আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ ২০২৩

দ. আফ্রিকার বিপক্ষেও নেই উইলিয়ামসন

চোটের কারণে লম্বা সময় মাঠের বাইরে থাকার পর বাংলাদেশের বিপক্ষে ফিরে আবার চোট পান উইলিয়ামসন

দ. আফ্রিকার বিপক্ষেও নেই উইলিয়ামসন

ধারণা করা হয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচ দিয়ে ফিরতে পারেন নিউজিল্যান্ডের অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। কিন্তু দুর্ভাগ্য পিছু ছাড়তেই চাচ্ছে না তার। প্রোটিয়াদের বিপক্ষে খেলা হচ্ছে না নিয়মিত অধিনায়কের। এমনটাই জানিয়েছে নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড।

আজ বুধবার (১ নভেম্বর) পুনের মহারাষ্ট্র ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়ামে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে মাঠে নামবে নিউজিল্যান্ড। কিউইদের জন্য ম্যাচটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ। জিতলে সেমি-ফাইনালের পথে অনেকটাই এগিয়ে যাবে তারা। হারলে থাকবে বাদ পড়ার শঙ্কাও। এমন ম্যাচে উইলিয়ামসনকে না পাওয়া বড় ধাক্কাই দলটির জন্য।

চেন্নাইয়ে বাংলাদেশের বিপক্ষে বাঁ-হাতের বুড়ো আঙুলে চোট পান উইলিয়ামসন। ফিল্ডারের ছোড়া বল হাতে এসে লাগে তার। প্রাথমিক চিকিৎসার পর ফের ব্যাট করতেও শুরু করেছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ব্যক্তিগত ৭৮ রানে অপরাজিত থেকেই মাঠ ছাড়তে বাধ্য হন তিনি। বর্তমানে পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন এই ডানহাতি ব্যাটার।

তবে অধিনায়ককে ছাড়াও কিউইদের সেই ম্যাচ জিততে কোনো সমস্যা হয়নি। এরপর আফগানিস্তান, ভারত এবং অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে নিউজিল্যান্ড খেলেছে আরও তিনটি ম্যাচ। সেই ম্যাচগুলোতে খেলেননি উইলিয়ামসন। তাকে ছাড়া এরপর কেবল আফগানদের সঙ্গেই জিতেছে দলটি। ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার পর দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে হারলে সেমি-ফাইনালের সমীকরণ কঠিন হয়ে যেতে পারে দলটির।

সামাজিকমাধ্যম 'এক্স'-এ কিউই অধিনায়কের অবস্থা জানিয়ে ব্ল্যাকক্যাপরা লিখেছে, 'দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচের আগে নেটে ব্যাটিং করেছেন কেন উইলিয়ামসন। কিন্তু ১ নভেম্বরের ম্যাচের দল থেকে তিনি বাদ পড়েছেন। পাকিস্তানের বিপক্ষে দলের পরবর্তী ম্যাচের আগে আবার মূল্যায়ন করা হবে তার।'

এর আগে চলতি বছর আইপিএলে খেলতে এসে প্রথম ম্যাচেই চোট পেয়ে ছিটকে যান উইলিয়ামসন। হাঁটুর চোটে অস্ত্রোপচারও করাতে হয়। এরপর দীর্ঘদিন ক্রিকেট মাঠ থেকে দূরে ছিলেন তিনি। এরপর বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়েই ফিরেছিলেন। তার না থাকায় বর্তমানে কিউইদের নেতৃত্ব দিচ্ছেন টম ল্যাথাম।

Comments

The Daily Star  | English
July uprising

July uprising and the rise of collective power

Through this movement, the people of Bangladesh expressed their protest using a language shaped by long-standing discontent.

12h ago