‘আমি দেশের ১৫তম বোলার কিন্তু সুযোগ পেয়ে গিয়েছি’

Ben Sears
ছবি: ভিডিও থেকে

বছর পাঁচেক আগে যুব বিশ্বকাপ খেলতে বাংলাদেশে এসেছিলেন বেন সিয়ার্স। তরুণ এই পেসারের এবার বাংলাদেশে আসা দূরে থাক নিউজিল্যান্ডের কোন প্রাথমিক দলেও সুযোগ পাওয়ার বাস্তবতা ছিল না। পরিবর্তিত বাস্তবতায় মূল দলে তো ঠাঁই মিলেছেই অপেক্ষায় আছেন অভিষেকেরও। পুরো ব্যাপারটাই তার কাছে বেশ অদ্ভুত লাগছে।

ভারতে বিশ্বকাপ মাথায় রেখে বাংলাদেশে প্রস্তুতিমূলক টি-টোয়েন্টি সিরিজ রেখেছিল নিউজিল্যান্ড। কিন্তু করোনা মহামারির কারণে বিশ্বকাপ সংযুক্ত আরব আমিরাতে সরে যাওয়ায় বদলে গেছে হিসাব নিকেশ।

নামে বিশ্বকাপ প্রস্তুতির সিরিজ হলেও বাংলাদেশে বিশ্বকাপ স্কোয়াডের একজন সদস্যকেও তাই পাঠায়নি কিউইরা। অনভিজ্ঞতায় ঠাসা এই স্কোয়াডে তাই জায়গা হয়ে গেছে সিয়ার্সের।

জোরে বল করার সামর্থ্য থাকা এই পেসার সোমবার গণমাধ্যমে পাঠানো ভিডিওতে জানান পুরো ব্যাপারটাই তার কাছে অদ্ভুত আবার বিশাল সুযোগও, 'এটা দুর্দান্ত ব্যাপার হবে (অভিষেক হলে)। এটা একটা অদ্ভুত সফর। আমি সম্ভবত দেশের ১৫তম বোলার হবো কিন্তু সুযোগ পেয়ে গিয়েছি। কারণ কেউই (প্রথম সারির) আসেনি। যাইহোক আমাদের জন্য এটা বিরাট সুযোগ।'

নিউজিল্যান্ডের পাইপলাইনে জোরে বল করার সুনাম আছে সিয়ার্সের। কিন্তু বাংলাদেশের কন্ডিশনে সেই ধরণটা নিতে গেলে পড়তে হতে পারে বিপদ। সিয়ার্সও আঁচ করতে পারছেন তা। গতির সঙ্গে তাই বৈচিত্র্যের মিশেল রাখতে চান মিরপুরের উইকেটে,  'আপনি জোরে বল করার চেষ্টা করতে পারেন কিন্তু উইকেট এখানে ভিন্নরকমের। আপনাকে তাই এরসঙ্গে চৌকশ হতে হবে। কখনো কোন বলটা করতে অবে এটা বেছে নিয়ে বৈচিত্র্য আনতে হবে। অফ কাটার বল করলে সহায়তা পাওয়া যাবে।'

সিয়ার্সদের জন্য বাংলাদেশে আরেক প্রতিপক্ষের নাম আবহাওয়া। প্রচণ্ড গরম আর আর্দ্রতার কারণে ক্রিকেট খেলাটা এখানে বেশ কঠিন। সিরিজ শুরুর আগের সময়টায় তাই অস্বস্তিবোধ করলেও ভাল বল করার উপায় বের করছেন তিনি,  'খুবই গরম এখানে। প্রথম দিন অনুশীলনে গিয়েই টের পেয়েছি গরম। মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছি। শিখছি কীভাবে অস্বস্তি থাকলেও ভাল বল করা যায়। এটা মজার ব্যাপার। কিন্তু যথেষ্ট পানি পান করলে সমস্যা নেই।'

১ সেপ্টেম্বর মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শুরু হবে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ।

Comments

The Daily Star  | English

US retailers lean on suppliers to absorb tariffs

Rather than absorbing the cost or immediately passing it on to consumers, many US apparel retailers and brands have turned to their suppliers in Bangladesh, demanding they share the pain

2h ago