ক্যামেল ফ্লু আতঙ্কে ফ্রান্স শিবির

আরও একটি স্বপ্নের ফাইনালে ফ্রান্স। টানা দ্বিতীয়বারের মতো বিশ্বকাপ জয়ের বিরল কীর্তি গড়ার সামনে তারা। কিন্তু এমন ম্যাচে সামনে দাঁড়িয়ে 'ক্যামেল ফ্লু' নামক আতঙ্কে ভুগছে দলটি। কারণ এর মধ্যেই রহস্যময় এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন দলের তিন সদস্য। ফাইনালের আগে সে সংখ্যা না বেড়ে যায় আরও!

কাতারের লুসাইল স্টেডিয়ামে আগামী রোববার রাতে বিশ্বকাপ ধরে রাখার মিশনে আর্জেন্টিনার বিপক্ষে মাঠে নামবে ফ্রান্স। কিন্তু এ সময়ে উদ্বেগ ওই খেলোয়াড়দের স্বাস্থ্য নিয়ে। সেমি-ফাইনালের আগে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ডাওট উপামেকানো ও আদ্রিয়েন রাবিও ছিলেন না একাদশে। এরমধ্যে আবার নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন কিংসলে কোমান।

মরুর দেশ হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই তাপমাত্রা অনেক বেশি কাতারের। এই অতিরিক্ত তাপমাত্রা বিশ্বকাপ আয়োজনে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল দেশটির। সমাধান হিসেবে স্টেডিয়ামগুলোকে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার অধীনে আনে তারা। কিন্তু এসির ঠাণ্ডা বাতাসে তৈরি করেছে নতুন জটিলতা। বিশেষ এই 'ক্যামেল ফ্লু'তে আক্রান্ত হচ্ছেন খেলোয়াড়সহ অনেক সমর্থক।

অবস্থা এতোটাই কঠিন হয়েছে যে প্রচণ্ড ঠাণ্ডা থেকে উতরে উঠতে হিমশিম খেয়েছেন বিশ্বকাপে অংশগ্রহণকারী অনেক সমর্থক। ফলে বাধ্য হয়ে দেশে ফিরেছেন তারা। ফ্রান্সের তিন জন ফুটবলারের অবস্থাও খুব একটা ভালো নেই। তাই বাকিদের আলাদা রাখা হয়েছে। তবে অসুস্থ ফুটবলারের সংখ্যা আরও বাড়লে উদ্বেগ বাড়বে দলটির।

কী এই ক্যামেল ফ্লু? 

ক্যামেল ফ্লু হলো মিডল ইস্ট রেসপিরেটরি সিন্ড্রোমের (এমইআরএস) সাধারণ নাম যা মিডল ইস্ট রেসপিরেটরি সিন্ড্রোম করোনাভাইরাস দ্বারা সৃষ্ট একটি ভাইরাল শ্বাসযন্ত্রের রোগ। একটি জুনোটিক ভাইরাস যা প্রাণী এবং মানুষের মধ্যে সংক্রামিত হতে পারে। প্রাণীদের মধ্যে উটই বেশি আক্রান্ত হয় এ ভাইরাসে। ২০১২ সালে এটা সৌদি আরবে প্রথম শনাক্ত করা হয়েছিল এবং এরপর থেকে এখন পর্যন্ত ২৬০০ মানুষের মধ্যে এ ভাইরাস দেখা গিয়েছে। তাতে মৃত্যুর সংখ্যা প্রায় ১০০০। যদিও এরমধ্যে ৮০ শতাংশ সৌদি আরবেই সীমাবদ্ধ।

Comments