গ্যাস সংকটে ৪০ দিন ধরে বন্ধ যমুনা সার কারখানা

যমুনা সার কারখানা
যমুনা সার কারখানা। ছবি: সংগৃহীত

গ্যাস ও বিদ্যুৎ সংকটে গত ৪০ দিন ধরে বন্ধ আছে যমুনা সার কারখানায় উৎপাদন। জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে অবস্থিত এই কারখানাটি দেশের বৃহত্তম ইউরিয়া উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান।

প্রয়োজনের তুলনায় গ্যাসের চাপ কম থাকায় গত ২১ জুন যমুনা সার কারখানায় উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। কারখানাটিতে পূর্ণ সক্ষমতায় উৎপাদন করতে প্রতিদিন ৪০ থেকে ৪৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস লাগে। কারখানাটিতে গ্যাস সরবরাহ হতো ৩৫ থেকে ৩৮ মিলিয়ন ঘনফুট। ফলে প্রতিদিন লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১০ ভাগ উৎপাদন কম হতো। পরে গ্যাস সংকটের মুখে উৎপাদন পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। এর মধ্যে জ্বালানি সংকটের কারণে শুরু হয়েছে এলাকাভিত্তিক লোডশেডিং।

ইউরিয়া উৎপাদন বন্ধ থাকায় কারখানার আওতাধীন জামালপুর, শেরপুর, টাঙ্গাইল ও উত্তরবঙ্গের ১৬ জেলায় বোরো আমন মওসুমে ইউরিয়ার সংকট তৈরি হওয়ার আশঙ্কা আছে। যদিও কারখানা কর্তৃপক্ষ বলছে, আমদানি করা সার দিয়ে চাহিদা পূরণ হবে।

সার কারখানার সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, শুরুতে দৈনিক ১ হাজার ৭০০ মেট্রিক টন ইউরিয়া উৎপাদনে সক্ষম হলেও গ্যাস সংকট এবং বিভিন্ন যান্ত্রিক সমস্যায় উৎপাদন ক্ষমতা কমে ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৪০০ মেট্রিক টনে নেমে এসেছে।

বাৎসরিক ৩ লাখ ৩০ হাজার মেট্রিক টন ইউরিয়া উৎপাদনের লক্ষ্য মাত্রা থাকলেও গত অর্থ বছরে কারখানাটিতে উৎপাদন হয়েছে ২ লাখ ৪৪ হাজার ২৫৫ মেট্রিক টন।

যমুনা সার কারখানার মহাব্যবস্থাপক (অপারেশন) আব্দুল হালিম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, গত ২১ জুন থেকে যমুনা সার কারখানায় উৎপাদন বন্ধ আছে। পাইপে গ্যাস নেই। কর্তৃপক্ষ সরবরাহ করতে পারছে না। কবে নাগাদ গ্যাস পাওয়া যাবে সেটাও তারা নিশ্চিত নয়। তাই কারখানার উৎপাদন নিয়ে অনিশ্চয়তা আছে।

তারাকান্দি তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির টেকনিশিয়ান এবিএম নূর ইসলাম বলেন, তারাকান্দিতে গ্যাসের চাপ কম থাকায় আমরা যমুনা সার কারখানায় গ্যাস সরবরাহ করতে পারছি না।

Comments

The Daily Star  | English
Curfew in Gopalganj after clash

Curfew in Gopalganj after 4 die in clash

The curfew will be in effect until 6:00pm tomorrow

3h ago