ঘোষণার চেয়ে পরিমাণে বেশি: চট্টগ্রামে রোডিয়ামের চালান আটক
বাজার মূল্যের চেয়ে কম ঘোষণা দেওয়ায় মূল্যবান ও দুর্লভ ধাতু রোডিয়ামের ২০০ গ্রামের একটি চালান আটক করেছে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউস। কর্তৃপক্ষ বলছে, চীন থেকে আমদানি করা নাছির গ্রুপের এ চালানটি ঘোষিত মূল্য ৩৮ হাজার ৫৮০ ডলার হলেও এর প্রকৃত মূল্য প্রায় ১ লাখ ডলার। এ ছাড়া, ঘোষণার চেয়ে পরিমাণে বেশি এসেছে।
আজ মঙ্গলবার দ্বিতীয় দফায় চালানের কায়িক পরীক্ষা করা হয়েছে। গত ১ সেপ্টেম্বর চালানটি চট্টগ্রাম বন্দরে এলেও ৬ সেপ্টেম্বর প্রথম দফায় কায়িক পরীক্ষা করা হয়। প্রথম দফায় পণ্যের ওজন ঘোষণার চেয়ে ৬১৫ গ্রাম বেশি পাওয়া যায়। তবে দ্বিতীয় দফায় পাওয়া যায় মাত্র ৩১ গ্রাম বেশি।
কর্মকর্তারা বলছেন, দেশে রোডিয়াম আমদানির এটিই প্রথম চালান। এ ধাতুর প্রতি গ্রাম আন্তর্জাতিক বাজারে ৪৯৭ থেকে ৫০০ ডলারে বিক্রি হয়। অর্থাৎ প্রতি কেজির মূল্যে প্রায় সাড়ে চার কোটি টাকা। অথচ ঘোষণাপত্রে প্রতি গ্রামের দাম উল্লেখ করা হয়েছে ১৯৩ ডলার। ঘোষিত মূল্য বিবেচনা করলে সরকার ১২ লাখ ৪০ হাজার টাকা রাজস্ব পাবে। তবে প্রকৃত মূল্য বিবেচনা করা হলে রাজস্ব আদায়ের পরিমাণ কয়েক গুণ বেড়ে যাবে।
যদিও এসব বিষয়ে একমত হয়নি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান। যে কারণে আন্তর্জাতিক বাজার মূল্য যাচাইয়ের প্রক্রিয়া চলছে।
চট্টগ্রাম কাস্টমসের ডেপুটি কমিশনার একেএম সুলতান মাহমুদ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, প্রথম কায়িক পরীক্ষায় ত্রুটির কারণে সঠিক পরিমাণ পাওয়া যায়নি। পরবর্তীতে ঘোষণার চেয়ে ৩১ গ্রাম বেশি পাওয়া যায়। ওজনের চেয়ে বড় বিষয় হচ্ছে, ঘোষিত মূল্যের চেয়ে বাজার মূল্য অনেক বেশি মনে হয়েছে। প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হওয়ার পর বিষয়টি আমদানিকারককে জানানো হয়েছে। তারা একমত না হওয়ায় কাস্টমস ভ্যালুয়েশন রুলস অনুযায়ী পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
আমদানিাকরকের পক্ষে চালানটি খালাসের দায়িত্বে রয়েছে সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট প্রতিষ্ঠান গলফ বিডি এন্টারপ্রাইজ। প্রতিষ্ঠানটির স্বত্বাধিকারী ওবায়দুল হক আলমগীর দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, কাস্টমস কর্তৃপক্ষ প্রথম কায়িক পরীক্ষায় রোডিয়ামের কভার হিসেবে যে প্লাটিনাম ছিল সেটাসহ ওজন করায় পরিমাণে বেশী পাওয়া গেছে। দ্বিতীয় দফায় ওজনে মাত্র ৩১ গ্রাম বেশি পাওয়া গেছে। তবে তা নিয়েও আমরা নিশ্চিত না। এ বিষয়ে আমদানিকারকের পক্ষে একজন বিশেষজ্ঞ কাস্টমস কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেখা করবেন।
Comments