মেসি ভাবছেন, রেকর্ড ভাঙায় ম্যারাডোনা 'খুবই খুশি হতেন'
আর্জেন্টিনার হয়ে বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলার কীর্তি এতদিন ছিল দিয়েগো ম্যারাডোনার। বিশ্বকাপজয়ী এই প্রয়াত কিংবদন্তিকে এবার কাতারের মাটিতে টপকে গেছেন লিওনেল মেসি। তিনি মনে করছেন, বেঁচে থাকলে রেকর্ড ভাঙায় খুবই খুশি হতে হতেন ম্যারাডোনা।
বুধবার রাতে আসরের 'সি' গ্রুপের ম্যাচে পোল্যান্ডের বিপক্ষে আর্জেন্টিনার অধিনায়কত্ব করেন মেসি। এটি ছিল জাতীয় দলের জার্সিতে বিশ্বকাপে তার ২২তম ম্যাচ। ২০২০ সালে পরলোকগমন করা ম্যারাডোনা ফুটবলের সর্বোচ্চ আসরে খেলেছিলেন ২১ ম্যাচ। দুই আলবিসেলেস্তে তারকাই অবশ্য বিশ্বকাপে করেছেন সমান আটটি করে গোল।
মেসির নতুন অর্জনের ম্যাচে ৯৭৪ স্টেডিয়ামে ২-০ গোলের জয়ে নকআউট পর্ব নিশ্চিত করেছে আর্জেন্টিনা। সব শঙ্কা উড়িয়ে তারা হয়েছে 'সি' গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন। তিন ম্যাচে দুই জয়ে তাদের পয়েন্ট ৬। শেষ ষোলোতে আগামী শনিবার রাতে তারা মোকাবিলা করবে অস্ট্রেলিয়াকে।
সৌদি আরবের কাছে অপ্রত্যাশিত হারের ধাক্কা সামলে নকআউট পর্বে পা রেখেছে আর্জেন্টিনা। পোল্যান্ডের বিপক্ষে দাপুটে জয়ের পর গণমাধ্যমের কাছে মেসি বলেছেন, রেকর্ড গড়ে ভীষণ আনন্দ লাগছে তার, 'আমি মাত্রই এটা (আর্জেন্টিনার হয়ে বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলার রেকর্ড) জানতে পেরেছি। আমি এটা জানতাম না। এই ধরনের রেকর্ড অর্জন করতে থাকা খুবই আনন্দের।'
ফুটবল দুনিয়ায় মেসির আবির্ভাবের পর অসংখ্যবার ম্যারাডোনার সঙ্গে তার তুলনা করা হয়েছে। ম্যারাডোনার কোচিংয়ে ২০১০ বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার প্রতিনিধিত্বও করেছিলেন মেসি। ২৮ বছর ধরে টিকে থাকা ম্যারডোনার কীর্তি নিজের করে নেওয়ার পর অনুভূতি জানিয়েছেন মেসি, 'আমি মনে করি, (তার রেকর্ড ভাঙায়) দিয়েগো আমার জন্য খুবই খুশি হতেন। কারণ, তিনি সবসময় আমার প্রতি তীব্র মমতা দেখাতেন। যখন আমার সবকিছু ভালো কাটত, তিনি সবসময় আনন্দিত হতেন।'
উল্লেখ্য, পোলিশদের বিপক্ষে ম্যাচে বিশ্বকাপে গোলের সংখ্যায় ম্যারাডোনাকে ছাড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ হাতছাড়া করেন মেসি। প্রথমার্ধে অসামান্য দৃঢ়তায় তার স্পট কিক রুখে দেন গোলরক্ষক ভোইচেখ শেজনি। তবে সেটা আদৌ পেনাল্টি ছিল কিনা তা নিয়ে চলছে তর্ক-বিতর্ক।
Comments