সাংবাদিকতার ৫০ বছর ও আগামীর চ্যালেঞ্জ

সাংবাদিকতার গৌরবোজ্জ্বল সময়ের কথা বলতে গেলে আমরা সাধারণত স্বাধীনতা পূর্ববর্তী সময়কেই বোঝাই। অথচ, বর্তমান সময়ের সঙ্গে তুলনা করলে তখনকার গণমাধ্যম একেবারেই তার প্রাথমিক অবস্থায় ছিল। সে সময় কোনো বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল অথবা রেডিও স্টেশন না থাকায় এ ক্ষেত্রে সরকারের একচ্ছত্র আধিপত্য ছিল। স্বাধীন গণমাধ্যম বলতে শুধু সংবাদপত্র ছিল। আর সেটাও মূলত 'দৈনিক ইত্তেফাক' ও 'সংবাদ'-এর মধ্যে সীমাবদ্ধ। বলাই বাহুল্য, সারা বিশ্বের মানুষের তখনো ইন্টারনেট, অনলাইনভিত্তিক গণমাধ্যম অথবা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের বিষয়ে কোনো ধারণা ছিল না। 

তবে, গণমাধ্যমের সংখ্যা, প্রযুক্তি, প্রশিক্ষিত জনসম্পদ অথবা পুঁজির অভাব থাকলেও আমরা সে ঘাটতি প্রবল ইচ্ছাশক্তি দিয়ে পূরণ করেছি। পূর্ব পাকিস্তানের (বর্তমান বাংলাদেশ) জন্মলগ্ন থেকেই সাংবাদিকতা সম্পূর্ণভাবে আমাদের ভাষার অধিকার, সংস্কৃতি, অর্থনীতি ও সামাজিক ন্যায্যতা প্রতিষ্ঠার সংগ্রামের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে থেকেছে। প্রকৃতপক্ষে, সে সময় স্বাধীন সাংবাদিকতা বলতে যা সম্ভব ছিল; তা বাঙালির অধিকার প্রতিষ্ঠায় নিয়োজিত 'দলীয়' সাংবাদিকতা। আমরা সেই পক্ষপাতের বিষয়ে ভীষণভাবে গর্বিত। এর ওপর নির্ভর করছিল আমাদের আত্মমর্যাদা সম্পন্ন নাগরিক হিসেবে টিকে থাকা।

নিশ্চিতভাবে, বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের পর আমাদের সাংবাদিকতার ইতিহাসে একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা হয়। কিন্তু সাংবাদিকতা পূর্ণাঙ্গ রূপ পাওয়ার আগেই দেশের ওপর নেমে আসে ভয়াবহ বিপর্যয়। 

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ড, সামরিক শাসন ফিরে আসা এবং ১৯৯০ সাল পর্যন্ত রাজনীতিতে সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপের ফলে আমাদের সাংবাদিকতা পিছু হটতে বাধ্য হয়। আমরা আগের সংগ্রামী ভূমিকায় ফিরে যাই। আব্রাহাম লিংকনের ভাষায়, 'গভর্নমেন্ট অফ দ্য পিপল, বাই দ্য পিপল, ফর দ্য পিপল' অর্থাৎ জনগণকে নিয়ে, জনগণের দ্বারা গঠিত ও জনগণের কল্যাণে নিবেদিত সরকারের জন্য আমরা সংগ্রাম চালিয়ে যেতে থাকি। 

আধুনিক সাংবাদিকতা অর্থে, বাংলাদেশে প্রকৃত সাংবাদিকতার বিকাশ শুরু হয় ১৯৯১ সাল পরবর্তী সময়ে। যখন গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়, নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা ক্ষমতায় আসেন এবং জাতীয় সংসদ দেশের নির্বাহী বিভাগকে জবাবদিহিতার আওতায় আনার সাংবিধানিক দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করা শুরু করে, তখন থেকে। 

১৯৯১ সাল থেকে আজ পর্যন্ত, গণমাধ্যমের সংখ্যা বেড়েছে। এর মধ্যে অনেক সংবাদপত্র, সাপ্তাহিক পত্রিকা, টিভি চ্যানেল, অনলাইন প্ল্যাটফর্মের যাত্রা শুরু হয়েছে। তবে, সার্বিক গুণগত মানের বিষয়টি সম্পূর্ণ ভিন্ন চিত্র। 

গত ৩০ সেপ্টেম্বরের তথ্য অনুযায়ী, শুধু ঢাকা থেকেই প্রকাশিত হচ্ছে ৫০২টি দৈনিক এবং ৩৪৮টি সাপ্তাহিক পত্রিকা। যা সম্ভবত বিশ্বের যেকোনো শহরের চেয়ে বেশি। অসংখ্য পত্রিকার অস্তিত্ব মানে অনেক পাঠক, সংবাদের জন্য অনেক সূত্র এবং নিজ নিজ সামাজিক, অর্থনৈতিক ও শ্রেণির প্রেক্ষাপটে অনেক মানুষের তথ্যের অবাধ প্রবাহে অংশগ্রহণ। এমনটাই হওয়ার কথা ছিল। চেয়ারম্যান মাও সে-তুংয়ের ভাষায়, আসলেই কি 'হাজার ফুল' ফুটেছিল, নাকি বিষয়টা এরকম, অনেকগুলো গাছ থেকে একই অথবা একই ধরনের 'ফুল' ফুটেছে, সেটা অনুধাবন করতে হবে। আমাদের মতে, এই রূপকের মাঝেই লুকিয়ে আছে বাংলাদেশের আজকের গণমাধ্যমের প্রকৃত অবস্থা। 

আমাদের বিজ্ঞাপনের বাজার এই সুবিশাল মুদ্রিত গণমাধ্যম খাতের পৃষ্ঠপোষকতার জন্য মোটেই পর্যাপ্ত নয়। সহায়তার জন্য সরকারি উদ্যোগও নেই। দীর্ঘ সময় ধরে প্রকাশনা চালিয়ে যাওয়ার মতো যথেষ্ট আর্থিক সক্ষমতা এসব প্রতিষ্ঠানের অধিকাংশ স্বত্বাধিকারীর নেই। তবে, এ ক্ষেত্রে সরকারি বিজ্ঞাপনের জগত উন্মুক্ত আছে, যার রয়েছে নিজস্ব শক্তিমত্তা ও দুর্বলতা এবং সেইসঙ্গে আমলাতান্ত্রিক ও রাজনৈতিক কারসাজি। 

এ ক্ষেত্রে, স্বভাবতই, যে প্রশ্নটি সামনে আসে এবং যে প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার সময় সামর্থ্য অনুযায়ী সর্বোচ্চ পর্যায়ের স্বচ্ছতা অবলম্বন করা উচিত। তা হলো, এতগুলো সংবাদপত্রের ব্যবসায়িক পরিকল্পনা কী? যদি এ ক্ষেত্রে মালিকের যথেষ্ট আর্থিক সক্ষমতা না থাকে, সরকারি বা বেসরকারি বিজ্ঞাপন না থাকে, তাহলে কীভাবে এই পত্রিকাগুলো নিজেদের টিকিয়ে রাখছে? অনেক বছর আগে তথ্য মন্ত্রণালয় ঢাকার সংবাদপত্রগুলোর ওপর একটি সমীক্ষা চালায় এবং জানতে পারে, তাদের অনেকেরই নিজস্ব কোনো কার্যালয় নেই; তারা অন্যদের সঙ্গে জায়গা ভাগ করে চলছে। অনেকগুলো পত্রিকার ঠিকানা একই এবং অনেকের কোনো কার্যালয়ই ছিল না। উপরে আমি যে লুকিয়ে থাকা গল্পের কথা বলেছি, তার একটি সূত্র এখানে দেখতে পাচ্ছি। 

বেতন ভাতার একটি বাধ্যতামূলক ওয়েজ বোর্ড থাকার পরও, নিরীক্ষা থেকে জানা গেছে, হাতেগোনা কয়েকটি গণমাধ্যম ছাড়া কেউ ওয়েজ বোর্ড অনুযায়ী বেতন বা তার কাছাকাছি পরিমাণ অর্থও কর্মীদের দেয় না। তারপরেও কয়েক বছর পর পর নতুন ওয়েজ বোর্ড করা হয় এবং অল্প কিছু প্রতিষ্ঠানকে এটি মেনে চলতে বাধ্য করা হয়। এই নীতি কি মানসম্পন্ন সাংবাদিকতায় সহায়তা করছে?

দেশে টেলিভিশন চ্যানেলের সংখ্যা সম্ভবত ৫০ ছাড়িয়েছে এবং কর্মীদের বেতন ও বিনিয়োগের দিক দিয়ে এই খাতের অবস্থা তুলনামূলকভাবে ভালো। তাদের সমস্যা হচ্ছে, যথেষ্ট পরিমাণ বিজ্ঞাপন না পাওয়া এবং মাসিক সাবস্ক্রিপশন মডেলের মাধ্যমে দর্শকদের কাছে না পৌঁছাতে পারা। এই খাত এখনো পুরোপুরি ক্যাবল অপারেটরদের কুক্ষিগত।

কিছু অনুমিত হিসাব অনুযায়ী, আমাদের অনিবন্ধিত অনলাইন নিউজ পোর্টালের সংখ্যা হাজার ছাড়িয়েছে। এই মুহূর্তে ২৬২টি নিবন্ধিত অনলাইন নিউজ পোর্টাল আছে, যার মধ্যে আছে প্রতিষ্ঠিত সংবাদপত্রগুলো ওয়েবসাইট। 

এ ছাড়া, দেশে অনেকগুলো বেসরকারি এফএম রেডিও স্টেশনও আছে। 

সংখ্যার দিক থেকে গণমাধ্যমের ব্যাপক প্রসার ঘটলেও গুণগত মানের বিষয়টি একটি গুরুতর প্রশ্ন হিসেবে সামনে আসছে, যা আগে উল্লেখ করা হয়েছে।

আমার দৃষ্টিতে, গণমাধ্যমের ভূমিকা সম্পর্কে সরকার, মালিক ও এ খাতের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবার মনে একটি মৌলিক বিভ্রান্তি রয়েছে। এই বিভ্রান্তি থেকে গণমাধ্যমের শীর্ষ পদের ব্যক্তিরাও মুক্ত নন। 

সরকারের ক্ষেত্রে, নতুন গণতান্ত্রিক দেশগুলোতে গণমাধ্যম যে সমস্যাগুলোর মুখোমুখি হয়, সেগুলোই আমাদের সামনে এসেছে; হয়তো অন্যান্য দেশের তুলনায় প্রবলভাবে। গণতন্ত্রের জন্য আমাদের সংগ্রামের দীর্ঘ ইতিহাস থাকলেও, স্বাধীনতার পরের অল্প কয়েক বছর বাদ দিয়ে গণতন্ত্র চর্চার অভিজ্ঞতা মাত্র ৩০ বছরের। অভিজ্ঞ গণতান্ত্রিক সরকারের তুলনায় আমাদের দেশসহ অন্যান্য নতুন গণতান্ত্রিক দেশের সরকার সমালোচনা সহ্য করতে চান না। সুনির্দিষ্ট করে সরকারের কাজের ত্রুটি বা দুর্বলতা ধরিয়ে দিলেও, তা সংশোধন না করে অতিমাত্রায় শঙ্কিত হয়ে তীব্র প্রতিক্রয়া দেখান। তারা সুশাসন প্রতিষ্ঠার সুষ্ঠু প্রক্রিয়া হিসেবে সমালোচনার ভূমিকা একেবারেই বুঝতে চান না। সময়ের প্রবাহে এ ধরনের গণতন্ত্রে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের সঙ্গে দূরত্ব বাড়তে থাকে এবং তারা শত্রু হিসেবে চিহ্নিত হয়। গণমাধ্যমকেও একই দৃষ্টিতে চিহ্নিত করেন, তথ্যভিত্তিক সংবাদ প্রকাশ করা সত্ত্বেও। প্রথমে গণমাধ্যমকে সন্দেহের চোখে দেখা হয়, তারপর তাদেরকে উপহাস বা বিদ্রূপ করা হয়। সবশেষে প্রতিষ্ঠানগুলোকে দুর্বল বা ধ্বংস করে দেওয়ার চেষ্টা চলে।

সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ২ বছরের শাসনামল বাদ দিলে, গত ৩০ বছরের গণতন্ত্রের মাঝে বর্তমান ক্ষমতাসীন দল ২০০৯ সালের জানুয়ারি থেকে প্রায় ১৩ বছর ধরে ক্ষমতায় আছে। তাদের আগের ৫ বছরের শাসনামলসহ আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের গত ৩০ বছরের গণতন্ত্রের ১৮ বছরই দেশ শাসন করেছে। এত লম্বা সময় ধরে ক্ষমতায় থাকার অভিজ্ঞতার আলোকে, আমরা কি তাদের থেকে সমালোচনার বিষয়ে পরিশীলিত প্রতিক্রিয়া বা আচরণ আশা করতে পারি না? 

মালিকদের প্রেক্ষাপটে, অল্প কয়েকজন ছাড়া বেশিরভাগই এই খাতের বিশেষায়িত প্রকৃতি অনুধাবনে ব্যর্থ হয়েছেন। তাদের মালিকানায় থাকা অন্য অনেক কিছুর তুলনায় গণমাধ্যম যে সম্পূর্ণ ভিন্নধর্মী একটি প্রতিষ্ঠান, এই ব্যাপারটি প্রায়ই তাদের চিন্তায় থাকে না। প্রতিটি পণ্যের গুণগত মানের যেমন একটি সুনির্দিষ্ট নির্ণায়ক থাকে, তেমনি, গণমাধ্যমের গুণগত মান নির্ভর করে তার 'বিশ্বাসযোগ্যতার' ওপর। এই বিশ্বাসযোগ্যতা তৈরি হয় সরকার, সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, ব্যবসায়ী সম্প্রদায়, সব ধরনের ক্ষমতার উৎস, যার মধ্যে গণমাধ্যম মালিকের নিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানও অন্তর্ভুক্ত—এসব বিষয়ে বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা চর্চার ওপর। 

অনেক মালিক গণমাধ্যমকে তাদের ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রচারযন্ত্র হিসেবে দেখেন এবং সাংবাদিকদের জনসংযোগ কর্মকর্তা হিসেবে বিবেচনা করেন। নিঃসন্দেহে এসব মালিক 'গণমাধ্যমকে' স্বাধীন ব্যবসা হিসেবে বিবেচনা করেন না। তারা ভাবেন, এটি একটি সহযোগী প্রতিষ্ঠান। যা তার অন্য প্রতিষ্ঠানের উপর নির্ভরশীল করে টিকিয়ে রাখা হবে। কখনো স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে দেওয়া হবে না। এমন গণমাধ্যম মালিকপক্ষ খুব সহজে তাদের ইচ্ছে অনুযায়ী পরিচালনা করতে পারে। তাদের গণমাধ্যম সংজ্ঞায়িত হচ্ছে এভাবে যে, এই সহযোগী প্রতিষ্ঠান একই মালিকের অন্য ব্যবসার স্বার্থের দিকে লক্ষ্য রাখবে এবং অনেক ক্ষেত্রে এই দায়িত্বের অংশ হিসেবে ব্যবসায়ীক প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে অবস্থান নেবে।

সাংবাদিকদের বিভ্রান্তিও সমানভাবে ক্ষতিকর। ন্যায্যতার দাবিকে সমর্থন ও সামরিক, একনায়কতান্ত্রিক শাসনের বিরুদ্ধে অবস্থান  নেওয়ার পরও আমরা এখনো 'অ্যাডভোকেসি' সাংবাদিকতা ও 'বস্তুনিষ্ঠ' সাংবাদিকতার মধ্যে পার্থক্য বুঝতে পারিনি। এখানে আমি ১৯৭৫ থেকে ১৯৯১ এবং ১৯৯১ থেকে এখন পর্যন্ত সময়কালকে পৃথক দৃষ্টিতে মূল্যায়ন করতে চাই। 

১৯৭৫ থেকে ১৯৯১ অংশে, সাংবাদিকতা সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে নিষ্ঠার সঙ্গে সংগ্রাম করেছে। যা পাকিস্তান আমলের সঙ্গে প্রায় অনেকটাই মিলে যায়। সেই 'সংগ্রামে' আমরা গণতন্ত্র, প্রতিনিধিত্বমূলক রাজনৈতিক নেতৃত্ব, জবাবদিহিতামূলক সরকার ব্যবস্থা এবং সব ধরনের স্বাধীনতার প্রতি পক্ষপাতিত্ব দেখিয়েছি। 

গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার পর, সাংবাদিকতা 'পক্ষপাতমূলক' অবস্থান থেকে 'নিরপেক্ষতার' দিকে সরে আসে এবং নির্বাচিত রাজনৈতিক নেতৃত্ব এবং তারা যে সরকার গঠন করেন, তাদের কাজ দিয়ে বিচার করা হয়, উদ্দেশ্য দিয়ে নয়, তা যতই ন্যায়নিষ্ঠ হোক না কেন। আমাদের প্রিয় রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব যিনিই হোন না কেন, সাংবদিকতার পেশাদারিত্ব আমাদের বাধ্য করেছে অন্যায়, দুর্নীতি, চাটুকারিতা এবং রাজনৈতিক দলাদলির বিরুদ্ধে কলম ধরতে। আগে দেশপ্রেম বলতে গণতন্ত্রের পক্ষে ও সামরিক শাসনের বিপক্ষে সংগ্রাম বোঝানো হতো। বর্তমানে দেশপ্রেমের অর্থ হচ্ছে—অপশাসন, আইনের অপব্যবহার এবং সব ধরনের স্বাধীনতা হরণ, বিশেষ করে স্বাধীনতার ভিত্তি হিসেবে বিবেচিত বাক স্বাধীনতা হরণের ঘটনাগুলোকে উন্মোচিত করা। এ ক্ষেত্রে ক্ষমতায় কোন দল রয়েছে, তা বিবেচনায় নেওয়া হয় না। 

আমার মতে, আমরা সাংবাদিক হিসেবে নিজ পেশার মৌলিক নীতিগুলো সঠিকভাবে অনুধাবন করতে পারিনি এবং পুরনো পক্ষপাতমূলক মানসিকতাকে এর মধ্যে নিয়ে এসেছি। ফলে নিরপেক্ষ সাংবাদিকতা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। নিরপেক্ষ, নির্মোহ সাংবাদিকতা বাংলাদেশের জন্য খুবই জরুরি। এই বিষয়টি আমাদের স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়ার ক্ষেত্রে একটি মৌলিক চাহিদা।

 

 

মাহফুজ আনাম: সম্পাদক ও প্রকাশক, দ্য ডেইলি স্টার

ইংরেজি থেকে অনুবাদ করেছেন মোহাম্মদ ইশতিয়াক খান

 

Comments

The Daily Star  | English

10 die of dengue

886 hospitalised in the last 24 hours

1h ago