যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলার উপায় জানা আছে আর্জেন্টিনার
কাতার বিশ্বকাপের একাধিক ম্যাচে দেখা মিলেছে শেষ সময়ের নাটকীয়তার। এগিয়ে থেকেও প্রতিপক্ষের তুমুল আক্রমণে শেষ সময়ে হজম করে ফেলছে গোল, ম্যাচ গড়াচ্ছে টাইব্রেকারে। নকআউটের সবশেষ দুই ম্যাচে এই চ্যালেঞ্জ উতরে এসেছে আর্জেন্টিনা। ফলে সেমিফাইনালে ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন হলে কি করতে হবে তা ভালোই জানা আছে আলবিসেলেস্তেদের।
শেষ ষোলোর ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ২-০ গোলে এগিয়ে থেকে সহজ জয় দেখছিল আর্জেন্টিনা। কিন্তু ৭৭ মিনিটে ক্রেইগ গুডউইনের জোরালো শট রুখতে গিয়ে আত্মঘাতী গোল দিয়ে বসেন এঞ্জো ফার্নান্দেজ। এতে মনোবল ফিরে পায় সকারুরা, বাড়িয়ে দেয় আক্রমণের ধার। ফলে ম্যাচের শেষ কয়েক মিনিটে প্রচণ্ড চাপের কবলে পড়েন লিওনেল মেসিরা।
কোয়ার্টার ফাইনালে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ম্যাচটির উত্তেজনা ছাপিয়ে যায় সেই ম্যাচকেও। এবার তো ২-০ গোলে এগিয়ে থেকেও টাইব্রেকারে যেতে বাধ্য হয় ভৌট ভেগহর্স্টের জোড়া গোলে। বেসিকতাস ফরোয়ার্ড তার দ্বিতীয় গোলটি করেন শেষ বাঁশি বাজার ঠিক আগে। শেষ পর্যন্ত পেনাল্টিতে জয় পেলেও অনেক ঘাম ঝরিয়ে এসেছিল সেটা।
মঙ্গলবার রাতের সেমিফাইনালে ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে শেষ সময়ে এগিয়ে থাকলে প্রতিপক্ষের আক্রমণের এমন ঝাপটা যে আবারও সামলাতে হবে সেটা ভালোই জানা আছে তাগলিয়াফিকোর। সোমবার সংবাদ সম্মেলনে লিওঁর এই ফুলব্যাক বলেন, '(ম্যাচের) প্রতি মুহূর্তেই সম্পূর্ণ ভিন্ন পরিস্থিতি থাকে এবং অবশ্যই আমরা জানি কি ঘটতে পারে। যদি আমরা শেষ সময়ে এগিয়ে থাকি আমাদের ভুগতে হবে। আমরা জানি কিভাবে ভুগতে হয়, এই (অস্ট্রেলিয়া ও নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে) ম্যাচগুলোতে আমরা ইতোমধ্যে এমন পরিস্থিতি পার করেছি।'
ফলে এমন পরিস্থিতির জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকার বিকল্প দেখছেন না ৩০ বছর বয়সী ডিফেন্ডার, 'অবশ্যই আপনাকে প্রস্তুত থাকতে হবে এবং সম্ভাব্য একটা উপায় বের করতে হবে যাতে যদি এমনটা (আর্জেন্টিনা এগিয়ে থাকে) ঘটে, প্রতিপক্ষ যাতে অনেক (গোলের) সুযোগ তৈরি করতে না পারে অথবা প্রতিক্রিয়া দেখানোর একটা উপায় বের করতে হবে।'
'আমি আপনাদের বলছি এটা বোঝানো কঠিন। কারণ সেগুলো সম্পূর্ণ ভিন্ন সময় এবং ভালো ব্যাপার হলো আমরা ইতোমধ্যে এই অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি। তাই আমাদের ম্যাচ জয়ের ওপর মনোযোগ দিতে হবে ও কম ভোগার চেষ্টা করতে হবে,' যোগ করেন তাগলিয়াফিকো।
তবে কোনো কারণে যদি বিপরীত পরিস্থিতিতে পড়তে হয় তাহলে কি করতে হবে সেই পরিকল্পনাও করে ফেলেছেন এই আর্জেন্টাইন, 'এটাও বুঝিয়ে বলাটা কঠিন কারণ নকআউটের ম্যাচগুলোতে এসব সাধারণত ঘটে থাকে। শেষ কয়েক মিনিটে যদি পিছিয়ে থাকেন, আপনি সবরকম সুযোগ তৈরির জন্য মুখিয়ে থাকবেন ও (প্রতিপক্ষের) ডি বক্সে বল ফেলার চেষ্টা করবেন। অথবা অনেক খেলোয়াড়কে নিয়ে অন্য কোনো উপায়ের সন্ধান করবেন যেন এমন পরিস্থিতিতে সমতা ফেরাতে পারেন। (গোল শোধে) লেগে থাকাও সহজ নয়।'
Comments