তিউনিসিয়া বনাম ফ্রান্স: প্রেডিকশন, একাদশ ও অন্যান্য রেকর্ড
অস্ট্রেলিয়া ও ডেনমার্ককে হারিয়ে 'ডি' গ্রুপ থেকে শেষ ষোল যাত্রা আগেই নিশ্চিত করেছে ফ্রান্স। তাই তিউনিসিয়ার বিপক্ষে নির্ভার হয়েই মাঠে নামবে দিদিয়ার দেশমের শিষ্যরা। অন্যদিকে তিউনিসিয়ার সামনে এখনও রয়েছে ক্ষীণ সম্ভাবনা। ফরাসিদের পরাস্ত করতে পারলে ও ডেনমার্কের বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়া হেরে গেলে খুলবে সেই সম্ভাবনার দুয়ার। তবে তাতে থাকবে গোল ব্যবধানের জটিল সমীকরণও।
ম্যাচের ফলাফল জানা যাবে ম্যাচ শেষেই, তবে তার আগে কাগজে কলমে দুদলের সামর্থ্য ও সাম্প্রতিক ফর্মের আলোকে ভবিষ্যৎবাণী নিয়ে হাজির আমরা। পাশাপাশি দুই দলের সম্ভাব্য একাদশ, ফর্মেশনও তুলে ধরা হলো ডেইলি স্টারের পাঠকদের জন্য-
কখন?
বুধবার, ৩০ নভেম্বর, বাংলাদেশ সময় রাত ৯টা
কোথায়?
এডুকেশন সিটি স্টেডিয়াম, দোহা
নজরে থাকবেন যারা
তিন গোল করে যৌথভাবে চলতি বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ গোলদাতাদের তালিকার শীর্ষে অবস্থান করছেন কিলিয়ান এমবাপে। তবে এই ম্যাচে তাকে বিশ্রাম দিতে পারেন কোচ। তেমনটা না হলে নিঃসন্দেহে তিনিই সবচেয়ে বড় আতঙ্ক হবেন তিউনিসিয়া রক্ষণের জন্য। প্রথম ম্যাচে জোড়া গোল পাওয়া অলিভিয়ের জিরুদের দিকেও নজর থাকবে ভক্তদের। এছাড়া উসমানে দেম্বেলেও হতে পারেন তুরুপের তাস।
তিউনিসিয়ার জয়ের জন্য ওয়াহবি খাজরিকে জ্বলে উঠতে হবে আক্রমণে। ইউসেফ মাসাকনিকেও নিতে হবে গুরুদায়িত্ব। রক্ষণেও সতর্ক থাকতে হবে মানতাসার তালবি-ইয়াসিন মেরিয়াহদের।
সম্ভাব্য লাইন আপ
ফ্রান্স: (৪-২-৩-১): স্টিভ মান্দান্ডা (গোলরক্ষক), পাভার্ড, কামাভিঙ্গা, ভারানে, কোনাতে, ফোফানা, গুয়েনডোজি, কোমান, গ্রিজম্যান, এমবাপে, থুরাম
তিউনিসিয়া: (৩-৪-২-১): দাহমেন (গোলরক্ষক), তালবি, মেরিয়াহ, ব্রন, কেচরিদা, লাইদুনি, খিরি, আবদি, মাসাকনি, নাইম, খাজরি
প্রেডিকশন
কাগজে কলমে ও শক্তির বিচারে ঢের এগিয়ে ফ্রান্স। তবে অঘটনের বিশ্বকাপে ঘটতে পারে যেকোন কিছুই। শেষ মুহূর্তেও বদলে যেতে পারে খেলার চিত্র। তবে ফ্রান্সকে চমকে দিতে নিজেদের সেরা ফুটবলটাই খেলতে হবে তিউনিসিয়াকে।
সম্ভাব্য স্কোর:
ফ্রান্স ৩-১ তিউনিসিয়া
অন্যান্য পরিসংখ্যান
১) তিউনিসিয়া এবং ফ্রান্সের মধ্যে এটাই প্রথম প্রতিযোগিতামূলক লড়াই।
২) তিউনিসিয়া তাদের ১৭টি বিশ্বকাপ ম্যাচে মাত্র দুটিতে জিতেছে।
৩) ২০০৬ সালে ব্রাজিলের পর ফ্রান্সই প্রথম বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়ন দল হিসেবে শেষ ষোলোতে পৌঁছেছে।
৪) কিলিয়ান এমবাপ্পে ২০২২ সালে ক্লাব এবং দেশের হয়ে ৫০টি গোল করেছেন। দ্বিতীয়বারের মতো এক ক্যালেন্ডার বছরে হাফ সেঞ্চুরি করলেন। ২০২১ সালে ৫১টি গোল করেছিলেন।
৫) ২০১৪ সালের কোয়ার্টার ফাইনালে জার্মানির কাছে হারের পর বিশ্বকাপে টানা নয় ম্যাচে অপরাজিত ফ্রান্স।
৬) তিউনিসিয়ার ২৬ জনের স্কোয়াডে ১০ জনের জন্ম হয়েছে ফ্রান্সে।
৭) বিশ্বকাপে আফ্রিকান দলগুলোর মধ্যে বিশ্বকাপে প্রথম জয় পায় তিউনিসিয়া। ১৯৭৮ সালে মেক্সিকোকে ৩-১ গোলে হারায় দলটি।
Comments