‘সিদ্ধান্তের খেলা’, যা জনগণের সঙ্গে খেলছি

ফাইল ছবি

সার্বিকভাবে কোভিড-১৯ মোকাবিলার ক্ষেত্রে সরকারের নীতি-নির্ধারকরা যদি বারবার তাদের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেন, তাহলে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয় না? একটা ঘোষণা দেওয়ার পরের দিনই যদি তা আবার পরিবর্তন করা হয়, সেক্ষেত্রে সরকারের সিদ্ধান্তগুলোতে মানুষের আস্থা কমে যাওয়াই স্বাভাবিক নয় কি? যখন বাস্তবায়নের সুষ্ঠু পরিকল্পনা ছাড়া কোনো কার্যক্রম নির্ধারণ করা হয়, সেটি সরকারের বিশ্বাসযোগ্যতা কমিয়ে দেওয়ার জন্যে যথেষ্ট নয় কি? মানুষের ওপর কী প্রভাব পড়তে পারে, সে বিষয়ে কোনো চিন্তা না করেই যখন সিদ্ধান্তগুলো নেওয়া হয়, তখন কি সরকার আশা করতে পারে, যে সবাই সবকিছু সর্বান্তকরণে মেনে নেবে?

১৩ জুলাই মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ একটি প্রজ্ঞাপনে ২৩ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত 'কঠোর লকডাউনের' ঘোষণা দেয়। ঈদের ছুটির সঙ্গে বাড়তি যোগ হয় লকডাউনে সবকিছু বন্ধের ঘোষণা।

২৭ জুলাই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানালেন, লকডাউন চলাকালীন তৈরি পোশাকসহ অন্যান্য রপ্তানিমুখী শিল্প কারখানা খোলা রাখার অনুরোধ করলেও সরকার তা নাকচ করে দিয়েছে। এরপর ৩০ জুলাই সবাইকে বিস্মিত করে দিয়ে সেই একই মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ আবারও জানায়, সব রপ্তানিমুখী শিল্পপ্রতিষ্ঠান ১ আগস্ট থেকে লকডাউনের আওতার বাইরে থাকবে। এই ঘোষণার ফলশ্রুতিতে কর্মীরা হাতে একদিনের চেয়ে অল্প কিছু বেশি সময় পান তাদের কর্মক্ষেত্রে ফিরে আসার জন্যে। আর সঙ্গে যুক্ত হয় সময়মতো কাজে ফিরতে না পারলে চাকরি হারানো কিংবা আর্থিক শাস্তির মুখোমুখি হওয়ার বাড়তি শঙ্কা।

লকডাউনের মধ্যে কারখানা খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্তটি সঠিক ছিল কি না, কিংবা কীভাবে এটি উচ্চ সংক্রামক ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের বিস্তারকে প্রভাবিত করবে, সে বিষয়ে আমরা এ মুহূর্তে কোনো প্রশ্ন করছি না। এত কম সময়ের মধ্যে কারখানা খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে কর্মীদের সুবিধা-অসুবিধার কথা কতটুকু বিবেচনা করা হয়েছিল এবং এই অল্প সময়ের মধ্যে তৈরি পোশাক কর্মীরা যথাযথভাবে কাজে যোগদান করবেন, সরকারের এই প্রত্যাশা কতটা বাস্তবসম্মত ছিল, বিশেষ করে যখন সরকারের নির্দেশেই সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ; আমরা এ বিষয়গুলোর দিকে নজর দিতে চাই।

এই সিদ্ধান্তের কারণে হাজারো কর্মীকে অবর্ণনীয় যন্ত্রণা সহ্য করে ঢাকা, গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জ (বেশিরভাগ কারখানাগুলো এ তিন জেলায় অবস্থিত) অভিমুখে যাত্রা করে কর্মক্ষেত্রে ফিরতে হয়েছে। তাদের মধ্যে বেশিরভাগই ছিলেন নারী কর্মী।

পুরো একদিন বিশৃঙ্খল, বিপজ্জনক, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ও কোভিড ছড়ানো যাত্রার পর ৩১ জুলাই রাত ৮টায় কর্তৃপক্ষ, খুব সম্ভবত এত কম সময় দেওয়ার অপরিণামদর্শিতার বিষয়টি বুঝতে পেরে আরও বড় ধরনের একটি অদূরদর্শী সিদ্ধান্ত নেয়। তারা কর্মীদের কাজে ফিরতে 'সহায়তা' দেওয়ার উদ্দেশ্যে ১৬ ঘণ্টার জন্যে গণপরিবহন চালু করে দেয়।

১৬ ঘণ্টার জন্যে গণপরিবহন চালু? এই সিদ্ধান্ত কতটা বাস্তবসম্মত, সেটা নিয়ে কি কেউ ভেবেছেন? বিষয়টি কি এরকম ছিল, সব বাস ড্রাইভার ট্যাংক ভর্তি তেল নিয়ে তাদের নিজ নিজ যানবাহনের পাশে অপেক্ষা করছে, আর সিদ্ধান্তের সঙ্গে সঙ্গেই তারা বাস চালানো শুরু করে দেবেন? তারা কি ভেবেছিলেন সব যাত্রী তাদের নির্ধারিত বাসস্টেশনে, নির্ধারিত গন্তব্যে যাওয়ার উদ্দেশ্যে অপেক্ষা করে বসে আছেন? অনেক চালক এই সিদ্ধান্তের বিষয়ে জানতে পারেন ১৬ ঘণ্টার সময়সীমা শেষ হয়ে যাওয়ার পর। শুধুমাত্র অল্প কিছু বাস চলেছে এবং সেটিও ছোট একটি এলাকাজুড়ে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বসবাসকারী তৈরি পোশাক কর্মীদের একটি বড় অংশের বহুল ব্যবহৃত যাতায়াতের বাহন রেলগাড়ি। কিন্তু, রেলওয়ে তাদের সেবা চালু করার চেষ্টাও করেনি এই স্বল্প সময়ের মধ্যে।

ইতোমধ্যে, তৈরি পোশাক ও অন্যান্য রপ্তানিমুখী শিল্প খাতের কর্মীদের দেখা গেছে মাত্রাতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে রিকশা, ভ্যান, ব্যক্তিমালিকানাধীন ট্রাক, মাইক্রোবাস ও অটোরিকশা ব্যবহার করে তাদের কারখানায় ফিরে আসতে।  দুঃখজনকভাবে কারখানা খোলার এ সিদ্ধান্ত মেনে অনেককে দেখা গেছে সামান্য মালপত্র ঘাড়ে নিয়ে মাইলের পর মাইল হেঁটে যেতেও। আমাদের কি প্রয়োজন ছিল কিংবা কোনো অধিকার আছে দেশের নাগরিকদের এমন ভোগান্তিতে ফেলার?

গত ৩ আগস্ট লকডাউন পরিস্থিতির পর্যালোচনা ও টিকাদান কর্মসূচির পরিকল্পনা চূড়ান্ত করার জন্যে একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছিল। এই বৈঠকে সশরীরে অথবা ভার্চুয়াল মাধ্যমে ১২ জন মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের ১৬ জন সচিব, আইন প্রয়োগকারী ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকের মূল উদ্দেশ্য ছিল এক কোটি মানুষকে ভ্যাকসিন দেওয়ার জন্যে বড় আকারের পরিকল্পনার খুঁটিনাটি নিয়ে আলোচনা করা।

বৈঠকের পরে যা হলো, তা প্রায় অবিশ্বাস্য।

মন্ত্রণালয়ের বৈঠকগুলো যেরকম হয়, এটিও সেরকম উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক ছিল। প্রায় তিন ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলার পর বৈঠক শেষে যৌথভাবে গণমাধ্যমে ব্রিফিংয়ে করেন বৈঠকে সভাপতির দায়িত্বে থাকা মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক এবং স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। ৩০ মিনিটের ব্রিফিংয়ে অন্য কথার মাঝে মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী বলেন, লকডাউন প্রত্যাহার করার পর '১৮ বছরের বেশি বয়সী কোনো মানুষ টিকা না নিয়ে রাস্তায় বের হতে পারবেন না।' এই সিদ্ধান্ত কীভাবে বাস্তবায়ন করা হবে? বয়স ও টিকা দেওয়া হয়েছে কি না, এই বিষয় দুটি কে পরীক্ষা করবে? এক্ষেত্রে লজিস্টিক বিষয়গুলো যে কত বড় একটি প্রতিবন্ধকতা হিসেবে কাজ করতে পারে, তা কি একবারও মন্ত্রীর ভাবনায় আসেনি, গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে এ বিষয়ে কথা বলার আগে?

তিনি যা বলেছেন, নিশ্চিতভাবেই তা অবাস্তব ও অবাস্তবায়নযোগ্য। কিন্তু, এই বিষয়গুলো তাকে বক্তব্য দেওয়া থেকে বিরত রাখতে পারেনি। এমনকি এ বিষয়গুলো তারই পাশে বসে থাকা স্বাস্থ্যমন্ত্রীকেও প্রভাবিত করেনি। কারণ, ব্রিফিংয়ের সময় তিনি বৈঠকের সভাপতি, মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রীর বক্তব্যের বিরোধিতাও করেননি কিংবা তার বিপরীতে কোনো ব্যাখ্যাও দেননি। তিনি অন্তত এটুকু বলতে পারতেন, ১৮ বছর বয়সীদের এখনো টিকা দেওয়া শুরুই হয়নি।

সংবাদটি গণমাধ্যমগুলোতে প্রচারিত ও প্রকাশিত হয় এবং প্রত্যাশিতভাবেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনার ঝড় বয়ে যায়। একই দিনে, প্রায় মধ্যরাতের দিকে একটি টিভি স্ক্রলে প্রচারিত নোটিশের মাধ্যমে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় মোজাম্মেল হকের বক্তব্য থেকে নিজেদেরকে আলাদা করে নেয়। পরের দিন, দুপুর নাগাদ এ প্রসঙ্গে একটি প্রেস রিলিজ আসে। এক ঘণ্টা পর বৈঠকের সভাপতিত্ব করা মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রীও তার বক্তব্য প্রত্যাহার করে নেন।

একটি প্রেস ব্রিফিংকে কেন এভাবে হাসির উপকরণে রূপান্তর করা হলো? প্রেস ব্রিফিংয়ের জন্যে নির্ধারিত প্রোটোকল কী? বিশেষত, উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকের ক্ষেত্রে? দুই মন্ত্রী কি গণমাধ্যমের সামনে যাওয়ার আগে নিজেদের মধ্যে আলোচনা সূচি কিংবা এ বিষয়ে নিজ নিজ ভাবনা নিয়ে আলাপ করেননি? বিষয়টিকে এত হালকাভাবে নেওয়া হলো কেন? আলোচনার বিষয়বস্তু বিবেচনায়, ব্রিফিংটি আসা উচিত ছিল স্বাস্থ্যমন্ত্রীর কাছ থেকে। শুধুমাত্র বৈঠকের সভাপতিত্ব করেছেন বলে মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রীর এই ব্রিফিং দেওয়ার পক্ষে কোনো যুক্তি নেই।

গত বুধবার থেকে পর্যটন, রাজনৈতিক ও ধর্মীয় জমায়েত ছাড়া সব ধরনের বিধিনিষেধ তুলে নেওয়া হয়েছে। যাতায়াত, জনসাধারণের চলাফেরা, কারখানা, অফিস, রেস্তোরাঁ—ইত্যাদির ওপর থেকে বিধিনিষেধ প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়ে আমাদের নীতি-নির্ধারকরা নিশ্চিতভাবে এটাই বোঝাতে চেয়েছেন, হয় আমরা করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে সংগ্রামে জয় লাভ করেছি, অথবা আমরা একেবারে জয়ের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে আছি।

বলাই বাহুল্য, সিদ্ধান্তটি বিশেষজ্ঞদের হতভম্ব করে দিয়েছে, বিশেষ করে যখন সংক্রমণের হার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সুপারিশ করা হারের ধারেকাছেও নেই এবং কোভিড পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতেও আমাদেরকে আরও অনেক দূর যেতে হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

জীবন-জীবিকার যুক্তিগুলোর কাছে সরকার নতি শিকার করেছে। কারণ, কথিত আছে আমাদের নীতি-নির্ধারকদের ওপর বিভিন্ন শিল্প খাতের মহারথীদের অপ্রতিরোধ্য প্রভাব রয়েছে। এপ্রিল থেকে লকডাউন চালুর অতীব প্রয়োজনীয় উদ্যোগটি নিলেও, বিরামহীন তদবিরের কারণে শিল্প খাতকে বিভিন্ন ধরনের ছাড় দেওয়ার হতাশাজনক সিদ্ধান্তগুলোও সরকারকে নিতে হয়েছে। এক পর্যায়ে সরকারের পক্ষ থেকে নিম্ন আয়ের মানুষের দুর্ভোগের দিকে দৃষ্টি দেওয়ার বিষয়টি আবশ্যক হয়ে দাঁড়ায়। বিশেষ করে যখন সর্বাধিক পরিমাণ প্রয়োজন থাকা সত্ত্বেও জনসংখ্যার এই অংশটির কাছে কোনো ধরনের সহায়তা পৌঁছায়নি। পরিশেষে, অর্থনীতির চাকাকে আবারও সচল করার যুক্তিটি বিপজ্জনক হলেও এক পর্যায়ে এসে সেটি প্রায় অবশ্যম্ভাবী হয়ে দাঁড়ায়।

বিশেষজ্ঞরা লকডাউন প্রত্যাহারের যৌক্তিকতা নিয়ে বিতর্ক করতে থাকবেন, আর আবারও এবং ঠিক আগের মতোই, আমরা এই সিদ্ধান্তটি কতটা বাস্তবায়নযোগ্য ও কতখানি চিন্তাপ্রসূত, সে বিষয়গুলোর দিকে নজর দিতে চাই। আমরা জানতে চাই, সরকারি সংস্থাগুলো কি যথেষ্ট সময় পেয়েছে সিদ্ধান্তগুলো বাস্তবায়নের জন্যে? এই সিদ্ধান্তগুলো দেশের নাগরিকদের কীভাবে প্রভাবিত করতে পারে, সে বিষয়ে কি কোনো চিন্তা-ভাবনা করা হয়েছে?

যাতায়াতের ওপর সব ধরনের বিধিনিষেধ তুলে দেওয়ার সময় সরকার নির্দেশ দিয়েছে, অর্ধেক সংখ্যক বাস শতভাগ যাত্রী নিয়ে রাস্তায় চলতে পারবে। কীভাবে এবং কে এই বিষয়টি নিশ্চিত করবে, প্রতিটি বাস মালিক তার মালিকানায় থাকা বাসের শুধুমাত্র অর্ধেক সংখ্যক পথে নামাবে? যেসব মালিকের শুধুমাত্র একটি বাস রয়েছে, তারা কীভাবে এই সিদ্ধান্ত মেনে চলবে? যখন বাসে শতভাগ যাত্রী বহন করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে, তখন কীভাবে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করা হবে? ফলশ্রুতিতে, যে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়েছে এবং মানুষ যে পরিমাণ দুর্ভোগের শিকার হয়েছে, সেটি এই সিদ্ধান্তগুলোর অসাড়তাকে প্রমাণ করেছে।

একটি কার্যকরী প্রতিষ্ঠান হিসেবে সরকারের ভূমিকাকে নতুন করে সবার সামনে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার কিছু নেই। সরকার কার্যত দেশের সবকিছুর কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে। সব নীতিমালা, পরিকল্পনা, নির্দেশনা, প্রকল্প, ভবিষ্যৎ চিন্তাধারা এবং আরও অনেক কিছু সরকারের কাছ থেকেই আসে। করদাতাদের অর্থের একটি বড় অংশ ব্যয় করা হয় সরকারি কর্মচারীদের উন্নয়ন ও দেখভালের পেছনে। এই প্রতিষ্ঠানটির সব নীতিমালা ও পরিকল্পনার কার্যকর বাস্তবায়নের পেছনে এর বিশ্বাসযোগ্যতা একটি গুরুত্বপূর্ণ উপকরণ হিসেবে কাজ করে।

উপরে উল্লেখিত তিনটি ঘটনা অবিবেচনাপ্রসূত নীতি নির্ধারণ, প্রস্তুতিহীন সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং যে জনমানুষের সেবা করার জন্যে তাদেরকে বেতন দেওয়া হয়, তাদের প্রতি উদাসীন আচরণের উদাহরণ হিসেবে কাজ করেছে। মহামারিকে কার্যকরভাবে পরাজিত করে সামনে এগিয়ে যেতে হলে এ ধরনের আচরণ করা থেকে এখনই বিরত থাকতে হবে।

সরকারের সিদ্ধান্ত নেওয়া ও বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ায় এ ধরনের বিভ্রান্তি ও বিশৃঙ্খলা থাকা উচিত নয়।

মাহফুজ আনাম: সম্পাদক ও প্রকাশক, দ্য ডেইলি স্টার

ইংরেজি থেকে অনুবাদ করেছেন মোহাম্মদ ইশতিয়াক খান

Comments

The Daily Star  | English

Power, Energy Sector: Arrears, subsidies weighing down govt

The interim government is struggling to pay the power bill arrears that were caused largely by “unfair” contracts signed between the previous administration and power producers, and rising international fuel prices.

10h ago