অসম বিশ্বে অবহেলিত মানসিক স্বাস্থ্য সেবা
আজ বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস। প্রতিবছর ১০ অক্টোবর বিশ্বে দিবসটি পালিত হয়। এবারের প্রতিপাদ্য 'মেন্টাল হেলথ ইন এন আনইকুয়াল ওয়ার্ল্ড' অর্থাৎ অসম বিশ্বে মানসিক স্বাস্থ্য। মানসিক স্বাস্থ্য সেবায় সমস্যাগ্রস্ত ব্যক্তির সেবা প্রাপ্তির ক্ষেত্রে ক্রমবর্ধমান বৈষম্যের প্রেক্ষাপটে এই প্রতিপাদ্য নেওয়া হয়েছে। কারণ নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে সমস্যাগ্রস্ত ৭৫ থেকে ৯৫ শতাংশ মানুষ মানসিক স্বাস্থ্য সেবার সুযোগ পান না। উচ্চ আয়ের দেশগুলোতেও এই সেবার সুযোগ খুব বেশি সন্তোষজনক নয়। স্বাস্থ্যখাতের মোট বাজেটের যৎসামান্যই বিনিয়োগ বা ব্যয় হয় মানসিক স্বাস্থ্য সেবায়। ফলশ্রুতিতে এই খাতের চিকিৎসা ব্যবস্থায় সন্তোষজনক অগ্রগতি তেমন দেখা যায় না।
বিশ্বজুড়ে স্বাস্থ্য খাতে বৈষম্য
গবেষণায় দেখা যাচ্ছে, যে দেশ যত দরিদ্র, সেই দেশে মানসিক চিকিৎসা সেবার মান তত বেশি নিচে এবং অবহেলিত। তবে মানসিক চিকিৎসা নিতে অনাগ্রহ এবং মানসম্মত সেবার অপ্রতুলতা বিশ্বজুড়েই বিরাজমান। মানবাধিকারের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের অভাব, ধনিক শ্রেণির সুবিধা বৃদ্ধি এবং দরিদ্র শ্রেণির ক্রমাগত বঞ্চনার অসংখ্য দৃষ্টান্ত আমাদের সামনে আছে। বাড়ছে অসমতা এবং লিঙ্গ, গোত্র ও জাতিগত বিভেদ।
তবে কোভিড-১৯ মহামারিতে বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে বেশি বৈষম্য ফুটে ওঠে চিকিৎসা খাতে। প্রশ্ন ওঠে মহামারি মোকাবেলায় উন্নত বিশ্বের সক্ষমতা এবং নিজস্ব বৈজ্ঞানিক গবেষণায় ন্যুনতম বিনিয়োগ নিয়ে। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব সামলাতে এক বছরের মধ্যে ভ্যাকসিন মিললেও এখন টিকাপ্রাপ্তির ক্ষেত্রে বিভিন্ন দেশের মধ্যে বৈষম্য পরিলক্ষিত হচ্ছে। নানা ধরনের জটিল রোগে আক্রান্ত মানুষের চিকিৎসা সেবায় বৈষম্য তো আছেই।
মানসিক স্বাস্থ্যে বৈষম্যের ধরন
পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্র ও বিশ্ব ব্যবস্থার নানা প্রতিকূলতায় যাদের মধ্যে মানসিক সমস্যা তৈরি হয়েছে, তারা সবাই কি এই সেবার আওতায় আসতে পেরেছেন? যদি না আসেন, তবে কেন পারছেন না? এর কিছু কারণের মধ্যে অন্যতম হলো- স্টিগমা ও ভেদাভেদমূলক আচরণ।
মানসিক স্বাস্থ্যে স্টিগমা হলো সমাজের অগ্রহণযোগ্যতা বা মানসিক সমস্যাগ্রস্ত ব্যক্তির প্রতি পরিবার ও সমাজের হেয় মনোভাব। সমস্যার সমাধান বা সহযোগিতার পরিবর্তে তিনি যে বিপরীত আচরণ পাচ্ছেন, তা বৈষম্য তৈরির একেবারে প্রাথমিক ও নিগূঢ় কারণ। এর ফলে যে ব্যক্তি মানসিক সমস্যায় পড়েছেন বা পড়তে যাচ্ছেন, তিনি অন্যের কাছে সহায়তা চাইতে বাধার সম্মুখীন হন। সমাজে স্বাচ্ছন্দ্যে বসবাস করতে এবং সুখী-সমৃদ্ধ জীবন-যাপনে ব্যাঘাত ঘটায় এই স্টিগমা।
মানসিক স্বাস্থ্যে স্টিগমা সংশ্লিষ্ট এই ধরনের চাপ আসতে পারে নিজ পরিবার, আশেপাশের বন্ধু-বান্ধব, সহকর্মী এবং সমাজের উঁচু তলার মানুষজনের কাছ থেকে। সুবিধাভোগীরা অনেক সময় নিজেদের স্বার্থ উদ্ধারে এই স্টিগমা ব্যবহার করে থাকেন। নেতিবাচক, আক্রমণাত্মক ও ত্রুটিপূর্ণ সাধারণ বিশ্বাস মানুষের ভেতরে স্টিগমা তৈরি করতে পারে। সোশ্যাল স্টিগমার কারণে একজন সমস্যাগ্রস্ত ব্যক্তি তার বন্ধু, পরিবার ও সহকর্মী দ্বারা বঞ্চনার শিকার হন, যা পরবর্তীতে তাকে এমন কোণঠাসা করে যে, ব্যক্তি নিজে সহায়তা চাইতে ভয় পান, আত্মবিশ্বাস হারান এবং চরম হতাশায় ডুবে যান। ফলে স্বাভাবিক জীবন-যাপনে তিনি ব্যর্থ হন।
মানসিক রোগ চিকিৎসার অন্তরায়
মানসিক রোগের চিকিৎসায় অন্যতম প্রতিবন্ধকতা হলো প্রচলিত ধারণা বা নানা ধরনের সামাজিক কুসংস্কার। এসব মোকাবেলায় সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি পারিবারিকভাবে সচেতনতা সৃষ্টির জন্য কাজ করা দরকার। বিষণ্ণতায় ভুগছেন, এমন ব্যক্তিকে আমরা খুব সহজেই অলস এবং যিনি উদ্বেগজনিত সমস্যায় ভুগছেন, তাকে ভীরু বা কাপুরুষ বলে ট্যাগ লাগিয়ে দেই।
আমাদের ভেতরকার কোন আমি থেকে আমরা এ ধরনের আচরণ করছি? নিজেকে প্রশ্ন করি। কোনো বিষয়ে দুর্বলতা চোখে পড়লে আমরা সহকর্মীকে নিয়ে হরহামেশাই অট্টহাসিতে মাতি। করপোরেট পাড়ায় এটি অহরহ ঘটছে। আমরা আমাদের শারীরিক পরিচ্ছন্নতা নিয়ে সচেতন থাকলে মানসিক পরিচ্ছন্নতা নিয়ে নয় কেন?
নানা ধরনের প্রতিকূলতা আর চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে গণমাধ্যম এবং বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের অক্লান্ত পরিশ্রমে মানসিক স্বাস্থ্য সেবার বিষয়টি বর্তমানে কিছুটা হলেও আলোর মুখ দেখছে। এটিকে এগিয়ে নিতে হবে আরও বহুদূর। সচেতনতা সৃষ্টিতে কাজ করতে হবে নিরবচ্ছিন্নভাবে। তার আগে জানতে হবে মানসিক স্বাস্থ্য আসলে কী?
মানসিক স্বাস্থ্য ও মানসিক রোগ
মানসিক স্বাস্থ্য বলতে আমরা আমাদের ভাল মানসিক অবস্থা, সমস্যা সমাধানের ক্ষমতা বা মোকাবেলার সক্ষমতা এবং আবেগ-অনুভূতি, চিন্তা-ভাবনা, সামাজিক সম্পর্ক ও জীবন সম্পর্কে আমাদের বোধগম্যতাকে বোঝায়। আর মানসিক রোগ বা সমস্যা বলতে বোঝায়, ব্যক্তির মনের এমন সংকটাপন্ন অবস্থা, যা তার চিন্তা, অনুভূতি, আচরণ, পারস্পারিক সম্পর্ক ও দৈনন্দিন কাজে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।
স্বাস্থ্য এমন কোনো বিষয় নয় যে, ইচ্ছেমত একে ভালো-মন্দে পরিণত করা যায়। কেউ কেউ মানসিকভাবে খারাপ বোধ করতে পারেন, যা গুরুতর মানসিক সমস্যা নয়। অনেকে দুর্বল মানসিক স্বাস্থ্যের অধিকারী, কিন্তু তা মানসিক রোগ নয়। মানসিক স্বাস্থ্যের গুরুত্বপূর্ণ দিকটি হলো সমস্যা বুঝতে পারা এবং সচেতনতার সঙ্গে তা মোকাবেলা করা। সুন্দর মানসিক স্বাস্থ্য মানেই শতভাগ আত্মবিশ্বাসী থাকা বা পুরোপুরি সুখী থাকা- এমন নয়। বরং জীবনের নানা প্রতিকূলতা স্বত্বেও তা মানিয়ে চলার সক্ষমতার আরেক নাম।
একজন মানুষ নানা প্রতিকূল অবস্থার মধ্য দিয়ে জীবন অতিবাহিত করেন। আর তা করতে গিয়ে আমাদের ভেতরে খারাপ লাগা, অতিরিক্ত মানসিক অবসাদ, কিংবা দুঃখ ভারাক্রান্ত হওয়ার মতো সমস্যা আসতে পারে। এ অবস্থায় দেরি না করে আশেপাশের মানসিক স্বাস্থ্য কর্মীর সহায়তা নিতে হবে। বিশেষজ্ঞের সহায়তা নিয়ে সমস্যাগ্রস্ত ব্যক্তি ভাল মানসিক স্বাস্থ্যের অধিকারী হতে পারেন।
বিশ্বে শতকরা অন্তত ৮৫ ভাগ মানুষ নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশে বসবাস করেন। আবার বিশ্বে যাদের মানসিক রোগ আছে, তাদের মধ্যে শতকরা ৮০ ভাগেরও বেশি বাস করে এই সব দেশে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ২০৩০ সাল নাগাদ ব্যাপক হারে বিষণ্ণতায় ভুগতে পারেন নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশের মানুষ। জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য জরিপ ২০১৮-২০১৯ এর তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে ১৮ বছরের বেশি বয়সী মানুষের প্রায় ১৭ শতাংশ কোনো না কোনো মানসিক রোগে আক্রান্ত এবং ৭ থেকে ১৭ বছর বয়সী প্রায় ১৪ শতাংশ কিশোর-কিশোরীর মাঝে মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা গেছে।
মানসিক সমস্যা বুঝবেন কীভাবে?
মানসিক সমস্যার কিছু ওয়ার্নিং সাইন বা সতর্কতামূলক লক্ষণ আছে। এগুলো হলো- মনোযোগে প্রচণ্ড ব্যাঘাত হওয়া বা স্থির থাকতে না পারা, ঘুম, খাওয়া-দাওয়া, আচরণ বা মেজাজের দ্রুত ও অস্বাভাবিক বা আমূল পরিবর্তন, কোনো কারণ ছাড়াই প্রচণ্ড আতঙ্কিত অনুভব করা, বুক ধড়ফড় করা বা নিঃশ্বাসে সমস্যা হওয়া, দ্রুত ওজনের পরিবর্তন, ওজন বেড়ে যাওয়া বা কমে যাওয়া, এমন দুশ্চিন্তা বা ভয়, যা কাজে ব্যাঘাত ঘটায়, বেশিরভাগ সময় খারাপ লাগা বা সামাজিকভাবে নিজেকে বিচ্ছিন্ন করা, প্রচণ্ড ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করা যা নিজের ও অন্যের ক্ষতির কারণ হয়, নিজেকে বা অন্যকে শেষ করে দেওয়ার অনুভূতি তৈরি হওয়া, মাদকের অপব্যবহার শুরু করা বা বাড়িয়ে দেওয়া, বাস্তবে অস্তিত্ব নেই এমন জিনিস দেখা, শোনা বা বিশ্বাস করা ইত্যাদি। এগুলোর এক বা একাধিক সমস্যা আপনার মধ্যে দেখা দিলে এবং তা আপনার দৈনন্দিন জীবনকে ব্যাহত করতে থাকলে দ্রুত বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।
যে কোনো দীর্ঘমেয়াদী শারীরিক অসুস্থতার ক্ষেত্রেও মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দিতে পারে। বারবার শারীরিক অসুস্থতায় একজন ব্যক্তি যেমন প্রতিবারই চিকিৎসকের সহায়তা নেন এবং সেরে ওঠেন, মানসিক রোগের ক্ষেত্রেও তেমনটা জরুরি। যথাযথ সহায়তা নিয়ে তিনি সুস্থভাবে জীবন-যাপন করতে পারেন, ভালোভাবে থাকতে পারেন এবং জীবনের লক্ষ্যও খুঁজে পান। সেই সঙ্গে নিজ কমিউনিটিতে ইতিবাচক অবদান রাখতে সক্ষম হন।
মানসিক স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিতকরণ
মানসিক রোগের চিকিৎসা সেবায় সব স্তরের সমান প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করতে হবে। যারা মানসিক রোগে ভোগেন, তাদের যেমন পরিচর্যার দরকার হয়, তেমনি যারা তাদের পরিচর্যা করেন, তাদেরও মানসিক স্বাস্থ্য সেবার প্রয়োজন হয়। অগ্রাধিকারভিত্তিতে তাদেরও সেবার ব্যবস্থা করতে হবে। নিয়মমাফিক জরিপ চালাতে হবে যে, তারা সেবায় সুযোগ পাচ্ছেন কি না বা নিচ্ছেন কি না। সেই সঙ্গে সামনাসামনি এবং অনলাইন দু'ধরনের সেবাই রাষ্ট্রীয়ভাবে সক্রিয় রাখতে হবে।
হঠাৎ করেই বেশিরভাগ সমস্যাগ্রস্ত ব্যক্তির মাঝে গুরুতর পরিবর্তন চোখে পড়ে না। সমস্যার শুরুতে আশেপাশের মানুষ বুঝতে পারে, 'ওর আসলে কিছু একটা সমস্যা হচ্ছে', 'ও আসলে ঠিক নেই'। তাই ওয়ার্নিং সাইনগুলো জানুন এবং মনে রাখুন। নিজের ও অন্যের সমস্যার সমাধানে দ্রুত উদ্যোগ নিন। মানসিক সমস্যার চিকিৎসার জন্য কাছাকাছি যাকে পাবেন, তার কাছেই যাবেন। হতে পারে তিনি একজন কাউন্সেলর বা মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ডাক্তার। এছাড়াও মনোরোগ বিশেষজ্ঞ, ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্ট, প্র্যাকটিসিং সাইকোলজিস্ট বা সাইকোথেরাপিস্টের কাছে যেতে পারেন।
সমস্যা মোকাবেলায় পারিবারিক ও সামাজিক উদ্যোগ
মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা মোকাবেলায় কিছু পারিবারিক ও সামাজিক উদ্যোগ নিতে হবে।
পারিবারিক উদ্যোগগুলোর মধ্যে যা যা নিব-
- সহমর্মিতার চর্চা করা
- দৈনন্দিন রুটিনে মানসিক স্বাস্থ্য পরিচর্যা অন্তর্ভুক্ত করা
- মনের কথা খোলাখুলি বলার পরিবেশ তৈরি করা
- ইতিবাচক চিন্তার প্রয়োগ এবং নেতিবাচক চিন্তার অপসারণ
- ভালো কাজের প্রতিযোগিতা এবং খেলাধুলায় শিশুদের উৎসাহ প্রদান
- নিয়মিত শিথিলায়ন (মনের ব্যায়াম) ও শরীরচর্চা করা
- মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক অনুষ্ঠান দেখা ও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে তা নিয়ে খোলাখুলি আলোচনা করা
- মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের বিভিন্ন কর্মশালায় অংশ নেওয়া।
সামাজিকভাবে যেসব উদ্যোগ নিতে পারি
- মানসিক স্বাস্থ্যের স্টিগমা, প্রচলিত ধারণা ও বৈষম্য নিরসনে কাজ করা
- মানসিক স্বাস্থ্য লিডার তৈরি করা, যারা বিভিন্ন পরিবেশ-পরিস্থিতিতে মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক সচেতনতা ও উন্নয়নে কাজ করবেন
- নিয়মিত মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক প্রচারণা ও কমিউনিটি লেভেলে কর্মশালা পরিচালনা করা
- স্কুল-কলেজে মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক কুইজ অনুষ্ঠান পরিচালনা করা
- মানসিক স্বাস্থ্য পরিচর্যার গুরুত্ব পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করা এবং সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে নিয়মিত চর্চার জন্য উদ্বুদ্ধ করা
- মানসিক রোগীর জন্য দিবাযত্ন কেন্দ্র চালু এবং তার পরিচর্যাকারীর জন্য মনের যত্ন কেন্দ্র চালু করা।
পরিশেষে আহ্বান জানাবো- আসুন, শরীর ও মন ভালো রাখতে মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতন হই। নিয়মিত নিজের মনের যত্ন নিই।
নাঈমা জান্নাত: ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্ট
nznurany@yahoo.com
(দ্য ডেইলি স্টারের সম্পাদকীয় নীতিমালার সঙ্গে লেখকের মতামতের মিল নাও থাকতে পারে। প্রকাশিত লেখাটির আইনগত, মতামত বা বিশ্লেষণের দায়ভার সম্পূর্ণরূপে লেখকের, দ্য ডেইলি স্টার কর্তৃপক্ষের নয়। লেখকের নিজস্ব মতামতের কোনো প্রকার দায়ভার দ্য ডেইলি স্টার নেবে না।)
Comments