কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে—গত জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত খেলাপি ঋণ বেড়েছে ৩৪ দশমিক আট শতাংশ বা ৭৩ হাজার ৫৮৬ কোটি টাকা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র হুসনে আরা শিখা বলেন, ‘প্রবাসী আয়ের প্রবাহ বৃদ্ধির প্রভাবে রিজার্ভ বেড়েছে।’
সালেহউদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে দেশের প্রতিনিধি দল আইএমএফ ও বিশ্বব্যাংকের বার্ষিক বৈঠকে অংশ নিতে বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে আছেন।
সংস্থাটির ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশনের ঢাকা সফর শেষে গতকাল সোমবার বিবৃতিতে আইএমএফ বলেছে, বাংলাদেশের আর্থিক খাতের দুর্বলতা আরও প্রকট হয়ে উঠেছে।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ঋণের সুদ পরিশোধে সরকারের ব্যয় হয়েছে এক লাখ ১৪ হাজার কোটি টাকা
জর্জিভা বাংলাদেশের অগ্রগতির প্রশংসা ও গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার প্রচেষ্টার কথা তুলে ধরে বলেন, ‘এটা একটা ভিন্ন দেশ। এটা বাংলাদেশ ২.০’।
‘যেসব ক্ষেত্রগুলোতে আইএমএফের সহায়তা সবচেয়ে বেশি লাভজনক হতে পারে সেগুলো নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি।’
সরকারের কাছে পাঠানো আইএমএফের টকিং পয়েন্ট অনুসারে, সংস্কার কর্মসূচিতে ভর্তুকি ও রাজস্বের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হবে।
এনবিআর কর্মকর্তাদের মতে—দেশীয় শিল্পায়নের সুবিধার্থে, রপ্তানি আরও সহজ করতে ও নিত্যপণ্যের দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখতে এসব ছাড় দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ ব্যাংক নীতি সুদহার ৫০ বেসিস পয়েন্ট বাড়িয়ে সাড়ে আট শতাংশ করেছে। এ নিয়ে এ বছরে দ্বিতীয়বার সুদহার বাড়ানো হলো।
চুক্তিটি ওয়াশিংটনভিত্তিক ঋণদাতার নির্বাহী বোর্ডের অনুমোদন সাপেক্ষে হবে এবং আগামী সপ্তাহে হবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।
লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় কিছুটা পিছিয়ে পড়লেও তৃতীয় কিস্তি সময়মতো পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী সরকার।
গতকাল এক আলোচনায় বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার বলেন, ‘আমরা শিগগিরই পুরোপুরি বাজারভিত্তিক সুদহারের দিকে যাচ্ছি, যা ব্যাংকগুলোকে চাহিদা ও সরবরাহের ভিত্তিতে সুদের হার নির্ধারণে সহায়তা...
ক্রলিং পেগ সিস্টেম চালু করবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক
বছরে কয়েক দফায় বিদ্যুতের দাম বাড়লে তার আর্থ-সামাজিক অভিঘাত ঠিক কেমন হবে?
সরকার কিছু অসাধু ব্যবসায়ীদের স্বার্থ রক্ষার জন্য বিদ্যুৎ ও অন্যান্য জ্বালানির দাম বাড়াতে যাচ্ছে বলে অভিযোগ ক্যাবের।
আইএমএফ এই পরামর্শ দিয়েছে কারণ বাংলাদেশ ব্যাংক এখনো বিনিময় হার পুরোপুরি বাজারভিত্তিক করেনি।
এনবিআরের প্রাথমিক হিসাব অনুসারে, ভ্যাট ও আয়কর আদায় বেড়ে যাওয়ায় চলতি অর্থবছরের জুলাই-মার্চে রাজস্ব সংগ্রহ হয়েছে দুই লাখ ৫৯ হাজার ৮৬৬ কোটি টাকা।
সফররত দলটি দেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য জ্বালানি ভর্তুকি, সরকারি ঋণ, আসন্ন বাজেট ও রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন সংস্থাগুলোর কর্মক্ষমতা নিয়ে আলোচনা করবে।