরে এনে নামিয়ে দেওয়া হয় টি-টোয়েন্টিতে, দুই ব্যর্থতার পর ছুঁড়েও ফেলা হয় দ্রুতই। বাদ দিয়ে দেওয়া হয় লিটন দাস, সৌম্য সরকার, মুশফিকুর রহিমদের। শম্বুক গতিতে খেলা নাঈম শেখকে খেলিয়ে যাওয়া হয় ম্যাচ। বাংলাদেশের ব্যাটিং হাঁটে সেই একই মন্থর ঘরানায়। ব্যর্থ হলেও চিন্তার  জায়গা ঠিক থাকলে মিলত ভরসা। কিন্তু টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট নিয়ে দলের চিন্তার বাসা বেধেছে কঠিন ব্যাধি।  

Bangladesh Test
অ্যান্টিগা টেস্ট যেন দুঃস্বপ্ন বাংলাদেশের। ছবি: এএফপি

ব্যক্তিগত ঝলক ছাড়া টেস্টে কেবল হতাশা

টেস্টে কোন বছরই তেমন একটা ভাল যায় না বাংলাদেশের। এই বছর হয়েছে আরও খারাপ। খর্বশক্তির ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশ দিয়ে শুরু। শ্রীলঙ্কায় গিয়ে পাটা উইকেটে এক টেস্ট ড্র করলেও পরেরটিতে বড় ব্যবধানে হার। জিম্বাবুয়েতে একমাত্র টেস্টে চরম বিপদে পড়েছিল দল। ঘুরে দাঁড়িয়ে পরে আসে জয়। শেষটায় আবার বেহাল দশা। পাকিস্তানের বিপক্ষে ফের হোয়াইটওয়াশ। অথচ চট্টগ্রামে ইনিংসে লিডও নিয়ে নিয়েছিল বাংলাদেশ। সেই জায়গা নষ্ট হয় টেম্পারমেন্টের ঘাটতিতে। ঢাকায় আড়াই দিন বৃষ্টিতে ভেসে যাওয়ার পরও ম্যাচ বাঁহাতে পারেনি মুমিনুলরা। অস্বাভাবিক অ্যাপ্রোচে ব্যাট করে দৃষ্টিকটু এক হার দিয়ে হয়ে থাকছে বছরের শেষ ম্যাচ।

টেস্টে এই বছর ব্যক্তিগত সাফল্যে ঝমমলে ছিলেন লিটন দাস। টি-টোয়েন্টিতে বাজে সময় পার করলেও লিটন টেস্টে ছিলেন অবিশ্বাস্য ফর্মে। কিপার ব্যাটসম্যানদের মধ্যে টেস্টে সবচেয়ে বেশি রান করেন তিনি। এই বছর ৭ টেস্টে ১ সেঞ্চুরি আর ৫ ফিফটিতে ৪৯.৫০ গড়ে লিটনের ব্যাট থেকে আসে ৫৯৪ রান।

কোচ বিতর্ক, দলে অন্তর্কোন্দল

পারফরম্যান্সে উন্নতি না হলেও বিশ্বকাপের আগেই কোচ রাসেল ডমিঙ্গোর সঙ্গে আরও ২ বছরের চুক্তি করে ফেলে বিসিবি। বিশ্বকাপে চরম ব্যর্থতার পরও তার চাকরি যায়নি। প্রকাশ্যে এই কোচের সমালোচনা করেন খালেদ মাহমুদ। পরে টিম ডিরেক্টরের দায়িত্ব নিয়ে এই কোচের সঙ্গেই কাজ করছেন তিনি। তার অধীনেও প্রক্রিয়ার বাইরে গিয়ে বিচিত্র সব সিদ্ধান্ত নিতে দেখা যাচ্ছে। দীর্ঘ পরিসরের ক্রিকেটে একদমই আনকোরা এবং কোন পারফরম্যান্স না করা নাঈম শেখকে তিনি নিয়ে নেন টেস্ট দলে। তাকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে নিউজিল্যান্ডেও। পুরো ব্যাপারটার মধ্যে নেই পরিকল্পনার ছাপ।

বিশ্বকাপের পরই দলে অন্তর্কোন্দলের খবর বেরিয়েছিল। সাকিব আল হাসানের সঙ্গে তামিম ইকবালের দূরত্বের কথা আড়ালে থাকেনি। মাহমুদউল্লাহর সঙ্গেও তামিমের দ্বন্দের খবরও পাওয়া যায়। সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজাকে বিভিন্ন টকশোতে হাজির হয়ে নানান মত দিতে দেখা যায়। কোচদের নিয়ে কড়া সমালোচনাও করেন তিনি।

বছরের মাঝামাঝি টেস্ট থেকে মাহমুদউল্লাহর আকস্মিক অবসর নিয়ে কম নাটক হয়নি। বোর্ড সভাপতির ক্ষোভের পর অবসর নিয়েও সেটা প্রকাশ্যে কিছু বলছিলেন না মাহমুদউল্লাহ। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওই টেস্ট থেকে অবসরের পর মাঠে গার্ড অব অনারও নেন তিনি। এর চার মাস পর আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে তার অবসরের কথা জানানো হয় গণমাধ্যমে।

এই সময়ে দল নির্বাচন থেকে ব্যাটিং অর্ডার, একাদশ থেকে কার কি ভূমিকা সব কিছু নিয়েই কথা বলেন বোর্ড প্রধান। সবকিছুতেই হস্তক্ষেপ করতে দেখা যায় তাকে।

বিসিবি নির্বাচন

চলতি বছর হয়েছে বিসিবির নির্বাচনও। নির্বাচনে এবারও কোন চমক ছিল না। অনুমিতভাবেই ফের সভাপতি হন নাজমুল হাসান পাপন। প্রতিপক্ষ কোন প্যানেল না থাকায় সভাপতির বলয়ের লোকজনই ফের পান ক্ষমতা। কয়েকটি পরিচালক পদে আসে বদল। তবে নির্বাচনের পুরো প্রক্রিয়া ছিল প্রতিদ্বন্দিতাহীন, একপেশে।

নারী ক্রিকেটে অল্প খেলা, একটি অর্জন  

এছাড়া, চলতি বছর নারী ক্রিকেটে আছে সাফল্য। খুব বেশি খেলার সুযোগ পায়নি বাংলাদেশ নারী দল। ওয়ানডে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের আগে জিম্বাবুয়ের সঙ্গে সিরিজ জেতে তারা। বাছাইয়ে হারায় পাকিস্তানকে। তবে করোনায় বাছাই আসর অসমাপ্ত থাকলেও র‍্যাঙ্কিংয়ে এগিয়ে থাকায় প্রথমবারের মতো ওয়ানডে বিশ্বকাপ নিশ্চিত হয়েছে নিগার সুলতানা জ্যোতিদের।

অনিশ্চয়তার বিপিএল, নাটকীয়তার বিপিএল

বছরের একদম শেষে এসে বাংলাদেশের ক্রিকেটে মূল আলোচনা ছিল বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) ঘিরে। ফ্র্যাঞ্চাইজি এই টি-টোয়েন্টি আসর কখনই নিয়মিত করতে পারেনি বিসিবি। কোন কোন দল খেলবে তার কোন ঠিক থাকে না কোনবারই। এত বছরেও তৈরি হয়নি কোন নিয়মকানুনের শৃঙ্খলা। 

এবারও সেই অনিয়মের ধারাবাহিকতা ছিল। বিপিএল আয়োজন নিয়ে বিসিবির প্রস্তুতি ঘাটতি বোঝা গেছে স্পষ্ট। শেষ পর্যন্ত ছয়টি ফ্র্যাঞ্চাইজি ঠিক করলেও প্লেয়ার্স ড্রাফটের আগে জন্ম হয় বিরল এক নাটকীয়তার। বাতিল হয়ে যায় এক ফ্র্যাঞ্চাইজি। বিসিবি নিজেরাই দায়িত্ব নেয় ঢাকার। 

বিপিএলের অনেক পরে শুরু করেও পাকিস্তান সুপার লিগ (পিএসএল) এখন একটা শক্ত ভিতের উপর দাঁড়িয়ে। চলতি আসরের জন্য পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড পিএসএলের টিভি সত্ত্বই বিক্রি করেছে ২ কোটি ৪০ লাখ মার্কিন ডলারে। বিপিএল সেদিক থেকে অনেক অনেক পিছিয়ে। 

বছরের একটা নির্দিষ্ট সময়ও বিপিএলের জন্য ঠিক করা যায়নি। এবার যখন ২১ জানুয়ারি বিপিএল শুরু হবে, তার ঠিক ৪ দিন পর শুরু হবে পিএসএল। মানসম্মত বিদেশি খেলোয়াড়ের ঘাটতিতে তাই বিপিএল। শেষ পর্যন্ত নতুন বছরের শুরুতে বিতর্ক ছাড়া এবার বিসিবি বিপিএল শেষ করতে পারে কিনা, বছরের শেষ প্রান্তে এসে এই প্রশ্নও এখন বড়। 
 

Comments

The Daily Star  | English
Anti-Discrimination Students Movement

Students to launch political party by next February

Anti-Discrimination Student Movement and Jatiya Nagorik Committee will jointly lead the process

10h ago